আনন্দবাজার এক্সক্লুসিভ
আরও এক বছর
খেললেই পারত: দিলীপকুমার
বিশ্বে ছড়ানো সচিন তেন্ডুলকরের কোটি কোটি অনুরাগীর মতো তিনিও সকাল থেকে টিভি-র সামনে! যদি ভারত প্রথম ব্যাট করে আর আজই সচিনকে দেখতে পান। টস জিতেও ধোনি ব্যাট করেননি। তবু সচিনকে দেখার নেশায় টিভি বন্ধ করে দেননি। বরঞ্চ দুপুরের ঘুমটা বিসর্জন দিয়েছেন।
সচিনের ভক্ত অগণিত। কিন্তু এত বেশি বয়সি উৎসাহী নিশ্চয়ই হাতে গোনা যাবে। তা-ও আবার যিনি নিজে এত বিখ্যাত!
এনার নাম ইউসুফ খান। বয়স ৯১। লোকে চেনে অন্য নামে— দিলীপকুমার!
দিলীপ এতই সচিনভক্ত যে, কোনও আড্ডায় বা মহল্লায় সচিনকে দেখতে পেলেই টেনে নিয়ে আড্ডা মারেন। বৃহস্পতিবার বেগম সায়রা বানু এবিপি-কে জানালেন, গত বকরি ঈদে শেষ বার মুখোমুখি হয়েছেন দিলীপকুমার আর সচিন। শাহরুখ খানের বাড়ির পার্টিতে। সে দিনও আড্ডা হয়েছিল। মাসখানেক আগের ঘটনা।

সিনেমার প্রবাদপুরুষ বয়স ৯১

সচিনকে আমি মনে করি মায়েস্ত্রো...ওর পেশার জাদুকর। আমি মোটেও চাইনি ও এখন খেলা ছাড়ুক!
আমার মতো অগুন্তি, কোটি কোটি ক্রিকেটপ্রেমীর কাছে সচিনের অন্তিম ভাবমূর্তি থেকে গেল যে,
কঠোর সংকল্পবান, একমনা, মর্যাদাব্যঞ্জক আর প্রতিটি গৌরবজনক মুহূর্তে তার স্রষ্টার কাছে সব সময়
কৃতজ্ঞতায় অবনত। বাকি যে দিনগুলো এই পৃথিবীতে আছি, সচিনের এই স্মৃতিটাই বুকে নিয়ে থাকব।
ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সবাই দিলীপকুমারের ভক্ত আর তিনি হলেন কি না অকৃত্রিম সচিন ভক্ত। দিলীপ বেঙ্গসরকর একটা মজার ঘটনা বলেন। প্রয়াত শাম্মি কপূরের সেটা পঁচাত্তরতম জন্মদিন। ২০০৫ সালের কথা। সস্ত্রীক নিমন্ত্রিত বেঙ্গসরকর হোস্টকেই জিজ্ঞেস করে বসলেন, শাম্মিজি আপনাকে কী দেব ভেবে পাচ্ছি না। আপনার তো সবই আছে। শাম্মি তখন বলেন, আমার সেরা বার্থ ডে গিফ্ট হবে যদি তেন্ডুলকরকে আমার বাড়িতে এনে দিতে পারো। বেঙ্গসরকর ফোনে ধরলেন সচিনকে। তিনি বলছেন, আমার তো একটা কাজ রয়েছে। দিলীপ একেবারে দাদাস্থানীয় সচিনের। বললেন, এটা না করিস না। যে করে হোক সময় দে। অন্তত ১০ মিনিট ঘুরে যাস। শাম্মি কপূর তো যে সে লোক নন।
পরের দিন জন্মদিনে ঢুকে বেঙ্গসরকর আবিষ্কার করলেন, সচিনকে নিয়ে বসে আছেন দিলীপকুমার। পরের দিন ফের জিজ্ঞেস করলেন, কী শাম্মিজি, বার্থ ডে গিফটে খুশি তো?
শাম্মি বলেন, “খুব খুশি। কিন্তু হ্যাঁ আমি আর পেলাম কোথায় ওকে! দিলীপ তো ওকে প্রায় একচেটিয়া নিয়ে নিল।”
এ হেন দিলীপকুমারের ভাইপো রেহান ছোটবেলার বন্ধু সচিনের। কিন্তু তাঁর মুখ থেকে বা শাহরুখের বাড়িতে দেখা হওয়ার দিনও দিলীপ বিন্দুমাত্র আভাস পাননি সচিন যে খেলা ছেড়ে দিচ্ছেন! আশা ভোঁসলের মতো তিনিও মনে করেন, আরও কিছু দিন খেললে ভাল হত। অন্তত আর একটা বছর।

ক্রিকেটের প্রবাদপুরুষ বয়স ৪০
আনন্দবাজারকে দেওয়া তাঁর বক্তব্যে একানব্বই বছরের বৃদ্ধ এ দিন বললেন, “সচিনকে আমি মনে করি মায়েস্ত্রো… ওর পেশার জাদুকর। আমি মোটেও চাইনি ও এখন খেলা ছাড়ুক! আমার মতো অগুন্তি, কোটি কোটি ক্রিকেটপ্রেমীর কাছে সচিনের অন্তিম ভাবমূর্তি থেকে গেল যে, কঠোর সংকল্পবান, একমনা, মর্যাদাব্যঞ্জক আর প্রতিটি গৌরবজনক মুহূর্তে তার স্রষ্টার কাছে সব সময় কৃতজ্ঞতায় অবনত। বাকি যে দিনগুলো এই পৃথিবীতে আছি, সচিনের এই স্মৃতিটাই বুকে নিয়ে থাকব।”
গোটা বলিউড যাঁর প্রতি শ্রদ্ধায় অবনত। যাঁর সম্পর্কে গত কালও সেলিম খান বলছিলেন, দিলীপ সাবকে কপি না করে ওর পরবর্তী অধ্যায়ে সুপারস্টার হয়েছে এমন এক জনের নাম বলুন! হিন্দি বাণিজ্যিক সিনেমার টার্ম অব রেফারেন্স উনি।
সেই মানুষটা ওয়েস্ট ইন্ডিজ অল আউট হয়ে গেল শুনে বিকেলের দিকে সচিনের ব্যাট আসতে পারে এমন সম্ভাবনায় আজও ছটফট করেন, ভাবাই যায় না! রাতে সায়রা বানু বললেন, “সেই বসে পুরো খেলাটা দেখল। সচিনের ব্যাটিং দেখে খুব খুশি।”




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.