শিল্পের খরা কাটাতে ভরসা সরকারি সংস্থাই
শিল্পের জন্য বামেদের অধিগ্রহণ করা জমি পড়েই ছিল এক দশক। কোনও সংস্থা সেখানে আসতে উৎসাহী হয়নি। বোলপুরের শিবপুর মৌজায় ওই শিল্পতালুকের অনেকটা জমি শেষমেশ সরকারি সংস্থার হাতেই তুলে দিতে চাইছে তৃণমূল সরকার।
বোলপুরে বৈঠকের
পরে শিল্পমন্ত্রী।
ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী
সোমবার বোলপুরে প্রশাসন ও এলাকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকের পরে রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “শিবপুর মৌজায় ইতিমধ্যেই বেশ কিছু জমি পশ্চিমবঙ্গ শিল্প উন্নয়ন নিগম, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর এবং পর্যটন দফতরকে দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু অনুসারী শিল্পের জন্য জমি চেয়ে আবেদন জমা পড়েছে। সেগুলিও আমরা পর্যালোচনা করে দেখছি।”
প্রশাসন সূত্রের খবর, শিবপুর মৌজায় মোট ২০৬ একর জমি রয়েছে। আপাতত পশ্চিমবঙ্গ শিল্প উন্নয়ন নিগমকে ৫০ একর, রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরকে দিয়ে ‘বিশ্ববাজার’ তৈরি করানোর জন্য ৫০ একর, রাজ্য পর্যটন দফতরকে ১০ একর, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরকে ৫ একর, আইটি হাবের জন্য ৫ একর এবং একটি বেসরকারি হার্ডঅয়্যার সংস্থাকে ১৪ একর জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।২০০১ সালে বীরভূমে শিল্পতালুক গড়ার লক্ষ্যে শিবপুরে জমি অধিগ্রহণ করেছিল তদানীন্তন বামফ্রন্ট সরকার। পশ্চিমবঙ্গ শিল্প পরিকাঠামো উন্নয়ন নিগমকে সেটি গড়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কার্যত কিছুই হয়নি। ক্ষুব্ধ জমিদাতারা বারবারই হয় শিল্প গড়া অথবা জমি ফেরত দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। অধিগৃহীত জমির সীমানা খুঁটি উপড়ে ফেলে ধান চাষও শুরু করা হয়েছে।
অধিগ্রহণ পর্বে যে শ’খানেক চাষি জমি দিয়েও ক্ষতিপূরণের চেক নেননি, ২০০৮ সালে তাঁরা তৃণমূলের নেতৃত্বে ‘শ্রীনিকেতন-শান্তিনিকেতন কৃষিজমি বাঁচাও কমিটি’ গড়ে তুলেছিলেন। বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ-সহ ১৪ দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা আন্দোলন করে আসছেন। সেই সময়ে, তদানীন্তন বিরোধী নেতা পার্থবাবু এসে আন্দোলনকারীদের সমর্থনও জানিয়ে গিয়েছিলেন।
সরকার পরিবর্তনের পরে অবশ্য পরিস্থিতি পাল্টে যায়। গত বছর ২৭ জুলাই শিবপুরে এসে ‘শিল্পনিকেতন’ গড়ার ডাক দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আইটি হাবের শিলান্যাস করেছেন। যদিও গত এক বছরে তার কাজ শুরু হয়নি। কমিটির সভাপতি মোজাম্মেল হক বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী ও শিল্পমন্ত্রীর উপরে আমরা গোটা বিষয়টি ছেড়েছি। কখনওই শিল্পের বিরোধিতা করিনি। এখনও চাই, ওখানে শিল্পই গড়ে উঠুক। তবে আমাদের দাবিগুলি মানতে হবে।” গত বছর থেকেই জমি-জট কাটাতে বারবার বৈঠক করছেন শিল্পমন্ত্রী। এ দিন তিনি বলেন, “আলোচনা চলছে। জট কেটে যাবে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.