মুখোমুখি ২...
নারীবাহিনী
প্রথাগত ইন্টারভিউ নয়। ফলে, সোমবার সকালে দক্ষিণ কলকাতার এক কাফেতে প্রথমেই ঠিক করা হল, সোহিনী সেনগুপ্তকে লেগপুল করা হবে। তাঁর অপরাধ ভয়ঙ্কর! অন্যরা নির্ধারিত সময়ে পৌঁছে গেলেও তিনি চার মিনিট দেরিতে। শুক্রবার সপ্তর্ষি মৌলিকের সঙ্গে বিয়ের পর সোমবারই নাটক নিয়ে ইন্টারভিউ, হাতে তখনও বাসি মেহেন্দি। কিন্তু দেরির মাসুল দিতেই হবে...

পত্রিকা: কনগ্রাট্স। নতুন বিয়ে, সকাল-সকাল আসতে অসুবিধা হল?
সোহিনী (হাসতে হাসতে): থ্যাঙ্কস। অসুবিধা হয়নি। তবে, ঘাবড়ে আছি। বাবা (রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত) খুব আওয়াজ দিচ্ছেন: ‘দেখলে তো সিঙ্গল উওম্যান, স্বাধীনচেতা নারী এ সবেই শেষ নয়। বিয়েটা সেই তো করলে!’ মা-বাবার থেকে টিপ্স নিচ্ছি, বিয়ে কী ভাবে টেকাতে হয়। ওঁদের দু’ জনের আজও ঝগড়া হয়, মা রাগ করে বেরিয়ে যায়। কিন্তু বেলা গড়ালে সব রাগ-টাগ গলে জল।

‘কাল্লু মামা’ নাটকের পরিচালক ঈশিতা মুখোপাধ্যায় বিবাহ-অভিজ্ঞ। অভিনেতা শুভাশিস মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর ২৭ বছরের দাম্পত্য। ফলে সুতো টেনে নিলেন তিনি।

ঈশিতা: আরে ঝগড়াঝাঁটি-ফাটি কোনও ব্যাপার নয়। শুভাশিসের সঙ্গে বিয়ের পর ফি সপ্তাহে আমাদের এক বার করে ডিভোর্স হত। এখন ফ্রিকোয়েন্সি কমেছে। বছরে এক বার!

ইউরিপিদিসের ‘মেদেয়া’, টেনেসি উইলিয়ামসের ‘স্ট্রিটকার নেম্ড ডিজায়ার’ থেকে সম্প্রতি চেখভের ‘থ্রি সিস্টার্স’ মঞ্চে নিয়ে এসেছেন অবন্তী চক্রবর্তী। তাঁর প্রশ্ন অন্য।

অবন্তী: বিয়েতে মাস্টার্স অব সেরিমনি কে হল রে?
সোহিনী: শিবু (শিবপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়)।

...এ ভাবেই শুরু হয়েছিল আড্ডা। বাংলা নাটকে আজ নিঃশব্দ পরিবর্তন। রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, বিভাস চক্রবর্তী থেকে কৌশিক সেন, দেবশঙ্কর হালদার, ব্রাত্য বসু, সুমন মুখোপাধ্যায়রা আছেন ঠিকই। কিন্তু সেই পুরুষতান্ত্রিক অচলায়তন ভেঙেও এখন দর্শকের মনে ছাপ ফেলছে সোহিনীর অভিনয়, অবন্তী এবং ঈশিতার পরিচালনা। সেই ঘটনা কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে বোঝার চেষ্টা করা যায় না?
হাতে হাত। (বাঁ দিক থেকে) সোহিনী, অবন্তী, ঈশিতা
পত্রিকা: সোহিনী, এই প্রশ্নটা আপনাকে। নন্দনে ‘অলীক সুখ’, তার পাশে অ্যাকাডেমিতে ‘নাচনী’। অভিনয়ক্ষমতা নিয়ে সংশয় নেই। কিন্তু পরিচালনায় আসবেন না? নাকি রুদ্রপ্রসাদ আর স্বাতীলেখা সেনগুপ্তর মেয়ে হওয়ার চাপ এতটাই যে, নতুন করে চ্যালেঞ্জ নিতে ইচ্ছা হয় না?
সোহিনী: পরিচালনার ইচ্ছে এখনই নেই। নান্দীকারে আমার আগে অনেকে আছেন, তাঁদেরই পরিচালনায় আসা উচিত। আমার চ্যালেঞ্জটা অন্য। প্রথম দিকে দলেও আমাকে অনেকে নায়িকা করতে দিতে চায়নি। মোটা, কালো। তোমাকে নায়িকা মানাবে না। আমিও মনে মনে বলতাম, ঠিক আছে। গৌতমদা (হালদার)আজ এই ভাবে অভিনয় করল। আমি কাল অন্য ভাবে করে ওদের দেখিয়ে দেব।
ঈশিতা: তোমার অভিনয়ের এই জোশটা বোধ হয় ‘নগরকীর্তন’ থেকে।

পত্রিকা: কিন্তু সেটা নান্দীকার আর শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ছবিতেই আটকে থাকল।...
সোহিনী: আমার খুব মুড সুইং করে। এই ভাল তো দু’মিনিট পরে ভীষণ রেগে গেলাম। আমার মা-বাবা, নান্দীকারের সবাই সেই ব্যাপারে অভ্যস্ত। শিবু আমার কলেজের বন্ধু। ফলে আমার মুড সুইংয়ের সঙ্গে মানিয়ে নেয়, নন্দিতাদি আর ও দু’ জনেই আমাকে প্যাম্পার করে। নান্দীকারের বাইরে ‘বাবলি’ আর ‘কন্যাদান’ করেছি স্রেফ ব্রাত্যদার জন্য। ও আমাকে ছোটবেলা থেকে জানে। আমি সব জায়গায় ব্যক্তিগত সম্পর্ক দেখি। কার ওপর ভরসা করতে পারি, কে আমার মুডের সঙ্গে মানিয়ে নেবে।

পত্রিকা: সপ্তর্ষি?
সোহিনী: বয়সে ছোট হলে কী হবে, ঠান্ডা মাথা।

....তিন কন্যার অভিনয় এবং পরিচালনায় বাংলা মঞ্চে এখন দিকবদল। পাশাপাশি রয়েছেন অনিন্দিতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেঁজুতি মুখোপাধ্যায়, বিন্দিয়া ঘোষ বা আনন্দী বসুর মতো অভিনেত্রী। নাটকের বক্স অফিসে নারীবাহিনীর ঝটিকা-আক্রমণ!

সোহিনী: শুধু মেয়েদের লাইমলাইটে আসা নয়। বাংলা নাটক গত কয়েক বছরে বাংলা সিনেমাকে ছাপিয়ে গিয়েছে। অনেক মিড্ল অব দ্য রোড ছবি হলে তিন দিনের বেশি চলে না। কিন্তু নাচনী, মাধবী সুপারহিট।

পত্রিকা: নাটকের অগ্রগতির কারণ?
সোহিনী: অনেক। গৌতমদার মেঘনাদবধ কাব্য। তার পর দেবুদা...বাংলা মঞ্চে প্রথম যথার্থ ফ্রিল্যান্স অভিনেতা। একসঙ্গে ব্রাত্যদা, লালদা, দেবেশ, কৌশিকের আসা। নাটকও তাদের সাদরে গ্রহণ করেছে। আমার বাবা, মা অনেক দিন ধরে নতুনদের প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দিচ্ছেন।

পত্রিকা: অবন্তীর থ্রি সিস্টার্স নাটকে চমৎকার সেট। বিশাল ডাইনিং টেবিল ঘিরে উল্টো করে রাখা চেয়ার, অভিনেতারা সেগুলি নিয়ে এসে বসতে থাকে, কেউ লাফ দিতে থাকে।
অবন্তী: আমি আসলে ব্লকিং করতে করতে সেট করি। এক দিন রিহার্সালে দেখলাম, চেয়ারগুলি উল্টে রাখা। তখনই আইডিয়াটা খেলে গেল। নাটক বনাম সিনেমা নিয়ে আসল কথাটা বলব? নাটকের মতো ছকভাঙা তারুণ্যের উত্থান বাংলা সিনেমায় হয়নি। সৃজিত, কমলেশ্বর, মৈনাক ছাড়া আর কোথায়?

পত্রিকা: মুম্বইতে অনুরাগ কাশ্যপ বা বিক্রমাদিত্য মোতওয়ানে তো নাটকের ছেলেমেয়েদের নিয়েই সিনেমার ভোল বদলালেন।
সোহিনী: এখানে সেই পরিচালক কোথায়? শিবু যখন প্রথম ‘ইচ্ছে’তে আমাকে কাস্ট করে, নানা কথা। ও কেন? পরে ছবিটা হিট হল। অলীক সুখেও ঋতুপর্ণার পাশাপাশি দেবুদা। থিয়েটারের স্টারকে নায়ক করার সাহস আর কেউ তো দেখাল না।
ঈশিতা: বাংলা সিনেমার ক’ জন পরিচালক স্বেচ্ছায় নাটক দেখেন?

পত্রিকা: অবন্তী, আপনার ‘মেদেয়া’, ‘ইচ্ছের অলিগলি’ বা ‘থ্রি সিস্টার্স’ মুখ্যত মেয়েদের কথা বলে। হঠাৎ চেখভ কেন?
অবন্তী: ডিজায়ার ফর ডেস্টিনেশন। সকলেই হাঁটতে চায়, কোথাও না কোথাও পৌঁছতে চায়, নিজের চেনা গণ্ডি ছাপিয়ে আরও বড় একটা বৃত্তে পৌঁছতে চায়। নাটকে তিন বোন তাই মস্কো যাওয়ার স্বপ্ন দেখে। তাদের মতো স্বাধীনতা উপভোগ করতে চায়। শেষে অবশ্য স্বপ্ন পূরণ হয় না। তবু বলে, আমরা এখানেই আমাদের মতো ভাল থাকব। কাজ করব।

....অবন্তী অনুবাদ-নাটক করেন। অন্য দিকে, ‘কাল্লুমামা’ নামক মৌলিক নাটকটি ইশিতার লেখা। নাট্যকার বলতে গিরিশ ঘোষ থেকে উৎপল দত্ত, হর ভট্টাচার্য, ব্রাত্য অবধি পুরুষ-প্রাধান্যই সব। দুর্গ ভাঙল কী ভাবে?

ঈশিতা: লেখার সময় নারী-পুরুষ ভাবি না। তবে অভিজ্ঞতায় দেখেছি, মেয়েরা এখনও আড় ভেঙে উঠতে পারেন না। ধরুন, কোনও মহিলা বাড়িতে ‘রম’ বা ‘হুইস্কি’ খেতে ভালবাসেন, কিন্তু পার্টিতে তিনি ফলের রস দিয়ে ভদকা নেন।
অবন্তী: এগুলি কনফিডেন্স-এর ব্যাপার। মেয়েরা যত ওপরে উঠবে, তত ট্যাবু ভাঙার কনফিডেন্স পাবে।
সোহিনী: একেবারেই তাই। অভিনয়ের ক্ষেত্রেও ব্যারিয়ার থাকে। ‘ইচ্ছে’র একটা গল্প বলি। ছেলের সঙ্গে বিচ্ছেদ, আমাকে কাঁদতে হবে। আমি কাঁদলাম। হাঁউমাউ করে, আছাড়িবিছাড়ি কান্না। অন্য পরিচালক বলতেন, ও রকম হাঁ কোরো না। খারাপ দেখাচ্ছে। কিন্তু শিবু স্বাধীনতা দিল।

পত্রিকা: দেবশঙ্কর অনেক দিন বাদে ঈশিতার ‘কাল্লুমামা’ নাটকে একক অভিনয়ে। উদ্বাস্তু কাল্লু, যাত্রার কাল্লু, ম্যাজিশিয়ান কাল্লু, নকশাল কাল্লু, শেষে মাস্তান কাল্লু। কিন্তু নাটকটার মধ্যে আপনি মহাযান বৌদ্ধধর্মের কথাও মিশিয়ে দিয়েছেন। কোটি কল্প ধরে বুদ্ধ যেমন জন্ম নেন, কাল্লুও সে রকম যেন এক জন্ম থেকে আর এক জন্মের দিকে হেঁটে যায়।
ঈশিতা: কিন্তু গৌতম বুদ্ধের ঈপ্সিত মুক্তি আর কাল্লুর ইপ্সিত মুক্তি আলাদা। তাই সে মাস্তান হয়েও বিপ্লবীদের কম দামে অস্ত্র দেয়। বলে, যদি ভুল করে, আমাদের মতো হবে। যদি পথটা ঠিক হয়, মুক্তি আসবে।

...তিন কন্যাই তাঁদের মতো হেঁটেছেন। গত প্রজন্মে তৃপ্তি মিত্র, শোভা সেন, ঊষা গঙ্গোপাধ্যায় বা স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত, সুরঞ্জনা দাশগুপ্ত, শাঁওলী মিত্ররাও পরিচালনা করেছেন। তাঁদের তুলনায় আজ এসেছে কি কোনও পার্থক্য?

ঈশিতা: একটা পার্থক্য আছে। মেয়েরা আগেও পারতেন, কিন্তু এগিয়ে এসেছেন কম। কেন পরিচালনা করেন না, উত্তরে শোভা সেন এক বার বলেছিলেন, দলে এত ভাল পরিচালক থাকতে আমি কেন! অবাক লেগেছিল। উৎপল দত্ত নমস্য অবশ্যই। কিন্তু শোভা সেনও তাঁর মতো করে পরিচালনা করতে পারতেন।
অবন্তী: পুরুষতন্ত্রের রাজনীতিটা সূক্ষ্ম। সবাই স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত হন না, হাবিব তনবীর বা কানহাইয়ালালের স্ত্রীও হতে পারেন না। ফলে দল যাঁরা চালান, সেই পরিচালকেরা বেশির ভাগ সময় স্ত্রীকে অভিনেত্রী করে দিয়েছেন। নিদেনপক্ষে কস্টিউম ডিজাইনার! ভেবেছেন, আমার অনুপস্থিতিতে ও তো দলটা চালাতে পারবে। যে কারণে, নাটকের দলে সব সময় প্রধান মহিলা এক জনই। তিনি পরিচালকের স্ত্রী বা প্রেমিকা। অন্য অভিনেত্রীর ট্যালেন্ট থাকলেও তিনি নিরাপত্তার অভাবে ভোগেন।
সোহিনী: খাঁটি কথা। মেয়েরা প্রথমে পুরুষতন্ত্রের ভিকটিম হয়, তার পর এক সময় অজান্তে তার এজেন্ট বনে যায়।
তিন কন্যা
পত্রিকা: কিন্তু অবস্থাটা বদলাচ্ছে।
সোহিনী (হাসতে হাসতে): কিচ্ছু বদলায়নি। আপনি নিজেও নাটকের ভবিষ্যৎ বলতে বারংবার লাল-ব্রাত্য-কৌশিক, গৌতম-দেবশঙ্করই লেখেন।
ঈশিতা: স্ট্রং-উইল্ড মেয়েদের এখনও ম্যাগনিফাইং গ্লাসের নীচে কাটাছেঁড়া করা হয়। সিগারেট খাচ্ছে কেন? এত ছেলে-বন্ধু কেন?

...নারীজীবনের এই অভিজ্ঞতা কি ছাপ ফেলে নাটকেও? নান্দীকারের সাম্প্রতিক ‘নাচনী’ যেমন! শেষ দৃশ্যে মৃত স্বাতীলেখাকে সবাই পায়ে দড়ি বেঁধে শ্মশানে নিয়ে যেতে চায়, সোহিনী ঝাঁপিয়ে পড়েন। কুকুর-বেড়ালের মতো নিয়ে যাওয়া নয়, কাঁদতে কাঁদতে তিনি নিজেই সাজিয়ে দেবেন নাচনীর চিতা।
সোহিনী: ওই দৃশ্যে একটা প্যাশন এসে যায়। শেষ সংলাপটা ‘নিজের মতো করে বাঁচতে চাই আমি, তার সঙ্গে যেন লজ্জা বা অপমান না থাকে’ যখন বলি, সোহিনী আর বিজুলি এক হয়ে যায়। আমাদের মতো মেয়েরা যারা অভিনয় করে, নাচে, গান গায়, তথাকথিত সেলিব্রিটি, তাদের ক্ষেত্রে আজও সমাজের অনেক অহেতুক কৌতূহল, বাঁকা চাউনি থেকে যায়।


অবন্তী: মেয়েরা পুতুল নয়। তারাও গণ্ডি বাড়াতে চায়, জীবনে নতুন অভিজ্ঞতা খুঁজে পেতে চায়। থ্রি সিস্টার্স করতে গিয়ে সেটাই ভেবেছি। তিন বোনের জীবনে দারিদ্র নেই, তারা টার্কি খায়, ওয়াইন পান করে। কিন্তু রোজ রোজ একই কথা, একই মুখ, একই জীবন! এই ক্লান্তি কেউ স্বীকার করে, কেউ করে না।
ঈশিতা: কাল্লুমামা নাটকের শেষে জরায়ুর আদলে একটা বৃত্ত তৈরি হয়, দেবুদা তার মধ্যে হাত পা নাড়ায়। যে নতুন পৃথিবীতে জন্ম, তাকে আমরা কেউ নারীবর্জিত বা পুরুষবিবর্জিত দেখতে চাই না। সৃষ্টিই তা হলে থাকবে না। চাই ক্ষমতার ভারসাম্য।

পত্রিকা: তিন জনকে একটা কমন প্রশ্ন। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর রিপোর্টে নারীনিগ্রহে এই রাজ্য শীর্ষে। কী মনে হয়?
সোহিনী: কামদুনি, গাইঘাটা, দাইহাট। পুরো ব্যাপারটা এত বিরক্তিকর, কথা বলতে ইচ্ছে করে না। কাগজ পড়তেও আর ভাল লাগে না।
অবন্তী: নাটক তো সময়, সমাজ আর রাজনীতির বাইরে নয়। তাই বিরক্তি লাগে, অস্বস্তি হয়।
ঈশিতা: রাত ন’টার পর গড়িয়াহাট দিয়েও ফিরতে ভয় লাগে। একটা ‘ফিয়ার সাইকোসিস’ তৈরি হয়েছে।
সোহিনী: ভয় লাগে, এ সব বললেই মাওবাদী তকমা দেবে।
তিন জনে সমস্বরে: ভয় লাগে।

ছবি: সুব্রত কুমার মণ্ডল
শ্যুটিং স্পট: সিসিডি (লেক রোড)


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.