দক্ষিণ কলকাতা: গড়িয়া, সোনারপুর
নিত্য ভোগান্তি
বিধি ভেঙে যানজট
ট্রাফিক বিধি উপেক্ষা করে, পুলিশের নজর এড়িয়ে দিনের ব্যস্ত সময়ে এনএসসি বোস রোড এবং কুলপি রোডের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় চলছে লরি। ফলে কামালগাজি মোড়, রাজপুর মোড়, বারুইপুর কাছারি বাজারের মোড়-সহ বিভিন্ন এলাকায় তীব্র যানজট লেগেই থাকছে।
ট্রাফিক নিয়ম অনুযায়ী, সকাল ন’টা থেকে রাত ন’টা গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় লরি চলাচল নিষেধ। কিন্তু ওই ব্যস্ত সময়েই এনএসসি বোস রোড এবং কুলপি রোডে অবাধে চলাচল করছে লরি।
গড়িয়া মোড়ের পর থেকে এনএসসি বোস এবং কুলপি রোডের বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার দু’ধার জুড়ে রয়েছে দখলদারি। ফলে রাস্তা এমনিতেই সঙ্কীর্ণ। তার উপরে অফিসের ব্যস্ত সময়ে লরি ঢুকে পড়ে। ফলে যাত্রিবাহী গাড়িগুলি দীর্ঘ ক্ষণ আটকে থাকে। তীব্র যানজট তৈরি হয়। স্থানীয় বাসিন্দা রাজদীপ তালুকদার বলেন, “অফিস পৌঁছনোর জন্য রোজ হাতে অন্তত আধ ঘণ্টা বেশি সময় নিয়ে বেরোতে হয়। লরির জন্য নিত্য যানজট লেগেই থাকে। বিভিন্ন মহলে বার বার এই সমস্যার কথা জানিয়েও সুরাহা হয়নি।”
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, এনএসসি বোস ও কুলপি রোড কলকাতার ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের সঙ্গে যুক্ত। ফলে অনেক সময় বারুইপুর পুরাতন বাজারের পয়েন্ট থেকে জয়নগর এবং ক্যানিং থেকে আসা কলকাতাগামী লরি ঢুকে পড়ে। নজরদারি থাকলেও সব লরিকে আটকানো সবসময়ে সম্ভব হয় না বলে দাবি করেছেন জেলায় কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের একাংশ।
ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যস্ত রাস্তার প্রতিটি পয়েন্টে লরি চলাচলের বিষয়টি দেখার জন্য প্রয়োজনীয় কর্মী নেই। প্রয়োজনীয় কর্মী না থাকলেও সংশ্লিষ্ট পয়েন্টগুলিতে লরিচালকদের উদ্দেশে কোনও সতর্কবাণী বা নোটিস টাঙানো থাকে না কেন? দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডিএসপি (ট্রাফিক) জয় টুডু বলেন, “সমস্যাটি আমাদের নজরে এসেছে। সুরাহার উপায় নিয়ে উচ্চতর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ছবি: অমরেশ চক্রবর্তী




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.