অ্যাসেজ
বিতর্কের ঝড়ের মধ্যেই ডিআরএস বহাল থাকল
ব্যাটের কানা সিলিকন টেপ-এ ঢেকে ডিআরএস প্রযুক্তিকে ঠকানো নিয়ে বিতর্কের টাটকা ঝড়ের মধ্যেই শুক্রবার ডারহামে শুরু হচ্ছে চলতি অ্যাসেজের চতুর্থ টেস্ট। এবং ডিআরএস নিয়ে সমস্যা রয়েছে বলে খোদ আইসিসি স্বীকার করে নিলেও অ্যাসেজের শেষ দুই টেস্টে এই প্রযুক্তির ব্যবহার জারি থাকছে।
বুধবার ডিআরএস সংক্রান্ত নানা অভিযোগ নিয়ে ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া দলের সঙ্গে আলোচনায় বসেন আইসিসি-র জেনারেল ম্যানেজার ক্রিকেট অপারেশন, জিওফ অ্যালারডিস। এর পরেই বাদবাকি সিরিজে ডিআরএস ব্যবহারে রাজি হয়ে যায় দু’দল। তীব্র সমালোচনার মুখে ডিআরএস সমস্যার সমাধানে আইসিসি গতকাল উড়িয়ে এনেছিল অ্যালারডিসকে। যিনি বলেছেন, “আমরা মেনে নিচ্ছি, আগের কয়েকটা সিরিজে ডিআরএস যতটা কার্যকর ছিল, অ্যাসেজে ততটা হয়নি। তবে দু’দেশের সঙ্গে আলোচনার উদ্দেশ্যই ছিল খামতিগুলো চিহ্নিত করে কী ভাবে এই প্রযুক্তিতে আরও উন্নতি ঘটানো যায় সেটা দেখা।” অ্যালারডিস জানিয়েছেন, ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া ডিআরএস নিয়ে যে সব প্রস্তাব দিয়েছে, আইসিসি সেগুলি বিবেচনা করবে।

কেপিকে নিয়ে অভিযোগ ওড়ালেন কুক। ছবি: এএফপি
ইংল্যান্ড অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক আবার জানিয়েছেন, সিরিজের মাঝখানে ডিআরএস ব্যবহার বন্ধ হয়ে গেলে সেটা ভাল উদাহরণ হত না। কুকের কথায়, “সিরিজের মাঝখানে ডিআরএসের ব্যবহার বন্ধ হলে সেটা বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত হয়ে থাকত।” তবে ব্যাটে সিলিকন টেপ লাগানো নিয়ে চ্যানেল নাইন-এর অভিযোগকে ‘‘পুরোপুরি মনগড়া’’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন কুক। ওল্ড ট্র্যাফোর্ড টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে কেভিন পিটারসেন টেপ ব্যবহারে হট স্পটকে ধোকা দেন বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছিল চ্যানেল নাইন। যাকে ‘নক্কারজনক সাংবাদিকতা’ বলেন পিটারসেন। চ্যানেলকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে গতকালই দাবি করেছিল ইংল্যান্ড বোর্ড। কুক এ দিন ভর্ৎসনার সুরটা আরও চড়া করে বলেছেন, “দু’টো দলই এমন আষাড়ে গল্প শুনে প্রাণখুলে হেসেছে। অভিযোগ শুধু অজগুবিই নয়, পুরোপুরি মিথ্যে এবং চরম অপমানকর। আপনাকে কেউ জোচ্চোর বললে সেটা শুনতে মোটেই দারুণ লাগে না।”
অস্ট্রেলীয় চ্যানেল অবশ্য এতে দমছে না। উল্টে ডিআরএসের আবিষ্কর্তা ওয়ারেন ব্রেনানকে টেনে এনেছে তারা। সিলিকন টেপ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর উদ্বিগ্ন ব্রেনান চলতি সপ্তাহের গোড়ায় আইসিসি কর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন বলে চ্যানেল নাইনের দাবি। তারা বলেছে, “ব্যাটের কানায় টেপ-এর দু’টি পরত লাগালে ব্যাটের সঙ্গে বলের ঘর্ষণ হট স্পটে আর ধরা পড়ে না বলে আইসিসি-কে জানিয়েছেন ব্রেনান। কিন্তু আইসিসি-র তরফে তাঁকে মুখ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।” আইসিসি যে দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছে।
এ দিকে, ডিআরএস নিয়ে বিতর্কের ঝড়ের মধ্যেই কাল থেকে অ্যাসেজ ইতিহাসে ঢুকে পড়ছে ডারহামের চেস্টার-লে-স্ট্রিট। ১৮৮২ থেকে এ পর্যন্ত ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের মাত্র আটটি মাঠে অ্যাসেজ খেলা হত। ডারহাম হতে চলেছে অ্যাসেজের নবতম এবং নবম কেন্দ্র।

পুরনো খবর:




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.