টুকরো খবর
দেহাটিতে পুলিশ পোস্ট তৈরির দাবি
দুই মেদিনীপুরের সীমানাবর্তী এলাকা দেহাটিতে পুলিশ পোস্ট তৈরির দাবি জানাল তৃণমূল। সোমবার অমূল্য মাইতির নেতৃত্বে তৃণমূলের এক প্রতিনিধি দল পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করে এই দাবি জানান। জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য অমূল্যবাবু এ বার জেলা পরিষদ আসনে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বলেন, “পুলিশ সুপারের কাছে কিছু দাবি জানিয়েছি। তার মধ্যে দেহাটিতে পুলিশ পোস্টের দাবিও রয়েছে। পুলিশ সুপার সমস্ত দিক দেখে পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন।” দুই মেদিনীপুরের সীমানাবর্তী এলাকাগুলোর মধ্যে দেহাটি অন্যতম। এই এলাকায় সেতুও রয়েছে। নীচে বইছে কেলেঘাই নদী। নদীর একদিকে পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং, অন্যদিকে পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর। মাঝেমধ্যে এই এলাকায় নজরদারি চালায় পুলিশ।

দেহাটি সেতুতে তল্লাশি। —নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, এলাকায় পুলিশ পোস্ট হলে স্থানীয় মানুষ উপকৃত হবেন। অভিযোগ জানাতে বহু পথ উজিয়ে সবং থানায় আসতে হবে না। পুলিশ পোস্টে গিয়েই অভিযোগ জানানো যাবে। জেলা পুলিশের এক সূত্রের বক্তব্য, কোনও এলাকায় পুলিশ পোস্ট করতে গেলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি প্রয়োজন। এটি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। আগে জেলা থেকে রাজ্যে প্রস্তাব যাবে। রাজ্য তা অনুমোদন কার্যকর করার পদক্ষেপ শুরু হবে। ইতিমধ্যে কিছু থানাকে ভেঙে নতুন থানা করার প্রস্তাব রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। সেই প্রস্তাবই এখনও অনুমোদন হয়নি। ফলে, দেহাটিতে এখনই পুলিশ পোস্টের প্রস্তাব গৃহীত হবে কি না সংশয়। তবে, এলাকায় পুলিশ ক্যাম্প হতে পারে।

বধূ নির্যাতনে ধৃত স্বামী-শ্বশুর
দু’টি পৃথক বধূ নির্যাতনের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের মঙ্গলবার কাঁথি এসিজেএম আদালতে তোলা হলে চোদ্দো দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। বছরখানেক আগে পটাশপুর থানা এলাকার বামুনদা গ্রামের পিন্টু বিশাইয়ের সাথে মানপুর গ্রামের আলপনা বিশাইয়ের বিয়ে হয়। আলপনাদেবীর অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই অতিরিক্ত পণের দাবিতে তাঁর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। গ্রামে সালিশি হলেও কোনও কাজ না হওয়ায় সম্প্রতি আলপনাদেবী কাঁথি এসিজেএম আদালতে লিখিত অভিযোগ জানান। আদালতের নির্দেশেই মামলা রুজু করে পুলিশ। সোমবার রাতে পুলিশ ওই মহিলার স্বামী ও শ্বশুর চর্তুভুজ বিশাইকে গ্রেফতার করে। শাশুড়ি দুর্গা বিশাই পলাতক। অন্য ঘটনাটি এগরা থানা এলাকার কীর্তিপুর গ্রামের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামের কালীপদ বেরার সঙ্গে বছর সাতেক আগে বিয়ে হয় সবিতা বেরার। ১ অগস্ট কাঁথি এসিজেএম আদালতে সবিতাদেবী অভিযোগ জানান, বিয়ের পর থেকে অতিরিক্ত পণের দাবিতে স্বামী সহ তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁর উপর নির্যাতন চালিয়ে আসছেন। নির্যাতনের মাত্রা উত্তরোত্তর বাড়ায় তিনি বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। সোমবার রাতে পুলিশ সবিতাদেবীর স্বামীকে গ্রেফতার করেছে।

প্রহৃত শিক্ষক, প্রতিবাদ স্কুলে
প্রধান শিক্ষককে হেনস্থায় অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে স্কুল বন্ধ রেখে আন্দোলন শুরু করল পড়ুয়ারা। তাতে সামিল হল অভিভাবকরাও। ঘাটালের হরিসিংহপুর প্রাথমিক স্কুলে সকাল দশটা থেকে শুরু হয় ওই আন্দোলন। খবর পেয়ে দুপুরে ঘাটাল থানার পুলিশ গিয়ে অভিযুক্ত প্রবীর মাইতিকে ধরার আশ্বাস দিলে আন্দোলন ওঠে। আন্দোলনকারীদের হুঁশিয়ারি, পুলিশ অভিযুক্তকে না ধরলে ফের তাঁরা আন্দোলন শুরু করবেন। সম্প্রতি ওই স্কুলে একটি সংস্থা কিছু বেঞ্চ দান করেছিল। সোমবার ছুটির সময় ওই স্কুলের গ্রাম শিক্ষা কমিটির প্রাক্তন সদস্য প্রবীর মাইতি স্কুলে এসে কী ভাবে বেঞ্চ পাওয়া গেল তা জানতে চান। রিসিভ কপিও দেখতে চান। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়, মিটিং ডেকে তা জানানো হবে। তখন শুরু হয় বচসা। অভিযোগ, সেই সময় আচমকাই প্রধান শিক্ষক দিব্যেন্দু পালের জামার কলার ধরে হেনস্থা ও মারধর করা হয়। সহ শিক্ষকরা বাধা দিলে প্রবীর মাইতি স্কুল থেকে পালান। এরপর দিব্যেন্দুবাবুকে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করাতে হয়। রাতে প্রবীর মাইতির নামে অভিযোগ দায়ের করেন দিব্যেন্দুবাবু। উল্লেখ্য, অভিযুক্ত প্রবীর মাইতি প্রধান শিক্ষক দিব্যেন্দু পালের ছাত্র তথা ওই এলাকারই এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্ণধার। পুরো ঘটনায় হতাশ প্রধান শিক্ষকের প্রশ্ন, “যে ক’টি বেঞ্চ পেয়েছি তার নথি আছে আমার কাছে। কিন্তু মিটিং ছাড়া সেটা কাউকে দিতে যাব কেন?” অভিযুক্ত প্রবীর মাইত অবশ্য নিজের ভুল স্বীকার করেছেন।

লরির ধাক্কায় মৃত তরুণ, জখম সঙ্গী
মঙ্গলবার দুপুরে ঝাড়গ্রাম শহরের সারদাপীঠ মোড়ের কাছে লরির ধাক্কায় মোটর সাইকেল আরোহী এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম হয়েছেন মোটর সাইকেলের আরোহী অপর এক তরুণ। মৃতের নাম সৌমেন ভূঁঞ্যা (১৯)। সৌমেনের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলিয়াবেড়া থানার বনগড়া গ্রামে। ওড়িশার বালেশ্বর আইটিআইয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন সৌমেন। এ দিন বন্ধু হৃষিকেশ ঘোষকে পিছনে বসিয়ে মোটর সাইকেল চালিয়ে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ঝাড়গ্রামে যাচ্ছিলেন সৌমেন। দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ সারদাপীঠ মোড়ের কাছে হঠাৎই উল্টো দিক থেকে দ্রুত গতিতে আসা একটি দশচাকার লরি তাদের মোটর সাইকেলে ধাক্কা মারে। সৌমেন ও হৃষিকেশ দু’জনেই ছিটকে পড়ে মাথায় ও পায়ে গুরুতর আঘাত পান। ঘটনাস্থলেই সৌমেনের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থার হৃষিকেশকে প্রথমে ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে পরিজনেরা হৃষিকেশকে কটকের একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। বছর কুড়ির হৃষিকেশের বাড়ি বেলিয়াবেড়ার জামুয়া-আখনা গ্রামে। হৃষিকেশ গোপীবল্লভপুরের সুবর্ণরেখা কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। লরিটিকে আটক করেছে পুলিশ।

পথ দুর্ঘটনা, মৃত কংগ্রেস নেতা
দলীয় বৈঠক করে বাড়ি ফেরার সময় পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক কংগ্রেস নেতার। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আর এক কংগ্রেস নেতা। সোমবার এগরা শহরের এগরা-বেলদা রাস্তায় ঘটনাটি ঘটে। মৃতের নাম গৌরহরি জানা (৬৫)। বাড়ি এগরা শহরের জগন্নাথপুর এলাকায়। গৌরহরিবাবু এগরা পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন। ওই ঘটনায় আহত স্থানীয় বাসিন্দা কংগ্রেস নেতা পুলিন দাসকে কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এগরা পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পুলিনবাবুর স্ত্রী লক্ষ্মীপ্রিয়া দাসের মৃত্যুর পরে ওই আসনটি শূন্য হয়। তাই আগামী ২১শে সেপ্টেম্বর ওই ওয়ার্ডে উপনির্বাচন হবে। সেই কারণে এ দিন স্থানীয় কয়েকজন কংগ্রেস নেতা শহরের ছ’নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের বাড়িতে বৈঠক করেন। এগরা শহরের ছ’নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের বাড়িতে দলীয় বৈঠক সেরে বাড়ি ফেরার পথে এগরা-বেলদা রাস্তায় জাহালদাগামী একটি বাইক তাঁদের ধাক্কা মারে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় গৌরহরিবাবুকে এগরা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। চালক পলাতক।

বধূ নির্যাতন, ধৃত তিন জন
দু’টি পৃথক বধূ নির্যাতনের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের মঙ্গলবার কাঁথি এসিজেএম আদালতে তোলা হলে চোদ্দো দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছরখানেক আগে পটাশপুর থানা এলাকার বামুনদা গ্রামের পিন্টু বিশাইয়ের সাথে মানপুর গ্রামে র আলপনা বিশাইয়ের বিয়ে হয়। আলপনাদেবীর অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই অতিরিক্ত পণের দাবিতে তাঁর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। গ্রামে সালিশি করেও কোনও কাজ না হওয়ায় আলপনাদেবী সম্প্রতি কাঁথি এসিজেএম আদালতে লিখিত অভিযোগ জানান। আদালতের নির্দেশেই মামলা রুজু করে পুলিশ। সোমবার রাতে পুলিশ ওই মহিলার স্বামী ও শ্বশুর চর্তুভুজ বিশাইকে ধরে। শাশুড়ি দুর্গা বিশাই পলাতক। অন্য ঘটনাটি এগরা থানা এলাকার কীর্তিপুর গ্রামের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামের কালীপদ বেরার সঙ্গে বছর সাতেক আগে বিয়ে হয় সবিতা বেরার। ১ অগস্ট কাঁথি এসিজেএম আদালতে সবিতাদেবী অভিযোগ জানান, বিয়ের পর থেকে অতিরিক্ত পণের দাবিতে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁকে নির্যাতন করেছেন। নির্যাতনের মাত্রা বাড়ায় তিনি বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। সোমবার রাতে পুলিশ সবিতাদেবীর স্বামীকে গ্রেফতার করেছে।

পিছলে পড়ে মৃত্যু শ্রমিকের
কারখানার শেড তৈরির কাজ করার সময় পা পিছলে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল এক শ্রমিকের। সোমবার রাতে হলদিয়ার সিটি সেন্টারে এক ভোজ্য তেলের কারখানায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। মৃতের নাম বিষ্ণুপদ মাইতি (৪০)। বাড়ি এলাকার বাড়উত্তর হিংলীর আনন্দপুরে। কারখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে ওই ভোজ্য তেলের কারখানায় অপরিশোধিত ডাল শোধন করার নতুন প্রকল্পের কাজ চলছে। এ দিন ওই শেডেই কাজ করছিলেন বিষ্ণুপদবাবু। কাজ শেষে সেফটি বেল্ট খুলে নীচে নামার সময় পা পিছলে তিনি পড়ে যান বলে কারখানা কর্তৃপক্ষের অনুমানা। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে দুর্গাচকের একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তমলুক জেলা হাসপাতালে মৃত্যু হয়। এ দিকে, দুর্ঘটনার পর নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগে সরব হন শ্রমিকেরা। মৃত শ্রমিকের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণের দাবি ওঠে। তৃণমূল ঠিকাশ্রমিক ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি শঙ্কর জানা বলেন, “আমরা ওই শ্রমিকের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করেছি।” কারখানার ম্যানেজার (এইচআর) অরিন্দম রায় বলেন, “এটি নিছক একটি দুর্ঘটনা। তবে, ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।”

লরির ধাক্কায় মৃত তরুণ
মঙ্গলবার দুপুরে ঝাড়গ্রাম শহরের সারদাপীঠ মোড়ের কাছে লরির ধাক্কায় এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম হয়েছেন মোটর সাইকেলের আরোহী অপর এক তরুণ। মৃতের নাম সৌমেন ভূঁঞ্যা (১৯)। সৌমেনের বাড়ি বেলিয়াবেড়া থানার বনগড়া গ্রামে। ওড়িশার বালেশ্বর আইটিআইয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন সৌমেন। এ দিন বন্ধু হৃষিকেশ ঘোষকে পিছনে বসিয়ে মোটর সাইকেল চালিয়ে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ঝাড়গ্রামে যাচ্ছিলেন সৌমেন। সারদাপীঠ মোড়ের কাছে হঠাৎই উল্টো দিক থেকে আসা একটি লরি তাঁদের মোটর সাইকেলে ধাক্কা মারে। সৌমেন ও হৃষিকেশ দু’জনেই ছিটকে পড়ে মাথায় ও পায়ে গুরুতর আঘাত পান। ঘটনাস্থলেই সৌমেনের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থার হৃষিকেশকে প্রথমে ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে পরিজনেরা হৃষিকেশকে কটকের একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। বছর কুড়ির হৃষিকেশের বাড়ি বেলিয়াবেড়ার জামুয়া-আখনা গ্রামে। লরিটিকে আটক করেছে পুলিশ। চালককে ধরা হয়েছে।

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু দাসপুরে
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। মঙ্গলবার বিকেলে দাসপুর থানার নাড়াজোলের ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। মৃতের নাম পুষ্পেন্দু বিকাশ কর (৪৫)। এ দিন বিকেলে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকার সময় হঠাৎ এগারো হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে তাঁর মাথার উপর পড়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় পুষ্পেন্দুবাবুর। বিদ্যুৎ দফতরের গাফিলতির অভিযোগ তুলে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। দফতরের কর্মীদের শাস্তি-সহ ক্ষতিপূরণের দাবিও জানান বাসিন্দারা। পরে নাড়াজোল-মেদিনীপুর সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। ময়না-তদন্তের জন্য পুলিশ দেহ নিতে গেলেও বাধা দেওয়া হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

লরির ধাক্কায় মৃত্যু প্রৌঢ়ের
অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক সরকারি কর্মীর। সোমবার বিকেলে তমলুক থানার রাধামনির কাছে হলদিয়া-মেচেদা জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে। মৃতের নাম শিবনাথ রামভকত (৫৬)। বাড়ি মহিষাদল থানার গেঁওখালি এলাকায়। তিনি তমলুক পঞ্চায়েত সমিতির ডেপুটি সেক্রেটারি পদে কর্মরত ছিলেন। এ দিন বিকেলে তমলুকের নাইকুড়িতে পঞ্চায়েত সমিতির অফিস থেকে বেরিয়ে দুই সহকর্মীর সঙ্গে রাধামনি বাজার বাসস্টপে আসেন শিবনাথবাবু। সেখানে রাস্তা পার হওয়ার সময় হলদিয়াগামী একটি লরি তাঁকে ধাক্কা মারে। তমলুক জেলা হাসপাতালে মৃত্যু হয় সন্ধ্যায়।

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল পুষ্পেন্দু বিকাশ কর (৪৫) নামে এক ব্যক্তির। মঙ্গলবার বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকার সময় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে মাথায় পড়লে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় পুষ্পেন্দুবাবুর। পরে বিদ্যুৎ দফতরের গাফিলতির অভিযোগ তুলে স্থানীয়রা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় ও মৃতের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণের দাবি তোলে। পরে নাড়াজোল-মেদিনীপুর সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.