এক সময় বীরভূমের ‘আলিমুদ্দিন’ হিসেবে চিহ্নিত ছিল নগরী। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিউড়ি ১ ব্লকের সেই ‘আলিমুদ্দিনে’র ক্ষমতা দখল করেছিল তৃণমূল। ফের এই পঞ্চায়েত দখল করে খানিকটা হলেও স্বস্তিতে রয়েছে জেলা সিপিএম নেতৃত্ব।
এই পঞ্চায়েতের আসন সংখ্যা ৮। এলাকার বাসিন্দা, হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন জেলা সিপিএমের অভিভাবক তথা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক অরুণ চৌধুরী। প্রয়াত সিপিএমের তাত্বিক নেতা তথা তিন বারের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ রণজিৎ দত্তের মতো মানুষেরা ওই গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। সেই সময় জমি দখল আন্দোলনে সিপিএম কর্মী বিভূতি বাগদি খুন হয়েছিলেন। ১৯৭৬ সালে পালা বদলের পরে প্রয়াত বিভূতিবাবুর এক ছেলে কংগ্রেসে যোগ দেন। পরে অবশ্য তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে এলাকায় নজরকাড়া উন্নয়ন হয়। একটি বহুজাতিক সংস্থা এসেও উন্নয়নের কাজ করে যায়।
পঞ্চায়েত সমিতির দু’টি আসন ছিল তৃণমূল বিধায়ক স্বপন ঘোষের দখলে। এমনকী সেই সময়ের কংগ্রেস নেতা হিসেবে স্বপনবাবু জেলা পরিষদের তৃণমূল প্রার্থী মিহির মণ্ডলকে জেতান। এ বার অবশ্য ওই আসনটি মহিলা সংরক্ষিত হয়। মিহিরবাবুর স্ত্রী ওই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে গিয়েছেন। জিতেছেন সিপিএমের চন্দ্রাবলী মণ্ডল। ওই এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির দু’টি আসনেও জয়ী হয়েছে সিপিএম। শুধু তাই নয়, এলাকায় জেলা পরিসদ আসনেও সিপিএম ‘লিড’ পেয়েছে। এলাকার তৃণমূল সমর্থকদের বক্তব্য, গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জেরে এমন ফলাফল হয়েছে। তৃণমূল বিধায়ক স্বপনবাবুর ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে সিপিএমের সিউড়ি জোনাল সম্পাদক দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায় এবং জেলা সম্পাদক দিলীপ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, “আমরা মানুষের সঙ্গে আছি। তাই মানুষ আমাদের সমর্থন করেছেন।” |