অভিযোগ দায়ের হওয়ার ন’দিন পরে পুলিশ এক নিখোঁজ যুবকের খোঁজ পেল। জীবিত নয়, মৃত অবস্থায়। হাসপাতালের মর্গে। প্রথমে দুর্ঘটনা মনে করা হলেও পরে খুনের মামলা দিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগের সঙ্গে সঙ্গে খাস কলকাতাতেই থানায়-থানায় সমন্বয় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
পুলিশ জানায়, মৃতের নাম মনজেশ পাসোয়ান (৩৫)। ছাতাওয়ালা গলির বাসিন্দা মনজেশ নিখোঁজ বলে ১৫ জুন বৌবাজার থানায় ডায়েরি করেন তাঁর দাদা উদেশ। ১৯ জুন তাঁরা অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। মনজেশের খোঁজ করতে গিয়ে তাঁর পরিবার জানতে পারে, ভূপিন্দর যাদব নামে ছাতাওয়ালা গলিরই অন্য এক বাসিন্দা উধাও হয়ে গিয়েছে। মনজেশকে সেই ভূপিন্দরই অপহরণ করেছে বলে পরিবারের সন্দেহ।
অন্য দিকে, প্রগতি ময়দান থানা এলাকায় বাসন্তী হাইওয়ের কাছে ধাপা-দুর্গাপুর রোডে ১৬ জুন সকালে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবককে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পথ-দুর্ঘটনাতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে মামলা শুরু করে প্রগতি ময়দান থানা। শনাক্তকরণ না-হওয়ায় দেহটি রাখা হয় নীলরতন সরকার হাসপাতালের মর্গে। মঙ্গলবার, অন্তর্ধানের ন’দিন পরে মর্গে রাখা দেহটি মনজেশের বলে শনাক্ত করে তাঁর পরিবার। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এত দিনে খুনের মামলা রুজু করেছে।
প্রশ্ন উঠেছে: খাস কলকাতার একটি থানায় নিখোঁজ-অপহরণের ডায়েরি এবং পরের দিনই অন্য একটি থানায় মৃতদেহ উদ্ধার নিয়ে মামলা হওয়া সত্ত্বেও দেহ শনাক্ত হতে ন’দিন লাগল কেন? এটাই কি থানায়-থানায় সমন্বয়ের নমুনা? পুলিশ অবশ্য বলছে, নিখোঁজ-অপহরণের অভিযোগ পেয়েই তারা তদন্তে নেমে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুর্ঘটনায় মৃতদের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয় কেউ আছেন কি না, তার খোঁজ নিয়েছিল। |
