ইস্তফার ইতিবৃত্ত
রবিবার
রাত দশটা
পদত্যাগপত্র লিখলেন আডবাণী।

রাত এগারোটা
মেয়ে প্রতিভা চিঠি টাইপ করলেন।
সোমবার
সকাল সাড়ে দশটা
রাজনাথ সিংহের কাছে চিঠি পৌঁছে
দিলেন আডবাণীর ব্যক্তিগত সচিব
দীপক চোপড়া। ইস্তফা মানছেন না,
দীপককে জানিয়ে দিলেন রাজনাথ।
সাড়ে বারোটা
আডবাণীর বাড়িতে
রাজনাথ। ১৫
মিনিটের বৈঠক।
বেলা দু’টো
আডবাণীর কাছে
এলেন অনন্তকুমার।

তিনটে

এলেন বেঙ্কাইয়া নায়ডু।
সাড়ে তিনটে

সুষমা স্বরাজ এলেন।
বিকেল চারটে
মোদীর ফোন। জানানো হল
আডবাণী ঘুমোচ্ছেন।

পাঁচটা
আরএসএস নেতা
গুরুমূর্তির সঙ্গে
কথা আডবাণীর।
সাড়ে পাঁচটা
রাজনাথের বাড়িতে
অরুণ জেটলি ও
মোদী-ঘনিষ্ঠ
অমিত শাহ।
সন্ধ্যে ছ’টা
ফের মোদীর ফোন। আডবাণীকে বললেন,
আমার যদি কোনও ভুল হয়ে থাকে,
তা হলে মার্জনা চাইছি। শুধু আমি নই,
সমগ্র গুজরাতের মানুষের হয়ে
আমি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমা চাইছি।

সাতটা

রাজনাথের বাড়িতে সংসদীয়
দলের বৈঠক শুরু।
রাত সাড়ে ন’টা
সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত
হয়নি ইস্তফা,
জানালেন রাজনাথ।
পৌনে দশটা
ফের আডবাণীর বাড়ি
গিয়েও তাঁকে নরম
করতে ব্যর্থ সুষমারা।


ফোনে আডবাণীজির সঙ্গে সবিস্তার কথা হল। ওঁকে
ওঁর সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করার জন্য অনুরোধ করেছি। আশা
করি, লক্ষ লক্ষ কর্মকর্তাকে উনি নিরাশ করবেন না।

 


অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.