টুকরো খবর
জমির দখল নিল পুরসভা
ট্যাংরা এলাকার ক্যানাল সাউথ রোডে পুরসভার প্রায় এক হাজার বর্গমিটার জমি পাঁচিল গিয়ে ঘিরে রেখেছিল এক প্রোমোটার সংস্থা। কয়েক বার বলা সত্ত্বেও কাজ না হওয়ায় সোমবার জমিটি দখলে নিল পুর প্রশাসন। এ দিন পুলিশের উপস্থিতিতে পুরকর্মীরা পে লোডারের সাহায্যে পাঁচিল ভেঙে দেন। মেয়র পারিষদ (বস্তি) স্বপন সমাদ্দার জানান, ওই এলাকায় বস্তিবাসীদের জন্য বাড়ি তৈরি হবে। পুরসভা সূত্রের খবর, ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডে ক্যানাল সাউথ রোডে ওই জমিটি আদতে ছিল কেআইটি-র। বস্তিবাসীকে ঘর দেওয়ার প্রকল্পের (বেসিক সার্ভিসেস ফর আরবান পুওর বা বিএসইউপি) জন্য কেআইটি-র কাছ থেকে জমিটি নেয় পুর প্রশাসন। স্বপনবাবু বলেন, “প্রায় ২ একর জমির মধ্যে এক হাজার বর্গমিটার জায়গা দখল করে একটি প্রোমোটার সংস্থা। পুরসভার জমির পাশেই তাদের জমি আছে।” পুরসভার এক অফিসার জানান, বিষয়টি নজরে আসতেই ওই সংস্থাকে ডেকে পাঁচিল ভেঙে জায়গা খালি করতে বলা হয়। কিন্তু তাঁরা কিছু করেননি। এ দিন সেটির দখল নেওয়া হয়। স্বপনবাবু জানান, বস্তিবাসীদের থাকার জন্য ওই জমিতে ২৫টি বাড়ি বানাবে পুরসভা। প্রতি বাড়িতে ২০টি করে পরিবার থাকতে পারবে। অর্থাৎ মোট ৫০০টি পরিবার ফ্ল্যাট পাবে। তিনি বলেন, “প্রায় ৪০ কোটি টাকার ওই প্রকল্পের কাজ খুব শীঘ্রই শুরু হবে।”

পঞ্চায়েতে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পথে কংগ্রেস
পঞ্চায়েতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগে সোমবার কলকাতায় পথে নামল কংগ্রেস। তবে এ দিনই ছিল পঞ্চায়েত ভোটের প্রথম দফার মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। সেই জন্য রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে এই কর্মসূচি ঘিরে দলে বিশেষ উৎসাহ ছিল না। উত্তরবঙ্গের দু’জন ছাড়া দলের অন্য বিধায়কদের দেখাও যায়নি সভায়। নিজের বিধানসভা এলাকায় মনোনয়ন-পর্ব নিয়ে ব্যস্ত থাকায় আসতে পারেননি মানস ভুঁইয়াও। সভায় হাতে-গোনা কর্মী-সমর্থকের ভিড় দেখে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যও যে কারণে তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই বলেন, “মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে কলকাতায় এই অবস্থানের ডাক দেওয়া ঠিক হয়নি। কিন্তু আমাদের কর্মীরা অত্যাচারের বাধা কাটিয়েও মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। সন্ত্রাস নিয়ে নির্বাচন কমিশন, রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। সব দরজায় যাওয়ার পরে বাকি একমাত্র মানুষের দরজায় যেতেই এই সভা করছি।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে প্রদীপবাবু বলেন, “আপনি লড়াইয়ের ময়দান থেকে পিছিয়ে গিয়ে পুলিশ ও মস্তান দিয়ে কাপুরুষের মতো পঞ্চায়েতে জিততে চাইছেন!” কংগ্রেসের সন্ত্রাসের এই অভিযোগ তাদের দলের কর্মীরাই বিশ্বাস করেন না বলে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের মহাসচিব ও রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর মন্তব্য, “প্রদীপ ভট্টাচার্যেরা যে সন্ত্রাসের অভিযোগ করছেন, দলের কর্মীরাই তা বিশ্বাস করেন না। তাই ওঁদের সভায় লোক হয়নি।” দলের কর্মীদের উদ্দেশে প্রদীপবাবু অবশ্য বলেন, “মার খেয়েও গ্রামে গ্রামে সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে আপনারা লড়াই করুন।” আর করে পার্থবাবুর পাল্টা মন্তব্য, “সিপিএম আজ যা বলে, কংগ্রেস কাল তা বলে! এই দু’দলের কাজ মমতার কুৎসা করা।”

ফ্ল্যাটে বৃদ্ধের গলাকাটা দেহ
আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে এক বৃদ্ধের গলাকাটা দেহ মিলল। সোমবার, পাটুলির কেন্দুয়ায়। মৃতের নাম সুজিত চৌধুরী (৬২)। প্রাক্তন ব্যাঙ্ককর্মী সুজিতবাবু একাই থাকতেন। পুলিশ জানায়, সন্ধ্যায় সুজিতবাবুর পরিচারক দেখেন, ফ্ল্যাটের গ্রিলে তালা। দরজা খোলা। সাড়া না পেয়ে তিনি পুলিশে খবর দেন। পুলিশ তালা ভেঙে ঢুকে দেখে, সুজিতবাবু পড়ে রয়েছেন। গলায় গভীর ক্ষতচিহ্ন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানায়, ধারালো অস্ত্রেই ওই ক্ষত। লালবাজারের হোমিসাইড শাখার অফিসারেরাও ঘটনাস্থলে যান। ফ্ল্যাট থেকে মিলেছে চাকু ও ব্লেড। পুলিশ জানায়, এ দিন দুপুরেই ওই পরিচারক সুজিতবাবুকে রান্না করে দিয়ে যান। যা দেখে পুলিশের অনুমান, সুজিতবাবু দুপুরে খাননি। প্রশ্ন উঠছে তবে কখন ঘটল ঘটনাটি? দেহের পাশে শুকনো রক্তের দাগ দেখে গোয়েন্দাদের অনুমান, পরিচারক বেরোনোর পরেই ঘটনাটি ঘটে। পুলিশের একাংশের খবর, আগেও গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন সুজিতবাবু। তবে এ দিনের ঘটনা আত্মহত্যাই কি না, নিশ্চিত নয় পুলিশ। এক কর্তার বক্তব্য, “গলার আঘাতের অংশ ও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পেলে কিছু বলা সম্ভব নয়।” দরজা খোলা থাকার বিষয়টি ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। ইতিমধ্যেই পরিচারককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। কিছু খোয়া গিয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বিরাটিতে টাকা-গয়না লুঠ
গভীর রাতে এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে টাকা-গয়না লুঠ করে চম্পট দিল এক দল দুষ্কৃতী। বাধা দিতে গিয়ে ভোজালির আঘাতে জখম হলেন গৃহকর্তা। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তাঁদের লক্ষ করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। তবে পালানোর সময়ে গয়নাভর্তি একটি ব্যাগ ফেলে গিয়েছে তারা। রবিবার বিরাটির অযোধ্যানগরের এই ঘটনায় সোমবার রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। গৃহকর্তা দিলীপ দাস বলেন, “রাত দুটো নাগাদ মুখ-ঢাকা পাঁচ-ছ’জন দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢোকে। আলমারি খুলে সোনার গয়না, টাকা ও অন্য জিনিসপত্র নিয়ে নেয়।” এক জনের মুখের কাপড় খুলে দেওয়ায় দিলীপবাবুর মাথায় ভোজালির কোপও মারে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ ও ওই বাড়ির লোকজন জানান, পাঁচ-ছ’জন দুষ্কৃতী বাড়িতে ঢুকলেও আরও চার-পাঁচ জন গলির মুখে পাহারা দিচ্ছিল। পুলিশ তাড়া করলে এক জনের হাত থেকে একটি গয়নার ব্যাগ পড়ে যায়। শেষ পর্যন্ত গুলি চালিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। পুলিশ জানায়, দিলীপবাবুর মেয়ের বিয়ের জন্য গড়া গয়না খোয়া গিয়েছে। পুলিশের অনুমান, গয়নার কথা জেনেই এসেছিল দুষ্কৃতীরা।

পুলিশি হেফাজত
বিদেশিনির যৌন নিগ্রহে অভিযুক্ত সুজয় মিত্রকে সোমবার ফের ১৫ জুন পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল আদালত। এ দিন অভিযুক্তকে আলিপুরের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে তোলা হয়। জামিনের আবেদন জানিয়ে অভিযুক্তের আইনজীবী দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, “তরুণীর মেডিক্যাল রিপোর্টে নিগ্রহের প্রমাণ মেলেনি। তিনি ম্যাজিস্ট্রেটকে যে জবানবন্দি ও থানায় যে অভিযোগ দেন, তা-ও পরস্পরবিরোধী।” জামিনের বিরোধিতা করে সরকারি আইনজীবী পীযূষকান্তি মণ্ডল বলেন, “আরও তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তকে পুলিশি হেফাজত দেওয়া হোক।”

পুরনো খবর:
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.