পাঁচ বছর ধরে চলছিল অস্ত্র ব্যবসা
দু’বছর নয়, দুর্গাপুরে নঈমনগরে দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে চুপি সাড়ে অস্ত্র কারখানা চালাচ্ছিল ফিরোজ হাসান। এমনটাই জানালেন আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার অজয় নন্দ। ওই কারখানা থেকে একটি ডায়েরি পাওয়া গিয়েছে বলেও সোমবার জানিয়েছেন তিনি। পুলিশের দাবি, ২০০৯ সাল থেকে ওখানে কারখানাটি চলছিল। সেখান থেকে কাকে কোথায় অস্ত্র পাঠানো হত, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মূল অভিযুক্ত ফিরোজ হাসানকে ধরতে পুলিশের একটি দল তল্লাশি চালাতে বিহারের মুজফ্ফরপুর গিয়েছে।
শুক্রবার নঈমনগরের শেখ সাগির নামে একজনের বাড়ি থেকে পুলিশ বহু আগ্নেয়াস্ত্র, যন্ত্রাংশ, নানা যন্ত্রপাতি উদ্ধার করে। গ্রেফতার করা হয় কারখানার তিন কর্মী বিহারের মুঙ্গেরের মফস্বল থানার বারদা গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ রিজাওয়ান, মহম্মদ কাইলু ও মহবুব আলিকে। বাড়ির মালিক শেখ সাগিরকেও গ্রেফতার করা হয়। শনিবার ধৃত চারজনকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠান। পুলিশ জানায়, মুঙ্গেরের বারদা গ্রামের অনেকেই বেআইনি অস্ত্র তৈরির কাজ করে। মহম্মদ রিজাওয়ানের বিরুদ্ধে বিহারের দু’টি থানায় সমন রয়েছে।
দুর্গাপুরের এই কারখানা থেকে কোথায় কাকে অস্ত্র বিক্রি করা হোত, তা এখনও জানতে পারেনি পুলিশ। ২০০৯ সালে মসজিদ মহল্লার বাসিন্দা ফিরোজ নঈমনগরে ভাইপো শেখ সাগিরের বড়িতে উঠে আসে ফিরোজ। পুলিশ কমিশনার জানান, নঈমনগরে আসার পর থেকেই সে বেআইনি অস্ত্রের কারখানা চালু করে দিয়েছিল। কমিশনার বলেন, “একটি ডায়েরি মিলেছে। সেখানে অস্ত্রের হিসেব রয়েছে। কতগুলি অস্ত্র কাকে পাঠানো হয়েছে, তার হিসেব সেখানে রয়েছে। তবে কাদের সেগুলি পাঠানো হয়েছে, তা লেখা নেই। ফিরোজ হাসানকে ধরতে পারলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।” এমনকি মাওবাদীদের হাতেও আগ্নেয়াস্ত্র যাওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি কমিশনার অজয় নন্দ। অজয়বাবু বলেন, “তদন্ত এগোচ্ছে।”

পুরনো খবর:



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.