বিধাননগর
জ্বরের প্রকোপ, মশা নিধনে কোমর বাঁধছে পুরসভা
র্ষা আসার আগে থেকেই বিধাননগরের বিভিন্ন এলাকায় জ্বরের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে আছে মশার দৌরাত্ম্য। গত বছর ডেঙ্গির প্রকোপে নাজেহাল হয়েছিলেন বিধাননগরের মানুষ। সে বিষয়ে এ বছরেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাসিন্দাদের সংগঠন ‘বিধাননগর ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কুমারশঙ্কর সাধু জানান, চলতি বছরে এখনও মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর মেলেনি। কিন্তু গত বারের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে দেরি না করে মশা নিধনের ধারাবাহিক কর্মসূচি জোরদার করা খুব জরুরি। কারণ রোজই বিধাননগরের প্রতিটি ব্লক থেকে জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার খবর আসছে।
পুরসভার তথ্য অনুযায়ী, গত বছর সব থেকে বেশি ডেঙ্গির সংক্রমণ ঘটেছিল ৫, ১২ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডে। বিধাননগরের মহকুমাশাসক এবং পুরসভার কার্যনির্বাহী আধিকারিক মলয় মুখোপাধ্যায় জানান, গত বার বিধাননগরে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হন ১৪৭ জন। তবে কারও মৃত্যু হয়নি বলে তাঁর দাবি। বেসরকারি তথ্য অনুযায়ী গত বছর বিধাননগরে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল দু’শোরও বেশি। একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল।
তাই ডেঙ্গি-সহ মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে কলকাতার সঙ্গে বিধাননগর পুর-কর্তৃপক্ষকেও গোড়া থেকেই ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মশা নিধনে কী কী কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে, তার অগ্রগতির রিপোর্ট পর্যালোচনা করতে সংশ্লিষ্ট পুর-কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ১৫ দিন অন্তর মহাকরণে বৈঠক করছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিধাননগর পুরসভা সূত্রের খবর, মশা নিধন কর্মকাণ্ডে স্বাস্থ্য ভবনের সহায়তায় বিধাননগরে ২৪১টি দল গড়া হয়েছে। প্রতিটি দলে রয়েছেন বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দু’জন কর্মী। কাজ তদারকির দায়িত্বে আছেন ৫৭ জন সুপারভাইজার। এই মুহূর্তে বিধাননগরে ৬৭,৮৭৭টি বাড়ি আছে। পুরসভার স্যানিটারি ইনস্পেক্টর শতদল মল্লিক এবং সুব্রত মিত্র জানান, বাড়ি বাড়ি ঘুরে মশার লার্ভা সন্ধান করে তা ধ্বংস করাই ওই কর্মীদের মূল কাজ। প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে কাজের রিপোর্ট পুরভবনে জমা দেওয়ার নির্দেশ আছে।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ কার্যকর করতে এই মুহূর্তে মশা নিধন কর্মকাণ্ডকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন বিধাননগর পুর-কর্তৃপক্ষ। পুর চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, “এই মুহূর্তে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ চলছে।” তিনি জানান, মশার আঁতুড়ঘর ধ্বংস করার পাশাপাশি নাগরিকদের সচেতন করার কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া ও চিকুনগুনিয়া সংক্রমণের সন্দেহ হলেই রক্ত পরীক্ষার জন্য আবেদন করা হয়েছে। বিষয়টি পুরসভা প্রকাশিত হ্যান্ডবিলে বাংলা ,ইংরেজি ও হিন্দিতে ছাপানো হয়েছে। সমস্ত নার্সারি এবং নির্মীয়মাণ ভবনের ট্যাঙ্ক সাত দিন অন্তর পরিষ্কার করে নতুন জল ভরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে সব বাড়িতে লোক থাকে না, সেগুলির মালিকদের কাছেও নোটিস পাঠানো হয়েছে। মশাবাহিত রোগ আক্রান্ত রোগী-ভর্তির প্রতিটি খবর পুরসভাকে দ্রুত জানানোর জন্য এলাকার সব নার্সিংহোমকেও বলা হয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.