টুকরো খবর
এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষায় কোচবিহার জেলায় কৃতী মেয়েদের মধ্যে সম্ভাব্য সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে সুনীতি অ্যাকাডেমির ছাত্রী সাইনি দে। ৬৬৩। শহরের ভেনাস স্কোয়ার এলাকার বাসিন্দা পেশায় স্বাস্থ্যকর্মী শঙ্কর দে ও অপর্ণা দেবীর দুই সন্তানের মধ্যে সাইনি বড়। ছোটবেলা থেকে মেধাবী সাইনি বাংলায় ৯০, ইংরেজিতে ৯৩, অঙ্কে ৯৮, ভৌত বিজ্ঞানে ৯৯, জীবন বিজ্ঞানে ৯৮, ইতিহাসে ৯২ ও ভূগোলে ৯৩ পেয়েছে। সাইনির কথায়, “যা নম্বর পেয়েছি তাতে খুশি। কিন্তু অঙ্কে ১০০ পাব ভেবেছিলাম। ভবিষ্যতে চিকিত্‌সক হয়ে গ্রামের মানুষের সেবা করাটাই স্বপ্ন। স্কুলেই বিজ্ঞান নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পড়ব।” স্কুলের শিক্ষিকারা ছাড়াও সাইনির চার জন গৃহশিক্ষক ছিলেন। প্রতিদিন ৫ ঘন্টা রুটিন মেনে পড়াশুনোর মাঝে আমির খানের সিনেমা আর গান শোনা এই ছাত্রীর শখ। তার বাবা শঙ্করবাবু বলেছেন, “টেস্টে ও ৬৩৯ পেয়েছিল। চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ার সময় সাইনি বৃত্তি পরীক্ষায় জেলায় মেয়েদের মধ্যে প্রথম হয়েছিল। খুব ভাল লাগছে।” সুনীতি অ্যাকাডেমির প্রধান শিক্ষিকা পান্না চক্রবর্তী বলেন, “সাইনির ফলে আমরা খুবই খুশি।” এ দিন রাজ্যের পরিষদীয় সচিব রবীন্দ্রনাথ ঘোষ সাইনির বাড়িতে গিয়ে ওই ছাত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে আসেন। রবীন্দ্রনাথ বাবু বলেন, “রাজ্য সরকার জেলায় মেডিক্যাল কলেজ গড়তে উদ্যোগী হয়েছে। তাই আমরা আশা করছি, মেডিক্যালে পড়তে সাইনিকে জেলার বাইরে যেতে হবে না।”

রাজ্যে সম্ভাব্য ষষ্ঠ আবতাব
মাধ্যমিকে দক্ষিণ দিনাজপুরে আবতাব আহেসান রাজ্যে নজরকাড়া সাফল্য পেয়েছে। বংশীহারী হাইস্কুলের ছাত্র আবতাব ৬৭৫ নম্বর পেয়ে রাজ্যের মেধা তালিকায় ষষ্ঠ স্থান পেয়েছে। আবতাবের বিষয় ভিত্তিক রেজাল্ট- বাংলা ৯০, ইংরেজি ৯৩, অঙ্ক ৯৯, ভৌতবিজ্ঞান ১০০, জীবন বিজ্ঞান ৯৯, ইতিহাস ৯৫ এবং ভূগোলে ৯৯ নম্বর। মাদ্রাসা বোর্ডে মাধ্যমিকে বংশীহারীর নলপুকুর হাইমাদ্রাসার পড়ুয়া মাসুদ রেজা ৭৩৩ নম্বর পেয়ে রাজ্যে সেরার খেতাব পায়। এ বার মাধ্যমিকে আবতাবের সাফল্যে ব্লক জুড়ে খুশির হাওয়া। এ দিন এলাকার তৃণমূল বিধায়ক তথা আইন পরিষদীয় সচিব বিপ্লব মিত্র বুনিয়াদপুরে গিয়ে কৃতীকে শুভেচ্ছা জানান। আবতাবের হাতে ফুল মিষ্টি তুলে দেন। বিপ্লববাবু বলেন, “উচ্চশিক্ষার জন্য ওকে সব রকম সহায়তা করা হবে।” ফল প্রকাশের পর বংশীহারীর বরাইল গ্রামে ওই কৃতী ছাত্রের বাড়িতে তাকে ঘিরে আনন্দে ভাসেন প্রতিবেশীরা। আবতাবের বাবা তৈমুর রহমান উত্তর দিনাজপুরের ডালিমগাঁ হাইস্কুলের শিক্ষক। মা আবতারবানু গৃহিণী। ছোট ছেলে পঞ্চম শ্রেণির আফ্রিদি ও বড় ছেলে আবতাবকে নিয়েই তাঁদের সংসার। তৈমুরবাবু বলেন, “সময় বেঁধে টানা কোনওদিনও ও পড়েনি। দুই বিজ্ঞান ও অঙ্ক, ইংরেজি-সহ ৪ জন গৃহশিক্ষকের কাছে আবতাব পড়েছে। অঙ্ক ওর প্রিয় বিষয় হলেও আবতাব ভবিষ্যতে চিকিত্‌সক হতে চায়। বইপড়া ও ক্রিকেট খেলা শখ।” আবতাবের কথায়, “চিকিত্‌সক হয়ে দুঃস্থদের পাশে দাঁড়াতে চাই।”

জেলায় সম্ভাব্য প্রথম
কোচবিহার জেলার এক সম্ভাব্য প্রথম হলদিবাড়ি হাইস্কুলের সাগ্নিক রায়। ৬৬৬। বাংলায় ৯০, ইংরেজিতে ৯২, অঙ্কে ৯৯, ভৌত বিজ্ঞানে ৯৯, জীবন বিজ্ঞানে ৯৫, ইতিহাসে ৯৩ এবং ভূগোলে ৯৮। ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ার হওয়া তার লক্ষ্য। বাবা মিহির রায় হলদিবাড়ি নবকিশোর হাই স্কুলের শিক্ষক। মা সোমা রায় গৃহবধূ। সাগ্নিক বলে, “মা-বাবা-শিক্ষকরা তো আমার প্রেরণা।” বাবা-মা বলেন, “কোনও দিন পড়াশুনোর কথা বলতে হয়নি।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.