করলা নদীর সংস্কার শুরু
গামী এক বছরের মধ্যে করলা নদী সংস্কারের কাজ শেষ করার নির্দেশ দিলেন সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দোপাধ্যায় রবিবার জলপাইগুড়ি শহরের বুক চিরে যাওয়া করলা নদী সংস্কারের প্রায় ১৬ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজের অনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের বরাদ্দে এই প্রকল্পের কাজ করবে সেচ দফতর। এ দিন শহরের সমাজপাড়ার আইএমএ মাঠে অনুষ্ঠান মঞ্চে সূচনার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেন করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব। উপস্থিত ছিলেন সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দোপাধ্যায়। উদ্বোধনের পরে সেচ দফতরের আধিকারিকদের বৈঠকে ডেকে এক বছরের মধ্যে করলার প্রকল্পের কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন সেচমন্ত্রী রাজীববাবু।
রবিবার সেচমন্ত্রী বলেন, “উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর থেকে করলা প্রকল্পে আর্থিক বরাদ্দ মঞ্জুর করাতেই এই কাজ হচ্ছে। দফতরের বাস্তুকারদের বলেছি অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এই কাজ করতে হবে। যে ভাবেই হোক এক বছরের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে। করলা নদী ঘিরে জলপাইগুড়ি শহরবাসীর আবেগের কথা ভেবেই এই প্রকল্পে কোনও ঢিলেমি বরদাস্ত করা হবে না।”
২০১১ সালে বিষকাণ্ডে নদীতে রাশি রাশি মাছের মড়কের ঘটনার পরে মজে যাওয়া করলা নদী সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। সেই মত সেচ দফতরের তৈরি প্রকল্পে বরাদ্দ মঞ্জুর করে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর। প্রকল্প অনুযায়ী জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া করলা নদীর মোহনার অংশ প্রায় দু’কিলোমিটার সম্প্রসারিত করে তিস্তা নদীতে মেশানো হবে। সম্প্রসারিত অংশে তিনটি নতুন স্পারও তৈরি হবে। এর ফলে, নদীতে জলের প্রবাহ যেমন বাড়বে তেমনিই বর্ষার সময়ে অতিরিক্ত জল সহজেই তিস্তা নদী দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জলপাইগুড়ি শহর জলবদ্ধতার হাত থেকেও মুক্তি পাবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “করলা নদীতে বিষকাণ্ডের পরদিনই জলপাইগুড়িতে এসে বৈঠক করেছি। তখনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল এই নদীকে সংস্কার করতে যত টাকার প্রয়োজন তত বরাদ্দ করা হবে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে করলা নদীর পূর্ণাঙ্গ সংস্কারের জন্য প্রায় ২৫৬ কোটি টাকার করলা আ্যকশন প্ল্যানের একটি প্রকল্প পাঠানো হয়েছে।”
অন্য দিকে, করলা নদী সংস্কার প্রকল্পের উদ্বোধনে কংগ্রেসে পরিচালিত জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যানকে আমন্ত্রণ করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু বলেন, “উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আমাকে বা কাউন্সিলরদের ডাকা হয়নি। যা বলার পরে বলব। তবে আমাদের ডাকা হোক বা না হোক শহরের যে কোনও উন্নয়ন প্রকল্পকে আমরা স্বাগত জানাই।” বহু দিনের প্রত্যাশিত করলা নদী সংস্কারের জন্য কোনও সরকারি প্রকল্প শুরু হওয়ায় খুশি শহরের সাধারণ নাগরিক তেকে বিদ্বজনেরা। ইতিহাসবিদ আনন্দগোপাল ঘোষ বলেন, “করলা নদীর উন্নয়নের পরিকল্পনাকে সাধুবাদ জানাই। এই নদী শহরের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে।”
এ দিন বিকেলে জলপাইগুড়ির অনুষ্ঠানের আগে সেচমন্ত্রী ডুয়ার্সের মানাবাড়িতে ঘিস নদীর বাঁধ পরিদর্শন করেছেন। এর পর মালবাজারের তেশিমিলা পঞ্চায়েতে মাল নদীতে বাঁধ তৈরির অগ্রগতি দেখেন। জলপাইগুড়ি লাগোয়া রংধামালিতে তিস্তা নদীর বাঁধ এবং শহর রক্ষাকারী ১ নম্বর স্পারও সেচমন্ত্রী এ দিন পরিদর্শন করেছেন। পনেরো দিন পরে ফের তিনি ডুয়ার্সে আসবেন বলে জানিয়েছেন।

পুরনো খবর:


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.