দক্ষিণ কলকাতা: বেহালা
মাতৃসদন
অমিল চিকিত্‌সা
য়েক লক্ষ বাসিন্দা। ভরসা একটি মাত্র হাসপাতাল। সেখানেও সব সময় ঠিকমতো চিকিত্‌সার সুযোগ মেলে না বলে অভিযোগ। এমন অবস্থা মহেশতলা পুরসভা পরিচালিত মাতৃসদনের। বাসিন্দারা এলাকায় একটি উন্নতমানের হাসপাতালের জন্য বিভিন্ন মহলে আবেদনও করেছেন।
ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা জানান, একটু জটিল হলেই এখনও রোগীকে নিয়ে ছুটতে হয় বেহালার বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, এসএসকেএম অথবা এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে।
এলাকা থেকে এই হাসপাতালগুলির দূরত্ব বেশি। মহেশতলা পুরসভার তথ্য অনুযায়ী এলাকায় অন্তত ২০ শতাংশ মানুষ দারিদ্রসীমার নীচে বাস করেন। তাঁদের পক্ষে দূরের হাসপাতালে রোগী নিয়ে যাওয়া অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। ২০০১-এ মহেশতলা মাতৃসদন হাসপাতালটি চালু হয়েছিল। এলাকার গর্ভবতী মহিলাদের চিকিত্‌সা এবং প্রসবের জন্য। পুরসভার রাজনৈতিক পালা বদলের পরে শুরু হয় ২৪ ঘণ্টার জরুরি বিভাগ। শুরু হয় অত্যাধুনিক প্যাথলজি ল্যাব। তবুও পরিষেবা নিয়ে বাসিন্দা এবং রোগীদের অভিযোগ রয়েছে।
বাসিন্দা আমিনা বেগমের কথায়: “দিন কয়েক আগে মাতৃসদনেই আমার সন্তান হয়। সমস্ত ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হয়েছে। চিকিত্‌সকরাও ঠিকমতো আসতেন না। নার্সের সংখ্যা কম। কোনও অসুবিধের কথা শোনার কেউ নেই।”
বাসিন্দারা জানান, অনেক দিন ধরেই এলাকায় একটি উন্নত মানের হাসপাতাল হবে বলে শোনা যাচ্ছে। কিন্তু আজও সেই কাজ শুরু হয়নি। ফলে মহেশতলা এলাকার বাসিন্দাদের চিকিত্‌সার সমস্যা রয়েই গিয়েছে। মহেশতলা পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান সিপিএমের কালী ভান্ডারী বলেন, ‘‘মাতৃসদন আমাদের সময়ে তৈরি হয়েছিল। এখন সেই প্রতিষ্ঠান রক্ষা করাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
বিরোধীদের এই দাবি মানতে নারাজ মহেশতলার বর্তমান তৃণমূল পরিচালিত বোর্ড। তাঁদের দাবি, আগে মাতৃসদনে পরিষেবা বলে কিছুই ছিল না। কোনও জরুরি পরিষেবা পাওয়া যেত না। এখন ২৪ ঘণ্টাই জরুরি পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে। মহেশতলা পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূলের দুলাল দাস বলেন, ‘‘মাতৃসদনের পরিষেবা আগের তুলনায় কয়েকগুণ উন্নত হয়েছে। এখানে অন্যান্য চিকিত্‌সার ব্যবস্থা করার জন্য পুরসভার তরফ থেকে পরিকল্পনা করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই তা কার্যকর হবে।”

ছবি: অরুণ লোধ




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.