বন্দি কাপ্তান
পাকিস্তানের নির্বাচনে জিতে দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ হারালেন ইমরান খান। আর তার সঙ্গে অনাথ হয়ে গেল তাঁর উপর তৈরি করা চলচ্চিত্র ‘কাপ্তান’।
সন্ধেবেলায় করাচির বাড়িতে বসে এমনটাই বললেন ফয়জল আমান খান। কে এই ফয়জল? পেশায় চিত্রপরিচালক।
ইমরান খানকে নিয়ে ছবি বানাতে শুরু করেছিলেন ২০১১তে। কোনও পার্টি ম্যানিফেস্টো হিসেবে নয়। কিন্তু ছবি করতে গিয়ে বুঝলেন যে তাঁর হিরোকে নিয়ে সেলুলয়েডে ছবি বানানোটা কত কঠিন! নির্বাচনী প্রচার শুরু হওয়ার পর থেকেই তাঁর ছবিকে নিয়ে বহু কথা উঠতে থাকে। কেউ তাঁর নাম দেন তালিবানি খান।
কেউ বলেন তিনি নাকি পশ্চিমী দেশের এজেন্টদের হয়ে এই ছবিটি বানাচ্ছেন। কেউ বলেন ছবি মুক্তি পেলেই খুন হয়ে যাবেন। ফয়জল তবু লড়াই চালিয়ে যান। আস্তে আস্তে ছবিটি বানিয়ে চলেন। খুব বড় বাজেটের ছবি নয় এটি। কিন্তু ইমরান খানের জীবনের নানা অজানা তথ্য রয়েছে এতে।
কী কারণে ইমরান আর জেমাইমা খানের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছিল? টিজারে জেমাইমা বলছেন ইমরানকে: “ইয়োর চিলড্রেন নিড ইয়োর অ্যাটেনশন। ইয়োর ওয়াইফ নিডস ইয়োর টাইম। হোয়্যার আর ইউ হোয়েন উই নিড ইউ?” ছবিতে দেখানো হয়েছে এর থেকেও বেশি।
কী ভাবে আর কেনই বা তাঁর প্লে-বয় ক্রিকেটার ইমেজের আমূল পরিবর্তন ঘটেছিল? কী ভাবে ধর্ম তাঁর জীবনকে পাল্টে ফেলেছিল? কী ভাবে জেমাইমা তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন? আর কীই বা হয়েছিল, যখন ইমরান খানের প্রথম দেখা হয়েছিল তাঁর ধর্মগুরু মিয়া বশিরের সঙ্গে? উত্তর আছে ছবিতেই। কিন্তু এখন ফয়জলের কাছে শুধু একটাই প্রশ্ন। ছবিটি কি আদৌ মুক্তি পাবে? করাচির বাড়িতে ফোন বেজে যায়।
কবে মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি? কেন এত দিন দেরি হচ্ছে? ফয়জলের কোনও উত্তর নেই। কারও সঙ্গে কথা বলতে চান না।
জেমাইমা এবং পুত্র সহ ইমরান
আনন্দplus-এর সঙ্গে করাচি থেকে কথা বলতে গিয়ে প্রথমেই তিনি এই কথাই বললেন। “এই প্রশ্নে আমি জর্জরিত। কাউকে উত্তর দিইনি। এই প্রথম আমি এ বিষয়ে মুখ খুললাম। পৃথিবীর কোনও পরিচালককেই বোধহয় এ রকম ভাগ্যের পরিহাসের সম্মুখীন হতে হয়নি। চেয়েছিলাম একটা ছবি বানাতে। নিজের মতো করে। আর তা করতে গিয়ে আজ নিজেকে অনাথ মনে হচ্ছে। ছবি শুরু করার পর থেকে আর অন্য কোনও কাজ করিনি। এখন বুঝতেই পারছি না জীবন কোন দিকে মোড় নেবে!” টেলিফোন লাইনে নীরবতা।
গলায় একটা ক্রিকেট বলের সাইজের মতো যেন তাঁর অভিমান জমে আছে। “কোনও সাতে-পাঁচে ছিলাম না। হঠাৎ কেন যে এত সব বিতর্ক তৈরি হয়ে গেল?” বলে আবার কিছুক্ষণ চুপ। কেন বানাতে গেলেন এই ছবি?
“আমাদের কাছে ইমরান জাতীয় হিরো। তিনি যদি কিছু ভুলও করে থাকেন, তাতেও আমাদের কাছে তাঁর ইমেজটা সারা জীবন একই থাকবে। আমার ছবিতে এই লেজেন্ডকেই ধরতে চেয়েছিলাম। যা কিছু ইমরান খানের জীবনীতে রয়েছে, তার বাইরের ইমরান খানকে। না, সীতা হোয়াইটকে নিয়ে গল্প নেই এতে। এতে স্ক্যান্ডাল নেই। যা আছে তা হল এক নতুন ইমরান খানের গল্প, যেটা তাঁর ক্রিকেট ফ্যানেরা জানেন না,” ফয়জল জানান।
ইমরানের সঙ্গে ফয়জলের প্রথম দেখা হয় ২০১০য়ে। “ওঁর অনুমতি নিতে গিয়েছিলাম। আমাদের জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘হোয়াটস দ্য পয়েন্ট ইন মেকিং আ মুভি অন মি?
ইমরান খান এবং জেমাইমার
চরিত্রে আব্দুল মান্নান
ও সাইদা ইমতিয়াজ
দেয়ার ইজ সো মাচ হ্যাপেনিং ইন পাকিস্তান নাও।’ আমার এক বন্ধু তখন হেসে বলে: ‘এখন এটা বানাই। পরে না হয় আর একটা বানাব!” জানান ফয়জল।
একুশ দিনের শু্যটিং করে ছবিটি শেষ হয় ২০১১-র অগস্ট মাসে। তার পর পোস্ট-প্রোডাকশন। তখন ফয়জলের আবার দেখা হয় ইমরানের সঙ্গে। “লাহৌরের বাড়িতে দেখা করি। এই প্রথম খোলাখুলি কথা বলি আমরা। উনি আমাকে বলেন কী ভাবে ধর্ম ওঁকে পাল্টে দিয়েছে। কী ভাবে জেমাইমা ওঁর উপর প্রভাব ফেলেছেন। মিটিংয়ের পর আমি ভাবি যে এই তথ্যগুলো না দিলে ছবিটিকে বেশ ফাঁপা লাগতে পারে। তাই আবার নতুন করে কাজ শুরু করি,” পরিচালক বলেন।
একটু একটু করে ছবিটিকে অন্য ভাবে তৈরি করতে শুরু করেন। তখনও বোঝেননি ছবিটির মুক্তি নিয়ে এত জলঘোলা হবে!
“কত রকমের বাধাই যে উঠে আসছে! ভাবতেও পারিনি কোনও দিন এ ভাবে অসহায় বোধ করব একটা ছবি বানিয়ে। আর তার মধ্যে সে দিন টিভিতে দেখলাম ইমরান খানের অ্যাক্সিডেন্টের দৃশ্যটি। কী ভাবে পড়ে গেলেন! আমার গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠেছিল...” বলেই ফয়জল থেমে গেলেন।
কেন? জিজ্ঞেস করতেই বললেন, “আমার ছবির ক্লাইম্যাক্স!”
যে ছবির শ্যুটিং করেছেন ২০১১তে, তার ক্লাইম্যাক্সের সঙ্গে ইমরানের ২০১৩-র অ্যাক্সিডেন্টের কী মিল? “টিভিতে প্রথম বার যখন দুর্ঘটনার ক্লিপিংগুলো দেখি, খুব শক পেয়েছিলাম। আমার ছবির সময়কাল ১৯৯২ থেকে ২০১১ পর্যন্ত। বাস্তবে ২০০৯ সালে ইমরানের একটা দুর্ঘটনা ঘটে। সেটা আমরা সিনেমাতে রেখেছিলাম। সেই ঘটনাটার সঙ্গে ইমরানের সম্প্রতি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দৃশ্যগুলোর কী কাকতালীয় মিল!” জানালেন তিনি। জীবন তো এ রকমই।
ঘটনার ওঠাপড়া চলতেই থাকে। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তির মধ্যে দিয়েই বর্তমানের সূচনা হয়।
এ দিকে আন্তর্জাতিক প্রচারমাধ্যমের শিরোনামে এসে গিয়েছে ছবিটি। পাকিস্তান এবং ভারতের প্রচারমাধ্যমের কাছে শুরুর থেকেই এই ছবিটি আলোচনার কেন্দ্রে।
তাই এই সিনেমাটিকে ঘিরে প্রত্যাশা বাড়তে থাকে।
‘‘অসম্ভব প্রত্যাশা ছিল এই সিনেমাটা ঘিরে। এমনকী ভারতীয় মিডিয়াও সিনেমাটার বিষয়ে লেখালিখি করছিল। আমাদের মতো ‘ইন্ডিপেন্ডেন্ট’ পরিচালকদের কাছে সেটা বিশাল ব্যাপার,” বলেন ফয়জল।
এটা কমবেশি সবাই জানেন যে, পাকিস্তান ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি, ললিউড নামেই সবাই যাকে বেশি চেনে, তার সর্বজনগ্রাহ্য উপস্থিতি বড়ই কম। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে একটা ‘ইন্ডিপেন্ডেন্ট’ সিনেমা তৈরি করাটা বেশ কঠিন। বাজেট খুবই কম। এ দিকে প্রত্যাশা আকাশছোঁয়া। কাজেই সিনেমা বানানোর কাজটা ক্রমশই কঠিন হয়ে পড়ছিল।
ওই সময় পাকিস্তানের দু’টো খুব গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সভায় অংশ নিয়েছিলেন ইমরান। তখন থেকেই কার্যত ইমরানের রাজনৈতিক বিরোধীরা ওঁকে গুরুত্ব দিতে শুরু করে।
আর টিম ‘কাপ্তান’-এর সমস্যাটাও শুরু হয় ঠিক সেই সময়।
“আমাদের ভয় দেখানো হচ্ছিল। ফেসবুকে নানা ধরনের মেসেজ পোস্ট করা হচ্ছিল। মুখ্য চরিত্রাভিনেতা আব্দুল মান্নানকেও খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। আমাদের ভয় দেখানো হচ্ছিল এই বলে যে, সিনেমাটা রিলিজ করলেই আমাদের মেরে ফেলা হবে!” স্মৃতির পাতা ওল্টান ফয়জল। বাস্তবে এই হুমকিগুলো ক্রমশই ভয়াবহ হয়ে ওঠে।
ইমরান খানের রাজনৈতিক শত্রুরা ওই সিনেমাকরিয়েদের আক্রমণ করতে শুরু করে। “ইমরানকে পশ্চিমী দেশের এজেন্ট বলে দোষারোপ করা হচ্ছিল। কেউ কেউ ওঁকে ডাকছিলেন ‘তালিবানি খান’ নামে। আর সব চেয়ে চমকে যাওয়ার মতো বিষয় হল, কিছু লোক আমাকেও ওই একই নামে সম্বোধন করছিল!” বলেন পরিচালক।
জেমাইমার চরিত্রে অভিনয়
করছেন সাইদা ইমতিয়াজ
নির্বাচনের আগে যা ঘটেছিল তা তো আরও অদ্ভুত! ফয়জল জানান, ইমরান খানের ভক্তরা চাইছিলেন নির্বাচনের আগেই যেন সিনেমাটা রিলিজ করে দেওয়া হয়। নির্বাচনের আগে রিলিজ না করলে ইমরানের সমর্থকরা সিনেমাটা দেখবেন না, এই বলে অজস্র মেল-ও আসে তাঁদের কাছে। এই সবের জেরে অবস্থা ক্রমেই জটিল হয়ে ওঠে।
একটা স্বল্প বাজেটের ‘ইন্ডিপেন্ডেন্ট’ সিনেমা বানানো, আর তা যদি হয় একটা আত্মকথা, সত্যিই খুব শক্ত একটা কাজ। এ রকম সমস্যাসঙ্কুল অবস্থায় তাঁরা সাহায্যের জন্য স্বয়ং ইমরানের কাছে গেলেন না কেন? “উনি প্রজেক্টটা সম্পর্কে জানতেন। কিন্তু সেটা স্পনসর করেননি। কাজেই এই রিলিজ হওয়া নিয়ে যে সমস্যা, তাতে ওঁকে শুধু শুধু জড়াতে যাবই বা কেন?” উত্তর পরিচালকের।
ভারতে সিনেমাটা রিলিজ করার চেষ্টা করেছিলেন এই নির্মাতারা। কারও কারও বক্তব্য ছিল যে সিনেমাটা অতিরিক্ত রাজনীতি-ভিত্তিক।
অন্যরা বলেছিলেন সিনেমাটা দেখে তো বড়সড় বাজেটের বলে মনে হয় না। ‘ইন্ডি’ সিনেমা বানানোর একটা নির্দিষ্ট রীতি আছে। সেটাকে পাত্তা না দিয়েই এ সব বলা হয়।
আর এর কোনও যুক্তিই ‘কাপ্তান’য়ের ভারতে মুক্তি পাওয়াতে একেবারেই সাহায্য করেনি। ইতিমধ্যে নির্বাচনী ফলাফলও প্রকাশিত হয়। ট্যুইটার থেকে টেলিভিশন চ্যানেলে অনেকেই বলেন ক্যারিশমা দিয়ে সোসাল নেটওয়ার্কিং সাইটে মন জেতা যায়, কিন্তু ভোট ব্যাঙ্কে তার কোনও প্রভাব পড়তে পারে না। আর এর মাঝে ছবিটা কি তা হলে ক্যানবন্দিই থেকে যাবে?
ছবির তিনটে গান ইতিমধ্যে অনলাইনে রিলিজ করা হয়ে গিয়েছে। আর বেশ জনপ্রিয় হয়েছে সেগুলো। সুরকার ফারহান জামির মুলতানে থাকেন। তিনি ২০১১তে এই ছবিটার কাজে হাত দিয়েছিলেন। তবে এখন অন্যান্য বাণিজ্যিক প্রজেক্ট নিয়ে ব্যস্ত। ছবিটা যে সব বাধার সম্মুখীন হচ্ছে, সেটা ফারহান জানেন। ‘জিকার’, ‘মেরি জান পাকিস্তান’ আর ‘মা’ গানগুলোর প্রশংসায় তিনি আপ্লুত। “আমি ‘আল্লা হো’ গানটা গেয়েছি। আসল গানটি গেয়েছিলেন নুসরত ফতে আলি খান। গানটা ইমরানেরও খুব প্রিয়। ওয়ার্ল্ড কাপ খেলার সময় ইমরান এটা গাইতেন। এই রকম একটা মাস্টারপিস গাওয়া আমার কাছে সত্যিই একটা চ্যালেঞ্জ। ভেবে আনন্দ হয় যে গানটা নেটে ‘ভাইরাল’ হয়েছে,” ফারহান জানালেন। ছবির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হলেও, ফারহান আশাবাদী। ভারতে কাজ করতেও খুব আগ্রহী তিনি। বিশেষ করে অনুরাগ কাশ্যপের কোনও ছবিতে।
কিন্তু ফয়জল? আপাতত ভবিষ্যৎ ধোঁয়াশা। “নিজের ছবিটাকে আজ অনাথ মনে হয়। নিজেদেরও,” বললেন ফয়জল।

কত কটু কথা শুনতে হচ্ছে। “ছবিটা নিয়েই এত বেশি ডুবে ছিলাম যে, এর মাঝে আর অন্য কোনও বিকল্প চাকরির চেষ্টাও করিনি। ছবিটা রিলিজ না করলে, আমার এগিয়ে যাওয়াটা কঠিন হয়ে পড়বে। আমরা এক ভোলাটাইল দেশে বাস করি। যে কোনও সময় যে কোনও কিছু হতে পারে। হঠাৎ সিনেমা হলের সামনে কেউ যদি এসে একটা বোমা ফেলে, তার পর?” উত্তর নেই ফয়জলের কাছে। “এমনও শুনেছি যে আমরা নাকি ঘুষ খেয়ে ছবিটিকে খানের নির্বাচনের প্রচারের সময় রিলিজ করাইনি। যদি তাতে খানের সুবিধে হয়ে যায়! বলুন তো, এটা শুনে হাসব না কাঁদব? আর যে পক্ষ সম্পর্কে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ করা হচ্ছে, তাঁদের আবার অন্য অভিযোগ। তাঁরা তো ঘুষ দেননি। কিন্তু তাঁদের রাগও কম নয়। আমি তো সব দিক থেকেই আক্রান্ত,” বলেন ফয়জল।
তবে পাকিস্তানে ছবি নিয়ে ঝামেলা নতুন নয়। উদাহরণ হিসেবে পরিচালক বলেন জামিল দেহেলভির ‘ব্লাড অব হুসেন’-এর কথা। ছবিটি পাকিস্তানে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। এমনকী পরিচালক দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন। ছবিটি ব্রিটিশ টেলিভিশনে মুক্তি পেয়েছিল। সলমন পীরজাদার ‘জার গুল’-এরও সমস্যা হয়েছিল।
আর এ বার ‘কাপ্তান’ সেই তালিকায়। পাকিস্তানে সবাই ফয়জলকে বলেছিলেন এ দেশে ঝুঁকি নিতে নেই। প্লে ইট সেফ। এটাই একমাত্র কার্যকরী পথ। কিন্তু ছবিটাই যখন বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়কে নিয়ে, তখন ঝুঁকি নেওয়াটাই তো খুব স্বাভাবিক।
ঝুঁকি নিয়েই তো লেজেন্ডরা তৈরি হন। করাচির শূন্য ঘরে বসে ফয়জল আজও আশাবাদী। জীবনের ঝুঁকি আর স্বপ্ন দেখার সাহস হয়তো বা কোনও দিন তাঁর ছবিকে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেবে।


কেউ বলছে ঘুষ নিয়ে আমরা ছবিটা ইমরান
খানের নির্বাচনী প্রচারের সময় রিলিজ
করিনি। কেউ বলছে ছবি মুক্তি পেলেই
আমাদের খুন করা হবে
ফয়জল আমান খান

ইন্টারনেটে ছবির গানগুলো খুব জনপ্রিয় হয়েছে।
আমি নিজে ‘আল্লা হো’ গানটা গেয়েছি। এটি
ইমরানের খুব প্রিয়। বিশ্বকাপের সময়
এটা উনি গাইতেন
ফারহান জমির



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.