প্রবন্ধ...
গুণ্ডাদের গুণ্ডামির দায় বর্তাবে ছাত্রদের উপর?

ছাত্র রাজনীতি ও ছাত্র আন্দোলন নিয়ে যে সাম্প্রতিক বিতর্ক চলছে, তাতে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যাজীবীদের যোগদান অবশ্যই নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। প্রত্যাশিত ছিল যে, আমাদের বিদ্যাজীবীদের সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণে, তীক্ষ্ণ বিশ্লেষণে ও পক্ষপাতহীন বিচারে সমসাময়িক ছাত্র রাজনীতির ও ছাত্র আন্দোলনের জটিল সমস্যা উন্মোচিত হবে, সমাধানের দিশা অন্তত স্পষ্ট হবে। কিন্তু হতাশার সঙ্গে বলতেই হচ্ছে যে, সেই রাস্তায় না-হেঁটে বিতর্কটি সরকারি ফরমানের পরিসরে আটকে থেকে ‘ছাত্রদের রাজনীতি করা উচিত কি না’ বা ‘ছাত্র সংসদ নির্বাচন চিরকালের জন্য বন্ধ করা কাম্য কি না’, এই অকিঞ্চিৎকর প্রশ্নাবলির আবর্তে মগ্ন থেকেছে। ছাত্র মানসিকতা, ছাত্র রাজনীতি ও ছাত্র আন্দোলন সম্বন্ধে অজ্ঞতার কারণে যে-সব ভ্রান্তি জনমানসে গেড়ে বসে আছে, সমগ্র বিতর্কটি সেই ভ্রান্তিতেই কমবেশি আচ্ছন্ন থেকেছে।
ভ্রান্তি এক, রায়গঞ্জে অধ্যক্ষ নিগ্রহ, হরিমোহন ঘোষ কলেজে পুলিশ-হত্যা বা প্রেসিডেন্সি কলেজের কদর্য ঘটনা শিক্ষায়তনে এই সব হিংসার দায় ছাত্রদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অথচ এই সব ঘটনায় ছাত্ররা কোথায়! ঘটনা হল, রায়গঞ্জের তিলক চৌধুরি, একবালপুরে মুন্না বা ইবনে বা প্রেসিডেন্সি কলেজে পার্থ বসু বা তমোঘ্ন ঘোষ, এঁরা কেউই ছাত্র নয়। আসলে বিগত দিনের ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে আজকের ছাত্র আন্দোলনের পার্থক্য এখানেই। আগে, ভুল হোক আর ঠিক হোক, ছাত্র আন্দোলন ছিল ছাত্রদেরই আন্দোলন, এখন ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের ভূমিকা প্রান্তিক, এলাকা দখলের রাজনীতির দাপটে নেতাদের মদতে সেই জায়গা দখল করেছে গুন্ডা-মস্তানরা। আর সামগ্রিক ছাত্র আন্দোলনের অবস্থা নিতান্ত করুণ। আগে গুন্ডারা ছাত্রদের সমঝে চলত, এখন ছাত্ররা গুন্ডাদের সমঝে চলে! অথচ শিক্ষায়তনে হিংসার দায় বিনা প্রতিবাদে পড়ছে ছাত্রদের ঘাড়ে। গুন্ডাদের দমন করার পরিবর্তে প্রশাসন ছাত্রদের অধিকার হরণ করার পথে সমাধান খুঁজছে! ছাত্র নির্বাচন ঘিরে হিংসা, অতএব নির্বাচন বন্ধের ফরমান খানিকটা জন্মজলের সঙ্গে সদ্যোজাতকে ফেলে দেওয়ার মতো।
সংগ্রাম। ট্রাম ভাড়া বৃদ্ধির বিরুদ্ধে ছাত্ররা। কলকাতা, ২৮ জুলাই, ১৯৬৫
ভ্রান্তি দুই, ছাত্রদের নাবালক হিসেবে দেখার সামন্ততান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি। দেশের সংবিধান যেখানে আঠারো বছর বয়সিদের সচেতন নাগরিক হিসেবে স্বীকার করে নিয়েছে, সেখানে ছাত্রদের রাজনীতি করার বা সংসদ নির্বাচন করার অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলা নৈতিক ভাবে অন্যায়, আইনের দিক থেকে সংবিধান-বিরোধী এবং সামাজিক ভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। আসলে এর পিছনে কাজ করছে ছাত্রদের নাবালক এবং সে জন্য দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক ভাবার মানসিকতা। ছাত্রদের বয়স ও অভিজ্ঞতা কম এবং পরিণামদর্শিতার ভাবনা দুর্বল। হয়তো সে জন্যই ছাত্রদের প্রাপ্য মর্যাদাদানে অনেকেই কাতর। কিন্তু ছাত্রদের রয়েছে তীব্র আবেগ, তীব্র ন্যায়-অন্যায়বোধ এবং আদর্শনিষ্ঠ চারিত্রিক সততা। কঠিন সত্য এই যে, দেশের স্বাধীনতার আগে এবং পরে সকল গণআন্দোলনে, সে সত্যাগ্রহ হোক, খাদ্য আন্দোলন হোক বা দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো রক্ষার আন্দোলন হোক, এই অপরিণামদর্শী ছাত্ররা ব্যতিক্রমহীন ভাবে সব সময়ে সংগ্রামের সামনের সারিতে থেকেছে। হাস্যকর যে, এক দিকে ছাত্ররা প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনে শামিল হবেন এবং অন্য দিকে তাঁদের রাজনীতি করার অধিকার থাকবে না। আজ যদি ছাত্ররা দাবি তোলেন যে, ৬৫ বছরের পর সাবধানী অতি-সতর্কতা ও পরিণামদর্শিতার কারণে মানুষ এত রক্ষণশীল হয়ে পড়েন, যে প্রগতির স্বার্থে তাঁদের ভোটাধিকার হরণ করা হোক, তা যেমন হাস্যকর হবে, ছাত্রদের রাজনীতি করার অধিকার হরণের প্রস্তাব সমান হাস্যকর। উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে যে, দলীয় রাজনীতিকরণে ছাত্ররা দলের ক্রীড়নক হয়ে পড়বে। তাই দলীয় রাজনীতি নৈব নৈব চ। আমার প্রস্তাব হল, এ সব ব্যাপারে ছাত্রদের উপরে আস্থা রাখাই ভাল। আমাদের সকলের যেমন দলীয় রাজনীতি করার বা না-করার অধিকার আছে, তেমনই ছাত্রদেরও তা আছে। আমার অভিজ্ঞতা বলে যে, ছাত্ররা স্বভাবতই প্রতিষ্ঠান-বিরোধী, কর্তৃত্ব-বিরোধী, স্তাবকতা-বিরোধী।
বলা হচ্ছে যে, ছাত্র সংসদ নির্বাচনে যেহেতু সাধারণ নির্বাচনের মতো সরকার গঠিত হয় না, তাই ছাত্র সংসদ নির্বাচন অপ্রয়োজনীয়। এই যুক্তিতে তো সেনেট, সিন্ডিকেট, ওয়েবকুটা, শিক্ষক সংগঠন সকলের নির্বাচন নাকচ করা যায়। এর সরল অর্থ হল, ক্ষমতাকেন্দ্রিক অধিকার প্রকৃত অধিকার, বাকি সব এলেবেলে। আসলে, প্রতিনিধি নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পাঠ ছাত্ররা লাভ করে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে। এই অধিকার কেড়ে নেওয়ার অধিকার কারও নেই। ছাত্র সংসদ নির্বাচনে এই স্থগিতাদেশ ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণার মতোই ভয়াবহ।
ভ্রান্তি তিন, বলা হচ্ছে যে দেশ দশের সমস্যা নয়, ছাত্ররা তাদের নিজস্ব দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলন করবে। কিন্তু ঘটনা হল, জাতীয়-আন্তর্জাতিক বিষয়গুলিতেই ছাত্ররা বার বার পথে নেমেছে, শত চেষ্টা সত্ত্বেও নিজস্ব দাবিদাওয়া নিয়ে ছাত্র আন্দোলন গড়ে ওঠেনি। কারণ, নিজস্ব দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলনকে ছাত্ররা স্বার্থপরতা ভাবে, বরং দেশদশের সমস্যা তাদের উদ্বেলিত করে অনেক বেশি, তাদের হাতে যে রয়েছে বিশ্বভুবনের ভার! ট্রেড ইউনিয়ন লজিকে ছাত্র আন্দোলন চলে না।
ভ্রান্তি চার, বিভিন্ন প্রস্তাবে শিক্ষায়তনে সুরক্ষার প্রশ্নে প্রশাসন, কলেজ কর্তৃপক্ষ এমনকী শিক্ষকমণ্ডলীর ওপরে নির্ভর করা হচ্ছে। শুধু ছাত্রছাত্রীরা বাদ, অথচ ছাত্রশক্তিই চিরদিন শিক্ষায়তনে সুরক্ষার দায় বহন করে এসেছে। ভুলে যাওয়া হচ্ছে যে, ‘ক্যাম্পাস ডেমোক্রেসি’ই হচ্ছে ‘ক্যাম্পাস ভায়োলেন্স’ রোধের একমাত্র নির্ভরযোগ্য গ্যারান্টি।
ষাটের দশকে প্রেসিডেন্সি কলেজের অভিজ্ঞতা এরই সাক্ষ্য। ১৯৬৬ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজ ছাত্র আন্দোলনে, যা এখন ইতিহাসের সম্পদ হিসেবে স্বীকৃত, কলেজ বন্ধ থাকে চার মাস, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সহ পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত কলেজ বন্ধ থাকে দেড় মাস ছাত্র অধিকারের প্রশ্নে এমন আন্দোলন আগে বা পরে দেশ দেখেনি। এই আন্দোলনেও কিন্তু সাম্প্রতিক হামলার মতো কদর্য ঘটনা ঘটেনি। ছাত্রদের খুন করার জন্য গুন্ডারা দৌড়চ্ছে, লুম্পেনরা ‘রেপ’ করার ধমকি দিয়ে মেয়েদের তাড়া করছে, সোহিনী দাশগুপ্তের মতো বিশ জন মেয়ে বাঁচার জন্য নিজেদের কলেজে ক্লাসঘরে বাইরে থেকে তালা মেরে অন্ধকারে বসে আছে এক ঘণ্টা, ভাবা যায় না।
এর অর্থ এই নয় যে, প্রেসিডেন্সিতে বাইরের হামলা হয়নি। মনে আছে, কলেজ গেটে অবস্থানের সময় বার তিনেক বোমা পড়ে কলেজ গেটে, হামলা হয় কয়েক বার। কিন্তু ছাত্রশক্তির জোরে আমরা তা প্রতিরোধ করি। এই প্রয়োজনেই প্রেসিডেন্সিকে আমরা দ্বীপ করে রাখিনি যে কোনও ছাত্রের জন্য কলেজ ছিল অবারিতদ্বার। আর ছিল আদর্শগত ভাবনা এবং একটা উন্নত সমাজের স্বপ্ন। স্টেটসম্যানের শ্রমিকসাথিরা, বিভিন্ন মহল্লার ছাত্র-যুব আর সাংস্কৃতিক কর্মিবাহিনী, আমাদের উপরে হামলার খবর পেয়ে উৎপলদা, জোছনদার মতো নেতারা হাজির হতেন। কলেজ গেটে পুলিসের মার খেয়েছিলেন বিমানদা ও কলেজের সাধারণ সম্পাদক অমল সান্যাল। নিয়মিত আসতেন দীনেশদা, শ্যামল চক্রবর্তী, সুবিনয়দার মতো বি পি এস এফ নেতারা। আবার অন্য ধারার শৈবাল-আজিজুল-নির্মল ব্রহ্মচারী মাঝে মাঝে দেখা দিতেন। মূল শক্তি ছিল আমাদের বাহিনী: আমি, অমল, সব্যসাচী, অশোক সেনগুপ্ত, সুদর্শন-শরদিন্দু, রণবীর-সুব্রত-অরুণ, ত্রিদিব-দীপেশ-সৌরীশ-দীপক, সুমিত-গৌতম, প্রতুল-বরুণ-মুকুল-পাবক, প্রণবেশ... অসংখ্য নামের মিছিল। আমাদের সমর্থনে ছিল অর্কদা-প্রদ্যোত-শংকর-রতম-দীপাঞ্জনের মতো প্রাক্তনীরা। কলেজে হামলার খবর পেলেই সঙ্গে ছাত্রবাহিনী নিয়ে হাজির হতো বঙ্গবাসীর বিজন-অচিন্ত্য-তপন, সিটি কলেজের দীপক-দিলীপ-বিপ্লব হালিম, বিদ্যাসাগরের পল্লব-সুব্রত-নিমাই, মৌলানা আজাদের কমল, স্কটিশের দীপেন্দু, মির্জাপুর সিটির অপূর্ব, সুরেন্দ্রনাথের বাসব-অনুপ-কৌশিক। কোন গুণ্ডা-মস্তান হামলা করবে! অর্থাৎ এক কলেজে হামলা মানেই নানা কলেজ থেকে, মহল্লা থেকে, পাড়া থেকে পিলপিল করে জড়ো হবে বাহিনী। একটা সময় ছিল যখন রাজপথে ছাত্রমিছিল আর বাতায়ন থেকে প্রেসিডেন্সির এলিট ছাত্রদের শুধু তাকিয়ে দেখা। এই ‘এলিটিজম’ ভেঙেই নতুন প্রেসিডেন্সির জন্ম। আমাদের হাতিয়ার ছিল তিনটে, এক, একটা আদর্শ, স্বপ্ন। দুই, ঐক্যবদ্ধ ছাত্রশক্তি; তিন, সহযোগী শক্তিজোট। আমাদের সঙ্গে একই স্বপ্ন দেখত এরা। এই শক্তিজোট ছিল ক্যাম্পাস ডেমোক্রেসির ফল।
ক্যাম্পাস ডেমোক্রেসির এই চর্চা নৈরাজ্য ও শৃঙ্খলাহীনতার জন্ম দিত না? মাঝে মাঝে অবশ্যই সমস্যা হয়েছে, কিন্তু তা শুধরে নেওয়া হত। আসলে ছাত্র আন্দোলনে আতিশয্য হবেই। তাতে গুরুত্ব না দিয়ে ‘এসেন্স’ বা মূল বিষয়টা দেখতে হবে।
ষাটের দশকের ছাত্র আন্দোলনের একটা সমালোচনা হল, ঐতিহ্যের দায় বহন না করে কালাপাহাড়ি বৃত্তি। অনেকেই সাম্প্রতিক বেকার ল্যাবরেটরি হামলার সূত্রে স্মরণ করছেন ৪৭ বছর আগে বেকার ল্যাবে হামলার ঘটনাকে। সে দিন ছাত্ররা উত্তেজিত হয়ে হামলা চালিয়েছিল সত্য, কিন্তু ছাত্রদের উত্তেজনার কারণ নিয়ে কিছু বলা হচ্ছে না। ঘটনা হল, তার আগেই ছাত্রদের চোখের সামনে ৩৯ জন ছাত্রকে পেটাতে পেটাতে পুলিশ নিয়ে যায়। তারই প্রতিক্রিয়ায় স্বতঃস্ফূর্ত আবেগ আছড়ে পড়ে কলেজে। আমরা তা সামলে নিয়েছিলাম। এই প্রতিক্রিয়া অবশ্যই আতিশয্য, কিন্তু এর মূলে যে রয়েছে ছাত্রদের আবেগ, না-বোঝার কথা নয়।
শেষ কথা: লিংডো কমিশনের আচার সংহিতায় আমি ছাত্র আন্দোলনের যুক্তি দেখি না। মতাদর্শই হল ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্র রাজনীতির জিয়নকাঠি। ঘটনা হল, যখনই মতাদর্শ নতুন স্বপ্ন দেখিয়েছে, ছাত্রসমাজ উদ্বেল হয়েছে। স্বাধীনতার স্বপ্ন, সমাজতন্ত্রের স্বপ্ন, কৃষিবিপ্লবের স্বপ্ন, দেশে গণতান্ত্রিক কাঠামো রক্ষার স্বপ্ন তাদের উদ্বুদ্ধ করেছে।
আজকের ছাত্র আন্দোলনের দুরবস্থার আসল কারণ নিহিত রয়েছে এখানেই। তাদের সামনে সম্ভাবনাময় নতুন মতাদর্শ বা স্বপ্ন নেই। ছাত্র আন্দোলনের পুনরুত্থান দাবি করছে মতাদর্শের পুনর্নির্মাণ। অনেকেই ঐতিহ্যের কথা বলেন। ঐতিহ্যের অর্থ কখনওই পুরনো চিন্তার দাসত্ব নয়। পুরনো ঐতিহ্য রক্ষা করে শর্ত ভেঙে বার বার নতুন ঐতিহ্য গড়ে ওঠে। আজকের প্রেসিডেন্সি কলেজ তার সাক্ষী।
অনেকেই ষাটের দশকের ছাত্র আন্দোলনকে আজকের জন্য অনুপ্রেরণাস্থল ভাবেন। তাঁদের স্লোগান হল, ‘revive the spirit of the sixties’. কিন্তু ইতিহাসের অবিকৃত পুনরাবৃত্তি হয় না। ষাটের দশকের আন্দোলন যেমন আগের ছাত্র আন্দোলনের যুগপৎ কনটিউনিয়েশন অ্যান্ড নেগেশন, একবিংশ শতাব্দীর ছাত্র আন্দোলনও হবে ষাটের দশকের কনটিউনিয়েশন অ্যান্ড নেগেশন শুধু পুনরাবৃত্তি নয়, শুধু নাকচ নয়। হয়তো একবিংশ শতাব্দীর বাস্তবতায় এ ভাবেই ষাটের দশকের ছাত্র আন্দোলনের নবীকরণ ঘটবে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.