অসম্পূর্ণ চার শিল্প তালুকের কাজ শেষ করার নির্দেশ
মি পড়ে রয়েছে। নতুন করে অধিগ্রহণের প্রয়োজন নেই। চলতি আর্থিক বছরে বিভিন্ন জেলায় অসম্পূর্ণ এ রকম চারটি শিল্প তালুকের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার। সেই সঙ্গে আগামী বিধানসভা ভোটের আগে আরও আটটি নয়া শিল্প তালুক গড়ার রূপরেখা তৈরি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি মহাকরণে আলোচনা হয়েছে। যে চার শিল্পতালুকের কাজ শেষ করা হবে বলে ঠিক হয়েছে, সেগুলো হল বর্ধমানের দুর্গাপুর, মুর্শিদাবাদের রেজিনগর, জলপাইগুড়ির আমবাড়ি-ফালাকাটা এবং উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর।
এক লপ্তে এক হাজার একরের মতো বড় জমি কোনও শিল্পোদ্যোগীকে দেওয়া যাবে না মহাকরণে শিল্পপতি ও প্রশাসকদের বৈঠকে বুধবার তা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা বা তার আশপাশেও শিল্পের পর্যাপ্ত জমি নেই বলে জানান তিনি। এই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী চান শিল্পদ্যোগী এবং প্রশাসকেরা ক্ষুদ্র শিল্পে যথাযথ বিকাশের দিকে নজর দিন। সেই প্রেক্ষিতেই এই নির্দেশ বলে অনুমান প্রশাসনিক কর্তাদের একটা বড় অংশের।
কী অবস্থা এই চার তালুকের?
শিল্পোন্নয়ন প্রকল্পে তালুক তৈরির জন্য দুর্গাপুরে ২৭ একর জমি চিহ্ণিত হয়েছে বাম-আমলে। কিন্তু কাজ এগোয়নি। রাজ্যের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দফতরের এক পদস্থ অফিসার বলেন, “ওই জমিতে একটি কারখানা ছিল। ক’বছর আগে সেটি বন্ধ হয়ে যায়। ওখানকার আবাসিক-কর্মীরা সরকারকে ওই জমির দখল দিতে বাধা দিচ্ছেন।” কিছু দিন আগে ওই আবাসিক-কর্মীরা দুর্গাপুরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এ ব্যাপারে ক্ষোভ জানান। স্থানীয় পুরসভার মেয়র অপূর্ব মুখোপাধ্যায়কে মুশকিল আসানের পথ বার করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। অপূর্ববাবু বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের ক্ষুদ্র শিল্প উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান সব্যসাচী বাগচির সঙ্গে আলোচনা করেন। মহাকরণের এক পদস্থ অফিসার জানান, “ঠিক হয়েছে, ওখানে পাঁচ একর জমিতে কেন্দ্রীয় আবাসন প্রকল্পের সহায়তায় ওঁদের ঘর গড়ে দেওয়া হবে। শীঘ্রই প্রকল্পের প্রাথমিক কাজ শুরুর চেষ্টা হচ্ছে।”
রেজিনগরে ১৮৭.৩ একর জমিতে তালুক তৈরির জন্য বরাদ্দ হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। সেখানে ২৯৭টি ইউনিট তৈরির কথা। এই কাজেও সময় লাগছে। সব্যসাচীবাবুর দাবি, “বাম আমলের ঠিকাদারের উদ্যোগ এবং সার্বিক তদারকির অভাব ছিল বলে মনে হয়। ঠিকাদার বদলে কাজে গতি এনেছি।” মহাকরণের শিল্প দফতরের এক অফিসার বলেন, “আমরা বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য অপেক্ষা করছি। মাস দু’য়েকের মধ্যে ওখানে জায়গা বণ্টন শুরু হবে।”
ইসলামপুরে ১৭.১৮ একর জমির উপরে প্রস্তাবিত তালুকে ৬৭টি ইউনিট হওয়ার কথা। কয়েক মাস আগে ইটাহারের এক অনুষ্ঠানমঞ্চ থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের সঙ্গে এটিরও শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী। আমবাড়ি-ফালাকাটাতেও প্রায় ছ’বছর আগে শিল্প-তালুকের শিলান্যাস হয়। কাজ এগোয়নি। সেখানে ১১৯ একর জমিতে ২৫০ ইউনিট হওয়ার কথা।
এ ছাড়া, হুগলির মাহেশে শিল্পতালুক গড়তে ৫৩ একর জমি সম্প্রতি চিহ্ণিত হয়েছে। শিল্পতালুক তৈরির পরিকল্পনা চলছে বাঁকুড়া, দক্ষিণ দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। সব মিলিয়ে মোট জমির ৬৫ শতাংশে তৈরি হবে ১,৬৮০টি শিল্প-ইউনিট। বিভিন্ন তালুকে বাকি ৩৫ শতাংশ জমি ব্যবহৃত হবে পরিকাঠামোর নানা কাজে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.