বিধি শিকেয়, অধিকাংশ বাজারই জতুগৃহ পূর্বে
গ্নিনির্বাপণ নিয়ে হুঁশ নেই প্রশাসন বা দমকলের। যে কোনো দিনই পূর্ব মেদিনীপুরে ঘটে যেতে পারে বুধবারের কলকাতার ঘটনার পুনরাবৃত্তি।
জেলা শহর তমলুকের বড়বাজার ছাড়াও কাঁথির সুপার মার্কেট, পাঁশকুড়া স্টেশনবাজার, মেচেদা পুরাতন বাজরের অবস্থা বিপজ্জনক। অগ্নিবিধির তোয়াক্কা না করেই গড়ে উঠেছে দোকান। তমলুক পুরসভার উদ্যোগে শঙ্করআড়া সেতুর কাছে তৈরি প্রায় দেড়শো বছরের পুরানো বাজারের অধিকাংশ রাস্তার দখল নিয়েছে সব্জি, ফল, খাবার দোকান। অলিগলিতে ডাঁই হয়ে রয়েছে কাগজের বাক্স। দমকল দূর অস্ত, সাইকেল নিয়েই ঢোকা দায়। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাকে তুড়ি মেরে বছরের পর বছর এই ভাবেই চলছে জেলা সদর তমলুক শহরের সবচেয়ে ব্যস্ত বাজার।
একই অবস্থা কাঁথির সুপার মার্কেট, পাঁশকুড়া স্টেশনবাজার ও মেচেদা পুরাতন বাজারের। অগ্নিবিধির তোয়াক্কা না করেই চলছে দোকানপাট। বড়বাজারের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকার কথা স্বীকার করে তমলুকের পুরপ্রধান বলেন, “বড়বাজারে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা বলতে কিছু নেই। কোনও বিপদ হলে বাজারের ভিতরে যে দমকলের গাড়ি ঢুকবে তার জো নেই। এই নিয়ে দমকল আমাদের সঙ্গে আলোচনাও করেনি।” তমলুক শহরের বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরসভার অধীনে থাকা সত্ত্বেও বড়বাজারের ভিতর মূল রাস্তা দখল করে দোকান বসে। পুরসভা কোনও ব্যবস্থাই নেয় না। শহরের বাসিন্দা তমাল দাসের অভিযোগ, “বড়বাজারের মধ্যে অধিকাংশ দোকানে হেঁটে যাতায়াতের জন্যই প্রশস্ত রাস্তা নেই। তা নিয়ে হেলদোল নেই কারও।”
তমলুকে বড়বাজারের ঘিঞ্জি প্রবেশপথ। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস।
জেলার আরেক ব্যস্ত বাজার মেচেদার পুরাতন বাজার। হলদিয়া জাতীয় সড়ক ও রাজ্য সড়ক লাগোয়া এই বাজারের মধ্যেই আছে বসত বাড়ি, একাধিক ব্যাঙ্কের শাখা অফিস, বেসরকারি সংস্থার অফিস। এ ছাড়াও কাপড়, স্টেশনারি, বিভিন্ন খাবার, মিস্টির দোকান-সহ কয়েক’শো দোকান রয়েছে ঠাসাঠাসি করে। অধিকাংশ দোকানেই নেই অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, নেই দমকল ঢোকার মত পরিসরও। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বছর দেড়েক আগে বাজার সংলগ্ন একটি বাড়িতে আগুন লাগার পর শুধুমাত্র রাস্তা না থাকার ফলে দমকল এলেও ঢুকতে পারছিল না। জেলার আর এক গুরুত্বপূর্ণ পাঁশকুড়া রেলস্টেশন বাজারে আবার রাস্তার মধ্যেই বেআইনি ভাবে তৈরি প্রচুর ঝুপড়িতে দিব্যি দোকান চলছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেখানে স্থায়ী দোকান ঘর ছাড়াও রাস্তা দখল করে দীর্ঘ দিন ধরেই বহু দোকান চলছে। স্বাভাবিকভাবেই অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা বলতে কিছু নেই। ফলে গোটা স্টেশন বাজার জতুগৃহে পরিণত হয়েছে।
সমস্যা মেনে পাঁশকুড়ার পুরপ্রধান জাকিউর রহমান খান বলেন, “স্টেশন বাজারে রেলের জায়গা দখল করে বহু ঝুপড়ি বানিয়ে দোকান চলছে। আমরা রেলের অব্যবহৃত জায়গা লিজ নিয়ে সেখানে দোকানগুলি সরাতে উদ্যোগী হয়েছি। তবে রেলের থেকে সাড়া মেলেনি।” জেলা দমকল দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “তমলুক, কাঁথি, হলদিয়ায় দমকল কেন্দ্রে একাধিক ইঞ্জিন রয়েছে। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে ব্যবসায়ীদের সচেতনও করা হয়। তবে নজরদারি পরিকাঠামো তৈরি হয়নি।” এ প্রসঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) মলয় হালদারের বক্তব্য, “জেলার বড়-ছোট সমস্ত বাজারেরই অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হবে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.