সল্টলেকে মশা-নিধন
কাজে নেমে উপলব্ধি, ‘নিধিরাম সর্দার’
শাবাহিত রোগ প্রতিরোধের ন্যূনতম পরিকাঠামোই নেই। সল্টলেকে পথে নেমে পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে এমনই অভিজ্ঞতা হয়েছিল স্বাস্থ্য দফতরের। সিদ্ধান্ত হয়, পতঙ্গ বিশারদ, ল্যাবরেটরি-সহ ভেক্টর কন্ট্রোল ইউনিট গড়া হবে। এই ঘটনা গত বছরের।
সেই পরিকাঠামো অবশ্য এখনও তৈরি হয়নি। বরং মশকবাহিনী আরও বেশি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সল্টলেকে। বাসিন্দাদের অভিজ্ঞতা তেমনই। তা সত্ত্বেও গত বছরের অবস্থাই চলছে। অর্থাৎ, এ বছরও মশাবাহিত রোগ, বিশেষত ডেঙ্গি প্রতিরোধে পুরসভার ভরসা সেই স্বাস্থ্য দফতর। ফের পুর-কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য দফতরের কাছে পরিকাঠামোগত সহযোগিতা চেয়েছেন, বদলে পেয়েছেন সেই একই আশ্বাস।
পুর-চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “গত বছরও রাজ্য পাশে দাঁড়িয়েছিল। এ বারও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।”
কিন্তু কেন এক বছরেও সেই কাজ হল না, প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়ে। বাম আমলের মতো বর্তমান পুর-প্রশাসনেরও জবাব কার্যত এক। তা হল, হাতে টাকা নেই।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, মূল অসুখ একটাই। তা হল পুর-পরিকাঠামোর অভাব। রাজ্য সরকার সহযোগিতা করলে সমস্যার আপাত সমাধান হয়। তার পরে ফের যে কে সে-ই।
বাসিন্দাদের সে অভিযোগ কতটা যুক্তিযুক্ত? গত বছর সল্টলেকে ডেঙ্গি সংক্রমণের শিকার হন কয়েকশো মানুষ। আতঙ্ক গ্রাস করেছিল নগরবাসীকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে স্বাস্থ্য দফতরকে পথে নামতে হয়। কলকাতা পুরসভাও সহযোগিতা করে। প্রাথমিক ভাবে সল্টলেকে ডেঙ্গি আক্রান্তদের সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্যই দিতে পারেনি বিধাননগর পুরসভা। পরে রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপে ‘র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স’ থেকে প্রশিক্ষিত নার্সদের বাড়ি বাড়ি পাঠিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে প্রশাসন।
গত শুক্রবার এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্যভবনে প্রতিমন্ত্রী, দফতরের আধিকারিক থেকে পুর-প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। জোরকদমে মশা নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করতে নির্দেশও দেন তিনি। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, সেই বৈঠকেই বিধাননগর পুর-কর্তৃপক্ষ ফের রাজ্য সরকারের কাছে পরিকাঠামো সংক্রান্ত (ভেক্টর কন্ট্রোল ইউনিট) সহযোগিতা চান। স্বাস্থ্য দফতর সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।
বিধাননগর পুরসভার চেয়ারপার্সন কৃষ্ণাদেবী বলেন, “মূল সমস্যা অর্থের। যে কারণে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পও কার্যকর করতে পারিনি। এ ক্ষেত্রেও সেই সমস্যা রয়েছে। আমাদের কোনও পতঙ্গ বিশারদ নেই, ল্যাবরেটরি নেই। প্রশিক্ষিত কর্মীরও অভাব।”
তিনি জানান, আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করা হবে। ওয়ার্ড-পিছু অতিরিক্ত কর্মীই শুধু নয়, তাঁদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। তিনি বলেন, “সচেতনতার প্রচারেই জোর দিচ্ছি। গত বছর অধিকাংশ আবাসিক স্থলই ছিল ডেঙ্গির আঁতুড়ঘর। তাই নিজের বাড়ি নিজে সাফাই করলেই এই রোগ প্রতিরোধ করা সহজতর হবে। আমরাও জোরকদমে কাজ শুরু করছি।”
বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরসভার অর্থাভাব দীর্ঘ দিনের। তা জানা সত্ত্বেও কেন রাজ্য সরকার স্থায়ী সমাধানে এত দিন এগিয়ে আসেনি। যদিও এর সদুত্তর মেলেনি স্বাস্থ্য দফতরের কাছে। তবে অর্থসঙ্কট মিটলেই ভেক্টর কন্ট্রোল ইউনিট তৈরিতে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে বলে পুর-কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.