কাজ এগোচ্ছে জঙ্গলমহলে
মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ প্রকল্প নিয়ে বৈঠক প্রশাসনের
ক্ষমতায় এলে জঙ্গলমহলের সার্বিক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী হয়ে একগুচ্ছ প্রকল্পও ঘোষণা করেন। সেই সব প্রকল্পের কাজ কতদূর এগিয়েছে, কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না, হলে ঠিক কী সমস্যা এ সব নিয়ে বৈঠক হল বৃহস্পতিবার। মেদিনীপুরে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) রজতকুমার সাইনি, অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) সুমন ঘোষ, জেলা উন্নয়ন ও পরিকল্পনা আধিকারিক প্রণব ঘোষ, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সবিতেন্দ্র পাত্র। ছিলেন পূর্ত-সহ কিছু দফতরের আধিকারিকেরাও।
প্রশাসন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর ‘স্পেশাল প্যাকেজে’র কাজে অগ্রগতি সন্তোষজনক বলেই একমত হন উপস্থিত সকলে। কিছু সমস্যার কথাও ওঠে। অতিরিক্ত জেলাশাসক দ্রুত তা সমাধানের আশ্বাস দেন। তবে হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশন (এইচআরবিসি) যে সব কাজ করছে, তার গতি সন্তোষজনক নয় বলে খবর। এরা কয়েকটি হস্টেল ও স্কুল তৈরির কাজ করছে। বৈঠক শেষে অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) বলেন, “বেশ কিছু প্রকল্পের পর্যালোচনা হয়েছে। সব কাজ ঠিকই এগোচ্ছে।” এইচআরবিসি’র কাজে অসন্তোষ আছে? জবাব এড়িয়ে রজতবাবু বলেন, “সমস্যা একটা হয়েছিল। তবে তা মিটে গিয়েছে।”

কর্মব্যস্ত কালেক্টরেট অফিস। নিজস্ব চিত্র।
কী কী কাজ হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ প্রকল্পে? কেশিয়াড়ি- নয়াগ্রামের মাঝে সুবর্ণরেখা সেতু তৈরি থেকে জঙ্গলমহলে ছাত্রীদের হস্টেল, নতুন স্কুল সবই রয়েছে প্যাকেজে। অধিকাংশ প্রকল্পেই অর্থ বরাদ্দ হয়েছে কেন্দ্রীয় স্পেশাল ব্যাকওয়ার্ড রিজিয়ন গ্রান্ট ফান্ড (বিআরজিএফ) থেকে। সুবর্ণরেখা সেতুর জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬৯ কোটি ৪৯ লক্ষ টাকা। ২ বছর ৬ মাসের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা। ছাত্রী হস্টেল হবে ৫০টি। প্রতিটিতে ৫০টি করে শয্যা। ১০টি স্কুল, শালবনি-লালগড়-নয়াগ্রামে কলেজ তৈরির প্রকল্পও রয়েছে। কলেজ তৈরির টাকা দেবে উচ্চশিক্ষা দফতর। ২০১৪ সালের মার্চের মধ্যে কাজ শেষ হবে। নয়াগ্রাম ও শালবনির ক্ষেত্রে ব্যয় ৭ কোটি ৪১ লক্ষ টাকা। লালগড়ের ক্ষেত্রে ৭ কোটি ৯১ লক্ষ টাকা। রামগড়ে প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষণ কেন্দ্রের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ কোটি ৬৮ লক্ষ ১৪ হাজার। অর্থ আসবে বিআরজিএফ থেকে।
সঙ্গে রয়েছে জঙ্গলমহলের ১৯টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উন্নতিকরণ। পুষ্টি পুনর্বাসন কেন্দ্র ও ঝাড়গ্রামে স্পোর্টস অ্যাকাডেমি তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে প্যাকেজে। এ দিন বৈঠকে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে জানতে চাওয়া হয়, পুষ্টি পুনর্বাসন কেন্দ্রের কী পরিস্থিতি? জবাব আসে, মোট ১১টি কেন্দ্রের মধ্যে নয়াগ্রাম ও বিনপুরে ইতিমধ্যে তা চালু হয়েছে। শালবনিতে তৈরি হয়েছে। বাকি ৮টি এলাকায় পুষ্টি পুনর্বাসন কেন্দ্র তৈরির কাজ চলছে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজ দেখতে জেলায় এসেছেন ‘ন্যাশনাল লেভেল মনিটর’। স্পেশাল প্যাকেজের বেশ কিছু কাজ কেন্দ্রের বরাদ্দ টাকায় হওয়ায় তারাও নজরদারি চালাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এ ক্ষেত্রে নজর রাখছেন বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। ফলে সময়ের মধ্যে সব প্রকল্পের কাজ শেষ করার ‘চাপ’ রয়েছে জেলার উপর। তাই কাজ এগোনোর ক্ষেত্রে যাতে সমস্যা না- হয়, সে জন্যই এই বৈঠক।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.