চার চালকলের বিরুদ্ধে মামলা করল সরকার
কাস্টম মিল বা সিএম চাল সরকারকে না দিয়ে খোলাবাজারে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগে জেলার চারটি ধানকলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল খাদ্য দফতর। জেলা খাদ্য নিয়ামক শঙ্কর নারায়ণ বাঁকুড়া বলেন, “ওই চারটি রাইস মিলকে আমরা প্রচুর সুযোগ দিয়েছি। প্রথমে চাল ফেরত দিতে বলা হয়। পরে বলা হয় টাকা দিতে। কিন্তু প্রচুর সময় পেয়েও তা না মেটানোয় ওদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। ইতিমধ্যে আদালতে দুটি শুনানিও হয়ে গিয়েছে।”
সরকার চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি যে ধান কেনে, তা ভাঙিয়ে চাল করতে দেওয়া হয় চালকলগুলিকে। এই চাল পরে সরকারের বিভিন্ন এজেন্সির কাছে জমা পড়ার কথা। কিন্তু খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দাবি, “বর্ধমানের ওই চালকলগুলি এই চাল খোলাবাজারে বিক্রি করে দিয়েছে। এদের কাছ থেকে ইসিএসসির প্রায় কয়েক কোটি টাকা পাওনা রয়েছে।” তিনি বলেন, “আমরা ওই চারটি চালকলকে প্রথমে সমপরিমান চাল ফেরত দিতে বলি। তারা তা না দেওয়ায় তাঁদের চালের সমপরিমান অর্থ দিতে বলা হয়। সেটাও না দেওয়ায় আমরা ওই চালকলগুলির বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে এফআইআর করেছি।”
জেলার যে চারটি চালকলের বিরুদ্ধে নিউমার্কেট থানায় খাদ্য দফতর গত সপ্তাহে এফআইআর করেছে, সেগুলির মধ্যে প্রথম চালকলটির কাছে সরকারের পাওনা প্রায় ৩৭ লক্ষ ৪৮৪, পরেরটির কাছে ১৬ লক্ষ ১৪৪, তৃতীয়টির কাছে ১ কোটি ৫ লক্ষ ৮৯ হাজার ৫৬০ ও শেষেরটির কাছে ২৩ লক্ষ ১২ হাজার ৩৯২ টাকা। খাদ্যমন্ত্রী জানান, প্রথম চালকলটির দেওয়া দুটি চেক বাউন্স করে। পরেরটি পাওনা টাকার সাড়ে চার লক্ষ দিয়েছে। কিন্তু তৃতীয় বা চতুর্থটি কোনও টাকা বা চাল এ পর্যন্ত দেয়নি। তিনি আরও জানান, ওই চালকলগুলির কাছ থেকে ১১ হাজার ৮৮৩ টন চাল পেত অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিগম। নিগম অবশ্য চাষিদের ধান বিক্রি বাবদ পাওনা টাকা মিটিয়ে দিয়েছে।
তবে সরকারের এই সিএম চাল খোলা বাজারে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ নতুন নয়। জেলার বিভিন্ন চালকলের বিরুদ্ধে আগেও এই অভিযোগ উঠেছে। জেলা চালকল মালিক সমিতির সম্পাদক দেবনাথ মণ্ডল বলেন, “এই ধরনের অভিযোগ বা সরকারের দোষী চালকলের বিরুদ্ধে এফআইআর করা নতুন নয়। কিছু অসাধু চালকলের মালিক এই কারবারই করেছেন। সমুদ্রগড়ের যে চালকলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তার মালিক আগেও বারবার একই কান্ড করেছেন। তবু কেন ওই চালকলকে ধান ভাঙিয়ে চাল করতে দেওয়া হলো জানিনা। আমরা ওই অসাধু চালকলগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় খুশি। খাদ্যমন্ত্রীর উচিত এগুলিকে চাল সংগ্রহের প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়া।” খাদ্যমন্ত্রীও বলেছেন, “ওই চালকলগুলিকে কালো তালিকাভুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে।”
অভিযুক্ত চালকলগুলি অবশ্য এ নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি। সমুদ্রগড়ের ওই চালকলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ডিরেক্টার বলেন, “আমরা আপোসে মীমাংসা করতে খাদ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছিলাম। উনি শোনেননি। তাই আমরাও মামলা লড়ছি।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.