যদিদং হৃদয়ং তব, তদস্তু হৃদয়ং মম
রানে যখন জীবেনর মানে
আনন্দplus
সেদিন গুরুদ্বারে কোয়েলের বিয়ে শুরুর আগে হঠাৎ আমার মেয়ে নবন্যিয়ার কথা মনে পড়ে গেল।
তখনও বারাত এসে পৌঁছয়নি গুরুদ্বারেতে। এর মধ্যেই এল খুব ব্যক্তিগত, আবেগঘন, নরম একটা মুহূর্ত, যখন রঞ্জিতদা ঘরে ঢুকলেন। এসেই কোয়েলের পাশে বসে হাতটা আলতো করে ধরলেন। কোয়েল রঞ্জিতদার কাঁধে মাথাটা এলিয়ে দিল।
বাবা আর মেয়ে যেন অনেক কিছুই বলে ফেলল কিছু না বলেও। মনে হল দু’জনেই একটু আলাদা থাকতে চায়।
আমরা সবাই ঘরের মধ্যে ছিলাম। কিন্তু মানুষ, ভিড়ের মধ্যে কখনও কখনও একা হতে চায়। রঞ্জিতদা আর কোয়েলের জীবনেও এটা সে রকম একটা মুহূর্ত।
আমারও মনটা হঠাৎ ‘ফাস্ট ফরোয়ার্ড’-এ চলে গেল। চোখের সামনে দেখতে পেলাম নবন্যিয়ার বিয়ের দিনটা। ভাবলাম নবন্যিয়ার বিয়ের দিনও নিশ্চয়ই এ রকম একটা মুহূর্ত আসবে আমাদের দু’জনের জীবনেও।
কোয়েলও সেই সময় সবাইকে অনুরোধ করলেন ছবি না তুলতে। রঞ্জিতদার চোখে তখন জল।
এ রকম টুকরো টুকরো অনেক মুহূর্ত তৈরি হল কোয়েল আর রানের বিয়েতে।
আমার বিয়ের সময় কোয়েল ‘পত্রিকা’র পাতায় আমার বিয়ে নিয়ে লিখেছিল। আজকের লেখাটা তাই আমার অনেক দিনের নায়িকা কোয়েল মল্লিককে আমার রিটার্ন গিফট।
আরে ইয়ে তো হিরোইন লগতি হ্যায়
আসলে বহু দিন ধরে মল্লিকবাড়ির সঙ্গে আমার যোগাযোগ। ভবানীপুরের বনেদি এই পরিবারের বিভিন্ন লোকজন সমাজের বিভিন্ন মহল আলো করে বসে আছেন।
আমি যেহেতু সিনেমার সঙ্গে জড়িত, আমার কাছে মল্লিকবাড়ি মানেই রঞ্জিত মল্লিক। সিনেমার জগতে আসার পর থেকেই ওঁর থেকে শিক্ষা, আশীর্বাদ, উপদেশ সব পেয়েছি। রঞ্জিতদার মেয়ে রুক্মিণী ওরফে কোয়েল ওদের বাড়ির পরিচিতি, নামকে আরও বিস্তৃত করেছে। প্রায় দশ বছর ধরে রাজ করছে টালিগঞ্জে।
অন্য দিকে আলিপুরের শিখ পরিবার সুরিন্দর সিংহের। নামী প্রোডিউসর-ডিস্ট্রিবিউটর। সমাজের সব স্তরে পরিচয়। অত্যন্ত ভদ্র একজন মানুষ, সবার ভাল-মন্দের খবর রাখা এক ‘ফাদার ফিগার’। তাঁরই বড় ছেলে নিসপাল ওরফে রানে। সেও হার্ডওয়ার্ক আর নিষ্ঠার সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রিতে সবার মন জয় করে নিয়েছে।
আমার মনে আছে, একদিন ধীমানদার স্টুডিওতে গিয়েছি। গৌতম বরাটও ছিলেন সেখানে। ওই ঘরের দেওয়ালে ‘বাদশা’ ছবির একটা স্টিল ছিল। বুম্বাদার সঙ্গে কোয়েলের ফিল্ম স্টিল।
আজও মনে আছে, ওই ছবিটা দেখে রানে বলেছিল, “আরে ইয়ে তো হিরোইন লগতি হ্যায়”।
কিন্তু মজার হচ্ছে, সেই সময় ঈশ্বর ছাড়া আর কেউ জানত না রানে তার ফিল্মের হিরোইন নয়, নিজের জীবনের হিরোইনের সন্ধান পেয়ে গিয়েছিল সে দিন।

দুই পরিবারের পাশে দাঁড়ানোটাই কর্তব্য
তার পর কবে ওদের অন্তরঙ্গতা বাড়ল, কবে প্রেম হল, তা ইন্ডাস্ট্রিতে অনেকেই জানত। আমিও জানতাম। তবে কী করে প্রেম হল, কী ভাবে ঘনিষ্ঠতা বাড়ল, তা ওদের মুখ থেকে শুনতে পেলে বেশি মজা পাওয়া যাবে।
এ বার ফিরি ওদের বিয়ে প্রসঙ্গে। কোথা থেকে শুরু করি তাই ভাবছি। রিং সেরিমনি থেকেই শুরু করি তা হলে।
বৃহস্পতিবার সুইসোতেলের পুল সাইডে ছিল অনুষ্ঠান। সে দিন এত ট্রাফিক ছিল যে, আমার পৌঁছতে একটু দেরিই হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গে দেখলাম ওখানে এলাহি আয়োজন।
রানে আর কোয়েলের সঙ্গে গিয়ে দেখা করলাম। দু’জনকেই অসম্ভব সুন্দর লাগছিল। নাচ-গান, হই-হুল্লোড় সবই চলছিল পুরোদমে। এর মধ্যেই আংটি বদল হল। ডিজে তখন দারুণ সব গান বাজাচ্ছে। সব থেকে ভাল লাগছিল দুই পরিবারের সদস্যদের দেখে।
আমি সব সময় বিশ্বাস করি, বিয়ে শুধু দু’জনের হয় না। হয় দুই পরিবারেরও। সে দিন দুই পরিবারের লোকজনের একে অপরের সঙ্গে অন্তরঙ্গতা একটা পজিটিভ ভাইব তৈরি করছিল।
এর পর শুরু হল খাওয়া-দাওয়া। আমি একটু ভেটকি খেলাম আর সঙ্গে মঙ্গোলিয়ান চাউমিন। শেষ পাতে নিলাম অল্প একটু ডেজার্ট। ইচ্ছে থাকলেও আমি আমার প্রফেশনের জন্য বেশি খেতে পারি না। দুঃখ হয় মাঝে মধ্যে। সেদিনও ওই হই-হুল্লোড়ের মধ্যে যেমন হচ্ছিল।
আমাকে অবশ্য দুই পরিবারের তরফ থেকেই আলাদা করে নেমন্তন্ন করা হয়েছিল। আমার মা, বাবা এবং স্ত্রী মোহনাকেও আলাদা করে বলেছিল দুই পরিবারই। বিয়ের দিন তাই দুই পরিবারের পাশে দাঁড়ানোটা আমার কর্তব্য ছিল। সেই মতোই পরের দিনটা প্ল্যান করেছিলাম।
দেখি কার জামাটা ভাল হয়েছে জিৎ না দেবের
এত ব্যবস্থা ছিল বিয়েতে, কিন্তু তার মধ্যেও অনেক মজার মজার ঘটনা ঘটল। মনে আছে তখন বাঙালি মতে কোয়েলের গল্ফ গার্ডেনের বাড়িতে বিয়ে চলছে। এমন সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাজির। সঙ্গে অরূপদা (বিশ্বাস), পার্থদা (চট্টোপাধ্যায়)ও ছিলেন। ঘরে তখন আমরা ক’জন। এসে বর আর কনেকে আশীর্বাদ করলেন দিদি। তার পর হঠাৎ বললেন, “দেখি, জিৎ কোথায়? এই তো জিৎ,” বলে ডাকলেন আমাকে। কাছে যেতেই বললেন, “দেখি কার জামাটা ভাল হয়েছে, জিৎ না দেবের?” জিজ্ঞেস করতেই সবাই হেসে কুটোপুটি।
আমি দিদিকে বললাম, আজকে জিৎ বা দেব নয়,সব চেয়ে ভাল ড্রেস হয়েছে নিসপালের।

কী রে তুই বরপক্ষ না কনেপক্ষ
আবার ফিরি সে দিন সকালের ঘটনাতে। শুক্রবার সকালে যখন পৌঁছালাম আলিপুরে নিসপালের ফ্ল্যাটে তখন ব্যান্ড-বাজা চলছে।
‘ইয়ে দেশ হ্যায় বীর জওয়ানোকা’ থেকে ‘মেরে ইয়ার কি শাদি হ্যায়’ থেকে ‘টুইস্ট’। আজ এত অ্যাডভ্যান্সড মিউজিক সিস্টেম হয়েছে, এত টেকনোলজি এসেছে, কিন্তু ব্যান্ডের আওয়াজ যেন আজও ম্যাজিকাল। আজও ব্যান্ডের আওয়াজটা শুনলে বাচ্চা থেকে বয়স্ক সবার মস্তিষ্ক, হৃদয় আর পা তিনটেই যেন চঞ্চল হতে শুরু করে। এত দিন আগের সব সুর কিন্তু আজও সুপারহিট।
সে দিন রানেকে দেখেই আমার মনে হল, এক নওজওয়ান সর্দার ঘোড়ায় চড়ে বিয়ে করতে যাওয়ার জন্য তৈরি।
এর মধ্যেই সঙ্গীত পরিচালক জিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আর পরিচালক রবি কিনাগি আমায় ফোন করে জানতে চাইছিলেন, বারাত কখন বেরোবে? জিতই ধরিয়ে দিল কোয়েলকে। ফোন হাতে নিয়ে কোয়েলের প্রথম প্রশ্ন, “কী রে তুই বরপক্ষ না কনেপক্ষ?” হাসতে হাসতেই জিজ্ঞেস করল কোয়েল।
ও ততক্ষণে গুরুদ্বার পৌঁছে গিয়েছে। আমার গাড়িটা তখন এক আত্মীয়কে আনতে গিয়েছিল।
তাই ‘দুলহে’র বাড়ির একটা গাড়ি নিয়েই পৌঁছলাম গুরুদ্বার-এ। তখনও রানে পৌঁছায়নি। গুরুদ্বার পৌঁছেই উপরে উঠলাম। একটা ঘরে তখন কোয়েল ওর পরিবারের সবার সঙ্গে ছবি তুলছে। আমিও আড্ডা দিলাম কিছুক্ষণ।
আড্ডা মারতে মারতেই বুঝতে পারছিলাম রঞ্জিতদা বেশ ইমোশনাল।

কোয়েল, জিৎ-মোহনা
কোয়েল মা, কখন ফিরছিস
আমরা যারা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করি, তারা সবাই জানি রঞ্জিতদা কত ভালবাসা দিয়ে মেয়েকে বড় করেছেন। আজও শু্যটিং-এ দেরি হলে রঞ্জিতদার বার বার ফোন আসে, “কোয়েল মা, কখন ফিরছিস? আর কাজ করতে হবে না। তাড়াতাড়ি চলে আয়।”
সেই ছোট্ট মেয়েটার আজকে বিয়ে হয়ে যাচ্ছে রঞ্জিতদাকে গুরুদ্বারে দেখে সেই কথাগুলো মনে পড়ছিল। সেই মুহূর্তে রঞ্জিতদা যেন পৃথিবীর সব কন্যা সন্তানের বাবার প্রতিচ্ছবি।
খুব আবেগপূর্ণ ভাবে মুহূর্তটা ভাঙল। ‘তাড়াতাড়ি করো, বারাত এসে গিয়েছে’-র চিৎকার শুনে।
বারাত আসার পর ছেলে এবং মেয়ের বাবা পরস্পরকে মালা পরিয়ে স্বাগত জানালেন।
এর পর শিখ ধর্ম অনুযায়ী বিয়ে হল চার বার শ্রীগুরু গ্রন্থ সাহিবকে প্রদক্ষিণ করে।
শিখদের ধারণা প্রদক্ষিণ করার সময় ছেলে যদি পিছনে ফিরে মেয়েকে দেখে, তা হলে সে সারাজীবন ‘জরু কা গুলাম’ হয়েই থাকবে। আপনাদের জানিয়ে রাখি, রানে কিন্তু একবারও ঘুরে তাকায়নি।
এর মাঝখানেই আমি অনুরোধ করেছিলাম গুরুদ্বার কমিটির কাছে, আমাকে যেন নাগাড়া বাজানোর অনুমতি দেওয়া হয়। ওই গুরুদ্বারে ছোটবেলা থেকেই যাই আমি। গিয়ে ‘সেবা’ করতাম ওখানে। সব দেখেশুনে ওরা আমাকে অনুমতি দিলেন এবং তাই আমি ওঁদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ।
সেই সময় প্রণাম করতে বলা হল আমাকে। আমি ভগবানের কাছে সবার মঙ্গল কামনা করলাম। প্রার্থনা করলাম কোয়েল আর রানের জন্য। ওরা যেন সারাজীবন সুখে থাকে এটাই কামনা করলাম।
এর পর কোয়েল আর রানের সঙ্গে গুরুদ্বারের প্রমুখ আমাকেও ‘শিরোপা’ পরিয়ে দিলেন। আমার জীবনের অন্যতম সেরা মুহূর্ত সেটা। ঘড়ির কাঁটা তখন ছুটছে।
নীচে নেমে ছবি তোলা হল। খাওয়া-দাওয়া শুরু। কিন্তু সবার মাথায় তখন একটাই চিন্তাসময় বেশি নেই। আর কয়েক ঘণ্টা পরেই বাঙালি মতে বিয়ে শুরু হবে কোয়েলের বাড়িতে।

দেখবে না, দেখবে না
লগ্ন ছিল সাড়ে ছ’টা। কোয়েলের আবার এসএমএস এল। “তুই আসছিস তো? ৬.৩০ কিন্তু।” গল্ফ গার্ডেনের বাড়িতে আমি অনেক বার গিয়েছি, কিন্তু সে দিন সন্ধেবেলা বাড়িটা যেন আরও সুন্দর লাগছিল। কোয়েলের পিসি, কাকা, জ্যাঠা, মাসি, বোনেরা সবাই হাজির। ড্রয়িং রুমে দেখলাম রঞ্জিতদা বসে রয়েছেন। চোখে মুখে টেনশন। আমাকে দেখে বললেন, “জিৎ বোসো। কোয়েল উপরে।”
এর মধ্যেই রানে এসে পৌঁছল। বরণ করা হল ওকে। সকালে ওকে যতটা টেনসড লাগছিল, বিকেলে কিন্তু ততটাই রিল্যাক্সড। এর পর শুভদৃষ্টির পালা। পানের পাতা দিয়ে মুখ ঢেকে কোয়েলকে পিঁড়ি করে ওর ভাই আর দাদারা নিয়ে এল।
বহু সিনেমায় আমি কোয়েলের সঙ্গে এই দৃশ্যে অভিনয় করেছি।
কিন্তু ওটা সিনেমা। এটা জীবন।
আশেপাশে কোয়েলের ভাইরা তখন রানের উদ্দেশ্যে মজা করে বলছে, “দেখবে না, দেখবে না।” রানে কিন্তু ওদের কথা শোনেনি। তার মধ্যেই দেখার চেষ্টা করছিল বউকে।
তার পর সবাই মিলে গেলাম রয়াল ক্যালকাটা গল্ফ ক্লাবে। ওখানে আমি অনেক শু্যটিং করেছি। কিন্তু আরসিজিসিতে যে ওরকম একটা অসাধারণ জায়গা আছে যেখানে অত বড় একটা বিয়েবাড়ি অ্যারেঞ্জ করা যায় আমি জানতামই না।
কাতারে কাতারে লোক ঢুকছে তখন। এক সময় তো মনে হচ্ছিল ব্যারিকেডগুলো খুলে ফেলতে হবে। তার পর ধীরে ধীরে ভিড় কমতে শুরু করল। সবাই মোটামুটি চলে যাওয়ার পর আমরা কয়েকজন ওদের দু’জনের সঙ্গে একসঙ্গে খেতে বসলাম।
মাংস-কাবাব কিছুই বাদ দিই নি। সঙ্গে ছিল নলেন গুড়ের মাখা সন্দেশ। ওটা থাকলে তো বুঝতেই পারছেন আমার কী অবস্থা হয়! দু’টো খেয়ে ফেললাম ঝটপট।
বাড়ি ফেরার সময় মণি আমাকে জিজ্ঞেস করল, “কাল কী পরছিস?’’
পরের দিন তাজ বেঙ্গলে ছিল রিসেপশন। সেদিন মোহনাও ছিল আমার সঙ্গে। অনেকের সঙ্গে অনেক আড্ডা দিলাম।
তাজ বেঙ্গলে রিসেপশনটা ছিল যেন নবমীর সন্ধে। তিন দিনের অনেক হই-চইয়ের পর কী রকম ফাঁকা ফাঁকা লাগছিল।
কী করে যে তিনটে দিন কেটে গেল বুঝতেই পারলাম না। বাড়ি ফিরলাম। শুতে যাবার আগে প্রণাম করলাম ভগবানকে। কোয়েলের ফ্যানদের তরফ থেকে, আমার ফ্যানদের তরফ থেকে, আমার পরিবারের পক্ষ থেকে, পুরো ইন্ডাস্ট্রির তরফ থেকে প্রার্থনা করলাম, ওরা দু’জন যেন সারা জীবন খুব সুখী হয়।
তার পর মাথায় একটা দুষ্টু খেয়াল এল। মনে পড়ল মাঝে মাঝেই আমি কোয়েলকে বলতাম, “কী করছিস তুই? বিয়েটা কর এ বার!”
আজ বিয়ের দু’দিন হয়ে গিয়েছে। এটাও জানি, এটা পড়ার পর কোয়েল আমাকে মারবে।
কিন্তু সবাই জানে কোয়েলের ভাল নাম রুক্মিণী। তাই ‘রোজা’ সিনেমার গানের লাইনটা আমার জিজ্ঞেস করার ইচ্ছে।
‘রুক্মিণী রুক্মিণী, শাদি কে বাদ ক্যয়া ক্যয়া হুয়া।”
এই রে কোয়েল এ বার মারবে আমায়। আমি পালালাম।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.