ধনী-গরিব ভেদ মুছছে খাদ্য সুরক্ষা আইনে
গামী লোকসভা নির্বাচনের রণকৌশল ঠিক করতে কাল থেকে চিন্তন বৈঠকে বসছে কংগ্রেস। তার ঠিক আগে আজ খাদ্য সুরক্ষা আইন নিয়ে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সুপারিশ করল, গরিব-ধনীর পার্থক্য না করে সকলের জন্যই মাথা পিছু ৫ কিলোগ্রাম করে খাদ্যশস্য দেওয়া হোক। ৩ টাকা দরে চাল ও ২ টাকা দরে গম দেওয়া হোক সকলকেই।
আগামী ভোটে এই খাদ্য সুরক্ষা আইনকেই আম জনতার মন জয়ের অন্যতম হাতিয়ার করতে চাইছে কংগ্রেস। সনিয়া গাঁধীর নেতৃত্বাধীন জাতীয় উপদেষ্টা পরিষদ এই আইনের খসড়া তৈরিতে প্রধান ভূমিকা নিয়েছিল। খসড়ায় মাথা পিছু সাত কেজি করে খাদ্যশস্য দেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু এই প্রকল্পের বাস্তব রূপায়ণের জন্য আজ তা কমিয়ে পাঁচ কেজিতে নিয়ে আসার সুপারিশ করেছে কংগ্রেস সাংসদ বিলাস মুত্তেমওয়ারের নেতৃত্বাধীন কমিটি। কারণ প্রাকৃতিক কারণে খাদ্যশস্য উৎপাদন কমে গেলে বা খাদ্যশস্য সংগ্রহে সমস্যা হলে, মাথা পিছু সাত কেজি খাদ্য বণ্টনে সমস্যা তৈরির আশঙ্কা ছিল। কংগ্রেস সূত্রের বক্তব্য, ২০০৯-এর লোকসভা নির্বাচনের ইস্তেহারে খাদ্য সুরক্ষা আইনের প্রতিশ্রুতি ছিল। ইউপিএ-সরকার ও কংগ্রেস দল এই আইন তৈরিতে বদ্ধপরিকর।
সনিয়া গাঁধীর নেতৃত্বাধীন জাতীয় উপদেষ্টা পরিষদ যে প্রস্তাব দিয়েছিল, তা থেকে কাটছাঁট করে আইনের খসড়াটি তৈরি হয়। এই খসড়ায় খাদ্য বণ্টনের ক্ষেত্রে দু’টি ভাগ করা হয়। প্রথমটি হল দারিদ্রসীমার নীচের মানুষ, যারা অগ্রাধিকার তালিকায় থাকবেন। আর দারিদ্রসীমার উপরে বাকিরা। আইনের খসড়ায় বিপিএল-দের জন্য পরিবার-পিছু ৩৫ কেজি করে খাদ্যশস্য দেওয়ার কথা বলা হয়। পাঁচ জনের পরিবার হলে মাথা পিছু সাত কেজি করে খাদ্যশস্য পাওয়া যেত। আর বাকিদের জন্য পরিবার পিছু ১৫ কেজি করে খাদ্যশস্য দেওয়ার প্রস্তাব হয়। খাদ্য ও গণবণ্টন সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি আজ স্পিকারের কাছে যে সুপারিশ করেছে, তাতে এই বিভাজন তুলে দিয়ে সকলের জন্যই পাঁচ কেজি করে খাদ্যশস্য দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কমিটির হিসেব অনুযায়ী, গ্রামের ৭৫% এবং শহরের ৫০% মানুষকে এই প্রকল্পের আওতায় এনে ৭ কেজি করে খাদ্যশস্য দিতে গেলে ৭৬৩.২৩ লক্ষ টন খাদ্যশস্যের প্রয়োজন। আর ৫ কেজি করে দিলে ৫৬৮.০২ লক্ষ টন খাদ্যশস্যের দরকার। কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, “গত ৫ বছরে গড়ে ৬০২.৪ লক্ষ টন খাদ্যশস্য সংগ্রহ করেছে সরকার। সেই অনুযায়ী গ্রামের ৭৫% ও শহরের ৫০% মানুষকে খাদ্যশস্য বণ্টন করা বাস্তবসম্মত নয়।” মুত্তেমওয়ার জানান, একমাত্র সিপিএম-সাংসদ টি এন সীমা কমিটির সুপারিশের সঙ্গে ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন। সিপিএম চায় সর্বজনীন গণবণ্টন ব্যবস্থা চালু রাখা হোক।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.