উত্তরবঙ্গে ধানের অভাবী বিক্রি বন্ধ করতে ‘ভিজিল্যান্স টিম’ গড়ল খাদ্য ও সরবরাহ দফতর। কোচবিহার সহ উত্তরবঙ্গের কিছু জায়গায় ধান্য ব্যবসায়ী সমিতির নামে কৃষকদের থেকে কম দামে ধান কিনে শিবিরে এসে বেশি দামে বিক্রি করতে একটি চক্র সক্রিয় বলে অভিযোগ উঠেছে। মন্ত্রীও ঘটনার কথা শুনেছেন। তাঁর নির্দেশেই ওই প্রবণতা বন্ধে উত্তরবঙ্গের ছয়টি জেলার জন্য তিনটি ভিজিল্যান্স টিম গড়ার কাজ ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ হয়েছে। প্রতি দলে ১০ জন করে সদস্য রয়েছে। শিবিরে আসা বিক্রেতাদের তালিকা দেখে বাড়িতে গিয়ে সদস্যরা খোঁজখবর নেবেন। সেখানে কৃষকরা কত দাম পেয়েছেন, তা যাচাই করা হবে। অসঙ্গতি দেখা গেলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মন্ত্রীর আশ্বাস।
মঙ্গলবার রাজ্যের খাদ্য ও সরবরাহ মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কোচবিহারের নিশিগঞ্জে একটি ধান কেনার শিবিরে যোগ দিতে যান। মন্ত্রী বলেন, “চালাকি করে কৃষকদের বিক্রিতে বাধ্য করা হলে এফআইআর করা হবে। রাইস মিল মালিক থেকে সোসাইটি কর্তা কেউ রেহাই পাবেন না।”
কোচবিহার জেলায় দুটি নতুন গুদাম তৈরির জন্য ছয় কোটি টাকার বেশি অর্থ খরচ করা হবে বলেও জানিয়েছেন খাদ্য ও সরবরাহ মন্ত্রী। কোচবিহার জেলায় ধান কেনার জন্য ৫টি স্থায়ী শিবির করার নির্দেশ দেন তিনি। এ দিন আচমকা তিনি কোচবিহারের রেলগুমটি এলাকায় একটি ডিস্ট্রিবিউটরের গুদামে যান। সেখানে আটার মান নিয়েও প্রকাশ্যে ক্ষোভে ফেটে পড়েন জ্যোতিপ্রিয়বাবু। ওই আটার মান দেখতে কোয়ালিটি কন্ট্রোলারকে ডেকে পাঠাতে বলেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, “গুদামে ৭০ কুইন্টাল চাল কম পাওয়া গিয়েছে। আটাও নিম্নমানের। ভিজিল্যান্স টিম দেখবে।” এ দিন কোচবিহারের চকচকাতেও একটি ধান কেনার শিবিরে গিয়ে বিক্রেতাদের হাতে চেক তুলে দেন জ্যোতিপ্রিয়বাবু। বিকেলে কোচবিহারে খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের পাশাপাশি প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে সার্কিট হাউসে একটি বৈঠকও করেন তিনি। পরে দেওয়ানহাটে কোচবিহার সদর মহকুমা কৃষি মেলার উদ্বোধন করেন খাদ্য ও সরবরাহ মন্ত্রী। ওই অনুষ্ঠানে বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন, বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ প্রমুখও উপস্থিত হয়েছিলেন। |