ঠাকুর গড়ার কাজে মৃৎশিল্পীরা যেখানে অবহেলিত, পরবর্তী প্রজন্ম যেখানে মূর্তি গড়ার বদলে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা দিতেই বেশি উৎসাহী, সেই পরিস্থিতিতে উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সন্দীপ মোহন্ত ঝাঁপিয়ে পড়েছেন মূর্তি গড়ার কাজে। ইন্টারনেট বা টি-টোয়েন্টি উন্মাদনা সেখানে ছায়া ফেলে না। হর্টিকালচার ইন ভেজিটেবল অ্যান্ড স্পাইস-এ মাস্টার ডিগ্রি সন্দীপের। সন্দীপের এই শখের শুরু হয়েছিল প্রি-প্রাইমারি স্কুলে পড়াকালীন। তখন উপকরণ হিসাবে হাতে তুলে নিতেন আটামাখা কিংবা কচুরিপানা বা মাটি ছেনে ছেনে তৈরি করতেন বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি। যা ছিল শখ তাই হয়ে উঠল সাধনা, তখন সন্দীপ নবম শ্রেণীর ছাত্র। দুর্গাপুজো বা কালীপুজোই নয়, বছরভর রকমারি দেবদেবীর মূর্তি বানাতে ব্যস্ত রাখেন নিজেকে। |
বৈশাখ মাসে শুরু হয় দুর্গার খড়মাটির কাঠামো তৈরি। এরই ফাঁকে ফাঁকে চলতে থাকে মঙ্গলচণ্ডী, লক্ষ্মী, শীতলা, মনসা, কার্তিক, সরস্বতীর মূর্তি বানানো। সারা সপ্তাহে পড়াশোনার কাজে মাথা তোলার সময় না থাকলেও শনি-রবিবার সামাল দেওয়া ছাড়া গত্যন্তর থাকে না। আলিপুরদুয়ারের শিববাড়ির বাসিন্দা সন্দীপের তৈরি দুর্গাপ্রতিমার চাহিদা রয়েছে স্থানীয় ক্লাবগুলিতে। অন্যান্য প্রতিমারও ভাল বাজার রয়েছে। এ বছর প্রায় ১২টি সরস্বতী প্রতিমা নির্মাণের কাজে নিজেকে নিবিষ্ট রেখেছেন সন্দীপ। শিল্পীদু’অক্ষরের শব্দটাই এখন সন্দীপের বড় পরিচয়।
|
নস্টালজিয়ার ঘ্রাণ মিশে থাকে দেহ-মনের পরতে। যখন, অতীতকে ফিরে দেখতে চাওয়ায় মিলিত হতে চায় স্মৃতিমন, তখনই ‘প্রয়োজন’ হয়ে ওঠে ‘অনিবার্য’, সময় কিংবা সংখ্যা তখন ‘আয়োজন’-এর বাহক। পঞ্চাশ বছর তখন হয়ে ওঠে সুবর্ণবর্ষের পুনর্মিলন স্মৃতির অধ্যায়। ১৬-১৭ ডিসেম্বর শিলিগুড়ি কলেজের ভূগোল বিভাগ সাক্ষী থাকল তেমনই এক অধ্যায়ের। প্রথম দিন কলেজেরই ভূগোল বিভাগের ছাত্র-অধ্যাপক বিজনকুমার ঘোষ, দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, স্বপন বসুদের স্মৃতিচারণে উঠে এল দূরবর্তী অতীতের গভীর ভূগোল-কথা। পরে প্রবীর কুণ্ডু, প্রদীপ চৌহান, তরুণ দাস, প্রদ্যোত সিংহদের কথায় কথায় মিলে গেল নয়ের দশকের নস্টালজিয়া আর বর্তমান সময়ের গভীর মর্মবাণী। শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, পবিত্র সম্পর্কে পুনরাবিষ্কৃত হল পুরোনো সময় নতুন ভাবে নতুন রূপে। বর্তমান ছাত্রছাত্রীরাও মিশে গেল তাদের সময়ের নতুন আঙ্গিকে। প্রায় একশো জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ছাত্রছাত্রীদের উষ্ণ অংশগ্রহণে ফিরে ফিরে এল ‘সেইসময়’, ‘সুসময়’। উন্মোচিত হল স্মরণিকা ‘GOLDEN LEGACY: DOWN MEMORY LANE’ মডেল, চাট, প্রদর্শনীতে সম্ভাবনার হদিস মিলল নতুন দিনের ভূগোলবিদদের। |
লেখা ও ছবি: তুহিনশুভ্র মণ্ডল। |
পর দিন এস্কারশনের অতীত আনন্দকে বর্তমানের পৃথিবীতে ছুঁয়ে দেখতে নস্টালজিয়ার মশালবাহকরা তিস্তার জলে তিস্তার চরে, সবুজের আবাহনে, পাহাড়ের কোল ঘেঁষে হেসে উঠল সারাদিনমান, সূর্যের দিকে চোখ রেখে সেঁকে নিল আনন্দের এ পিঠ-ও পিঠ। সুমিত, সমুদ্ররা ভেসে গেল নদীর বেগে স্রোতের আপন ভেলায়। আমার কলেজ, তোমার কলেজ এক লহমায় বার বার হয়ে গেল আমাদের শিলিগুড়ি কলেজ আর তার ভূগোল বিভাগ। ভূগোল বিভাগের সুবর্ণজয়ন্তী পুনর্মিলনে সম্মাননীয় অতিথি হিসাবে ছিলেন উত্তরবঙ্গের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সমীরকুমার দাস। উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়, অধ্যাপক অরিন্দম ঘোষ, কলেজ অধ্যক্ষ ড. মলয় করঞ্জাই, প্রতুল চক্রবর্তী প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় বেঁধে রাখেন অধ্যাপিকা নিমা ডোমা লামা।
|
জলপাইগুড়ি থেকে গরুমারা বা চাপড়ামারি অভয়ারণ্যে যেতে পথে লাটাগুড়ি। অভয়ারণ্যগুলিতে ঢুকতে হলে টিকিট কাটতে হয় লাটাগুড়িতে। সেই লাটাগুড়ির বেশ কিছু মিষ্টির দোকানে বিক্রি হচ্ছে পেল্লাই সাইজের চমচম। পেল্লাই মানে, কোনওটির ওজন ৫০০ গ্রাম, কোনওটি সাড়ে ৭০০ গ্রাম, পুরো ১ কেজিরও হয় এক একটা। কাজু-কিশমিশ আর ক্ষীর দিয়ে তৈরি হয় এই স্পেশাল চমচম। বানান বিশেষ কারিগর। জনৈক মিষ্টিবিক্রেতা জানান, সারা বছরই এই চমচম পাওয়া যায়। দাম ৬০ টাকা থেকে ২৮০ টাকা পর্যন্ত। তার দোকানেই রোজ বিক্রি হয় ৪০ থেকে ৫০টা চমচম। ট্যুরিস্টদের কাছেও এর চাহিদা আছে। পরিবারের সকলের জন্য একটি চমচম যথেষ্ট।
|
লেখা পাঠান নাম ও সম্পূর্ণ ঠিকানা লিখে। |
|