রাজ্যে কন্যাভ্রূণ হত্যার ক্ষেত্রে যথেষ্ট নজরদারি নেই বলে জানালেন খোদ স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথী। মঙ্গলবার দুর্গাপুরে স্বাস্থ্য দফতর আয়োজিত এক কর্মশালায় যোগ দিয়ে অংশ নিয়ে বিশ্বরঞ্জনবাবু বলেন, “পুরুষের তুলনায় নারীর হার দিন দিন কমছে। কিন্তু কন্যাভ্রূণ হত্যার কারণে ক’টা লিঙ্গ নির্ধারণ কেন্দ্র শাস্তির মুখে পড়েছে, তা স্পষ্ট নয়।” দক্ষিণবঙ্গের সাতটি জেলা নিয়ে আয়োজিত ‘প্রি-কনসেপশন অ্যান্ড প্রি-ন্যাটাল ডায়গনিস্টিক টেকনিক’ (পিসি অ্যান্ড পিএনডিটি) শীর্ষক ওই কর্মশালায় বক্তারা জানান, দেশে প্রতি হাজার পুরুষ শিশুর তুলনায় নারী ৯১৪। রাজ্যে এই হার ৯৫০। কিন্তু বর্ধমান জেলায় তা মাত্র ৯০৩। গ্রামাঞ্চলের তুলনায় শহরাঞ্চলে হার আরও কম। পিসি অ্যান্ড পিএনডিটি-র সুপারভাইজরি বোর্ডের ভাইস চেয়ারপার্সন শশী পাঁজার মতে, “প্রচুর কন্যাভ্রূণ হত্যা হচ্ছে।” স্বাস্থ্য অধিকর্তার মতে, “একটা বিষয় স্পষ্ট, ব্যাপক হারে লিঙ্গ নির্ধারণ করা হচ্ছে। কিন্তু সেই সব ডায়গনস্টিক সেন্টারের উপর নজরদারি হচ্ছে? ক’টা সেন্টার শাস্তির মুখে পড়ছে? কোনও স্পষ্ট পরিসংখ্যান নেই কারও কাছে।”
|
গত ২৪ ঘণ্টায় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৯টি শিশুর মৃত্যু হল। এ ঘটনার পরেই জেলা রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা পযর্টন মন্ত্রী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আধিকারিকদের নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী বলেন, যে ৯টি শিশু মারা যায়, তারা খুব সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কয়েকটি শিশু কম ওজন নিয়ে জন্মেছিল। চিকিৎসকরা ওই শিশুদের বাঁচনোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছিলেন। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শিশু মৃত্যুর হার অনেক কমে গিয়েছে। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার হিমাদ্রি আড়ি বলেন, “যে সব শিশু মারা যায় তারা অসুস্থ ছিল। তিনটি শিশু কম ওজনে জন্মানোর পরে মারা গিয়েছে। বাকিরা শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ায়।”
|
বকেয়ার দাবিতে ব্লক স্বাস্থ্য কর্তাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাল বহুমুখী স্বাস্থ্য প্রকল্পের কর্মীরা। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে ৩টে পর্যন্ত কালচিনি ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চলে ঘেরাও ও বিক্ষোভ। স্বাস্থ্যকর্তারা সাত দিন সময় নেওয়ায় ঘেরাও তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা। কালচিনির ১১ মাল্টিপারপাস হেলথ ওর্য়াকাস ৯ মাস ধরে বেতন পাননি। |