আন্ত্রিকে অসুস্থ রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে। সোমবার এখানে ভর্তি ছিলেন ৭০ জন। মঙ্গলবার হাসপাতালের সুপার নীলাঞ্জনা সেন জানিয়েছেন, এ দিন বিকেল পর্যন্ত নতুন করে আরও ৪০ জন আন্ত্রিকে আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়ে গিয়েছে।
পুরুলিয়া পুর এলাকার নামোপাড়া, রথতলা, ভাগাবাঁধ পাড়া, নাপিত পাড়া, রামপদ কলোনি, জেলিয়া পাড়া-সহ লাগোয়া কয়েকটি এলাকায় আন্ত্রিক ছড়াতে শুরু করে শনিবার রাত থেকেই। পেটে যন্ত্রণা, বমি ও পায়খানার উপসর্গ নিয়ে রোগীরা ভর্তি হচ্ছেন। স্থানীয় শান্তময়ী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের হস্টেলের চার ছাত্রীও আন্ত্রিকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। মঙ্গলবার স্কুল ও ছাত্রীনিবাস পরিদর্শনে যান রাজ্যের মন্ত্রী তথা ওই স্কুলের পরিচালন সমিতির সম্পাদক শান্তিরাম মাহাতো। তিনি বলেন, “আমি স্কুল ও ছাত্রীনিবাসে পানীয় জল পরিশোধনের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছি।”
জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক স্বপনকুমার ঝরিয়াতের দাবি, “সংক্রমণ অব্যাহত থাকলেও এ দিন খানিকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আমাদের চিকিৎসক দল এলাকায় গিয়ে ওষুধ এবং ওআরএস বিলি করছেন। সচেতনতার জন্য মাইকে প্রচারও করা হচ্ছে।” তিনি জানান, রোগীদের মলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
তবে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার ভূমিকার সমালোচনা করেছে কংগ্রেস। পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলরদের অভিযোগ, পুরসভার পানীয় জলের পাইপ লাইনের মাধ্যমে দূষিত জল ছড়িয়ে পড়েই এই বিপত্তি। অথচ পুর কর্তৃপক্ষের কোনও হুঁশ নেই। একই সুর তৃণমূলের জেলা সভাপতি শান্তিরামবাবুর গলাতেও। তাঁরও অভিযোগ, “পুরসভার আর একটু তৎপর হওয়া উচিত ছিল। পুরপ্রধানকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।” পুরপ্রধান তারকেশ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পাইপ লাইনে এক জায়গায় ফাটলের জেরেই এই গোলমাল। কর্মীরা দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছেন।” |