পড়ে থাকা আইসিইউ ভবনে চালু হল নতুন শিশু বিভাগ। মঙ্গলবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এই ২১০ শয্যার নতুন বিভাগের উদ্বোধন করলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এত দিন এই বিভাগে শয্যার সংখ্যা ছিল ৬০টি। অথচ এখানে চিকিৎসার জন্য আসেন বর্ধমান ছাড়াও আশপাশের বেশ কয়েকটি জেলার মানুষজন। হাসপাতালের সুপার অসিতবরণ সামন্ত বলেন, “এ বার আমাদের হাসপাতালে শিশুমৃত্যুর হার নিঃসন্দেহে কমবে।”
রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা (শিক্ষা) সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় অনুষ্ঠানে বলেন, “বর্ধমান-সহ বিভিন্ন মেডিক্যাল বা জেলা হাসপাতালে যখন পরপর শিশুমৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছিল, তখন আমরা পর্যালোচনা করে দেখি, হাসপাতালগুলির শিশু ওয়ার্ডে স্থানাভাবই এর অন্যতম কারণ। এখানে শয্যার সংখ্যা বাড়ায় এ বার থেকে বেশি সংখ্যক অসুস্থ শিশু চিকিৎসা পাবেন।” মন্ত্রী চন্দ্রিমাদেবীর বক্তব্য, “আগে রাজ্যে এই ধরনের এসএনসিইউ-এর সংখ্যা ছিল ছ’টি। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮টি। মার্চের মধ্যে তা গিয়ে দাঁড়াবে ৪০-এ।”
|
এই হাসপাতালে এক মাসের মধ্যে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান এবং এমআরআই ইউনিট খোলা হবে বলে ঘোষণা করেন মন্ত্রী। এ দিন হাসপাতালে ভর্তি এক যক্ষ্মা রোগীকে ওষুধ খাইয়ে ডটস্ প্লাস প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি। স্বাস্থ্য অধিকর্তা (শিক্ষা) সুশান্তবাবু বলেন, “রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও জেলা হাসপাতালে দ্রুত এই প্রকল্পটি চালু করার চেষ্টা হচ্ছে।”
সুশান্তবাবু এ দিন দাবি করেন, স্নাতকোত্তর স্তরে প্রচুর আসন বাড়ায় আগামী দু’তিন বছরের মধ্যে রাজ্যে চিকিৎসকের অভাব থাকবে না। বর্ধমানের বামচাঁদাইপুরে অনাময় হাসপাতালটির মেডিক্যাল কলেজ থেকে দূরত্ব-সহ বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে বলে জানান তিনি। তবে তাঁর আশ্বাস, সমস্ত সমস্যা কাটিয়ে হাসপাতালটিকে সুপার স্পেশালিটি পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
সভায় উপস্থিত স্বাস্থ্য বিষয়ক উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটির চেয়ারম্যান ত্রিদিব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আগামী ছ’মাসের মধ্যে শিশু চিকিৎসার ক্ষেত্রে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নতি হতে চলেছে। রাজ্যের ৭টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে খোলা হতে চলেছে পেড্রিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট। আগে এই ধরনের ইউনিট কোথাও ছিল না। রাজ্যের একটি শিশুকেও আমরা বিনা চিকিৎসায় মরতে দেব না।” |