নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
ভবিষ্যতে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ ফেলার ক্ষেত্রে পুর কর্তৃপক্ষকে নিয়ম মেনে কাজ করতে পরামর্শ দিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব। মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরে পুরসভার কাজের পর্যালোচনা বৈঠকে তিনি বিষয়টি জানিয়েছেন। সম্প্রতি প্রায় দেড় কোটি টাকার মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ পুরসভার মাতৃসদন থেকে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ফেলা হয়। বোর্ড মিটিংয়ে কোনও সিদ্ধান্ত না নিয়ে, কোনও রকম নিয়ম না মেনে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে সেগুলি চুপিসাড়ে ফেলার অভিযোগ ওঠে।
এ দিন গৌতমবাবু জানান, বাম জমানায় ২০০০-২০০৯ সালের মধ্যে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওই সমস্ত ওষুধ পড়ে ছিল। পুরসভার মাতৃসদনের পাশে যে হলঘরে তা রাখা ছিল সেখানে ৩ নম্বর বরো কমিটির অফিস স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত হয়েছে। পুরসভার নতুন ভবনের কাজ শুরু হবে সে কারণেই বরো অফিস সেখান থেকে সরাতে হচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে ওই কাজের জন্য ওষুধফেলে ঘর পরিষ্কার করা হয়েছে। বাম জমানায় সে সব কোনও নথি রাখা হয়নি। যা পরিস্থিতি ছিল তাতে ওষুধগুলি নথিভুক্ত করতে অনেক সময় লাগত। জরুরি ভিত্তিতে তাই এ ভাবে ফেলতে হয়েছে। তাতে পদ্ধতিগত কিছু ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করেন তিনি। গৌতমবাবু বলেন, “আরও মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ মাতৃসদনের একটি ঘরে রয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরকে এ ব্যাপারে চিঠি দেওয়া হচ্ছে। নিয়ম মেনে সেগুলি ফেলা হবে।”
নতুন বোর্ড ক্ষমতায় আসার পর কবে কখন কত ওষুধ কেনা হচ্ছে সে ব্যাপারে নথি রয়েছে বলে জানান তিনি। বাম জমানায় মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধের হিসেব না থাকলেও সেগুলি সুডার তরফে সরবরাহ করা হত। তথ্য পেতে সুডার সঙ্গেও যোগাযোগ হচ্ছে বলে জানান তিনি। অন্য দিকে বস্তিবাসীদের পুরকর মকুব করতে কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব দিয়েছেন মন্ত্রী। মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত বলেন, “বস্তিবাসীদের কর মকুবের বিষয়ে জানিয়েছেন। আমরাও বিষয়টি প্রস্তাব আকারে বোর্ড মিটিংয়ে আগেও রেখেছিলাম। নিয়ম মেনে তা কার্যকর করা হবে।” উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বৈঠকে ঠিক হয়েছে, শিলিগুড়ি ডিআই ফান্ড মার্কেট নতুন রূপে গড়ে তোলা হবে। শক্তিগড় এলাকার সুষ্ঠু নিকাশি ব্যবস্থা করা, শহরে সাফাইয়ের কাজে ঢাকনা যুক্ত উন্নত মানের বিশেষ গাড়ি ব্যবহারের জন্য পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পুরসভার সামনের রাস্তা চওড়া করার প্রক্রিয়া আজ, বুধবার থেকেই শুরু করবেন পুর কর্তৃপক্ষ। |