খোদকারি রাজ্যপালের উপরে, বিজ্ঞপ্তি খারিজ |
জুনিয়র হাইস্কুলের (পঞ্চম থেকে অষ্টম) অতিথি শিক্ষকদের বেতন হার পরিবর্তন করে রাজ্যের শিক্ষা দফতরের জারি করা বিজ্ঞপ্তি খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্যপালের সই করা বিজ্ঞপ্তি সংশোধন করে নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করেন এক জন যুগ্মসচিব। বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত ওই বিজ্ঞপ্তি খারিজ করে দিয়ে বলেন, প্রশাসনিক কাজকর্মের প্রাথমিক বিষয় সম্পর্কে অজ্ঞতা থেকেই এই বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। বাদলচন্দ্র ভুইয়াঁ নামে এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মামলা করে বলেন, তাঁরা অতিথি শিক্ষক হিসেবে যে-বেতন পাচ্ছিলেন, এখন তা পাচ্ছেন না। সরকার ২০০৮ সালে একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানায় জুনিয়র হাইস্কুল চালানোর জন্য প্রথম দিকে অবসরপ্রাপ্তদের অতিথি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হবে। তাঁরা অবসরের সময় যে-বেতন পেয়েছেন, তার থেকে পেনশনের টাকা বাদ দিয়ে যা দাঁড়ায়, সেটাই পাবেন। কিন্তু গত অক্টোবরে স্কুলশিক্ষা দফতরের যুগ্মসচিব একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানান, অতিথি শিক্ষকদের মধ্যে যাঁরা সাধারণ স্নাতক, তাঁরা ৫০০০ এবং যাঁরা অনার্স বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী, তাঁরা ৭০০০ টাকা পাবেন। সেই বিজ্ঞপ্তিটিই খারিজ হল। |
অভিন্ন প্রবেশিকা মানবে না যাদবপুর |
স্নাতকোত্তরে অভিন্ন প্রবেশিকা (কমন এন্ট্রান্স টেস্ট বা সেট) মানছে না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এ বছর সেট থেকে অব্যাহতি চেয়ে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানাবে তারা। সেই সঙ্গে ওই বিশ্ববিদ্যালয় ঠিক করেছে, আগামী বছর থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তর মিলিয়ে ইন্টিগ্রেটেড বা সুসংহত পাঠ্যক্রম চালু করা হবে। অর্থাৎ সে-ক্ষেত্রেও অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তির সুযোগ থাকবে না। স্নাতক স্তরের পরে কিছু পড়ুয়া অন্যত্র চলে যাওয়ায় স্নাতকোত্তরে অল্প যে-ক’টি আসন খালি থেকে যায়, সেট-এর মাধ্যমে শুধু সেগুলিতে পড়ুয়াদের ভর্তি করতে রাজি যাদবপুরের কর্তৃপক্ষ। সে-ক্ষেত্রেও সেট এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার মধ্যে কোনটিকে কতটা গুরুত্ব দেওয়া হবে, তা স্থির করার এক্তিয়ার নিজেদের হাতে রাখতে চান তাঁরা। রাজ্য সরকারকে লিখিত ভাবে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে বলে মঙ্গলবার এগ্জিকিউটিভ কাউন্সিল (ইসি)-এর বৈঠকে ঠিক হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত তাঁদের অনুকূলে গেলেও তৎক্ষণাৎ লিখিত ভাবে তা জানানোর দাবিতে এ দিন ইসি-র সদস্যদের কয়েক ঘণ্টা ঘেরাও করেন যাদবপুরের এক দল পড়ুয়া। |
নারী-নিগ্রহ বিচারে বিশেষ কোর্ট |
রাজ্য জুড়ে নারী-নির্যাতন বেড়েছে। নারী-নিগ্রহের মামলার পাহাড় জমেছে বিভিন্ন নিম্ন আদালতে। সেই সব মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য রাজ্য সরকারকে প্রতিটি নিম্ন আদালতে একটি করে ‘স্পেশ্যাল কোর্ট’ গঠনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার নারী-নির্যাতনের একটি মামলার শুনানি চলছিল বিচারপতি কনোয়ালজিৎ সিংহ অহলুওয়ালিয়ার এজলাসে। আবেদনকারী মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির আর্জি জানান। সাধারণ ভাবে এই সব মামলা নিম্ন আদালতে হওয়ার কথা। কিন্তু তা না-হওয়ায় আবেদনকারীদের হাইকোর্টে আসতে হচ্ছে। বিচারপতি জানান, চলতি ব্যবস্থায় নারী-নির্যাতন, খোরপোষ, ধর্ষণ মামলার দ্রুত বিচার হচ্ছে না। তিনি রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবকে নির্দেশ দেন, এই ধরনের কত মামলা জমেছে, তার তালিকা তৈরি করতে হবে। সেই সব মামলার দ্রুত ফয়সালার জন্য বিশেষ আদালত গড়তে হবে সব জেলা ও মহকুমা কোর্টে। ওই সব বিশেষ আদালতে শুধু নারী-নিগ্রহের মামলাই হবে। |
বিয়ে নথিভুক্তির ফি নিয়ে মামলা |
রাজ্য সরকারকে হিন্দু বিবাহ আইনের রেজিস্ট্রেশন ফি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ২০১০ সালে হিন্দু বিবাহ আইন ও স্পেশ্যাল হিন্দু বিবাহ আইন সংশোধন করার পরে দেখা যায়, হিন্দু বিবাহ আইনে রেজিস্ট্রেশন ফি অনেক বেড়েছে। মুসলিমদের ফি ১৫ টাকা, খ্রিস্টানদের ১১। অথচ হিন্দুদের ফি ৫০০ টাকা। অলোক চট্টোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি জনস্বার্থের মামলা করে জানান, কেন্দ্র ও রাজ্য চায়, সব বিয়েই নথিভুক্ত হোক। কিন্তু ফি বেশি বলে গরিবেরা তা করাতে পারছেন না। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্র এবং জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ বলে, আইনে বৈষম্য চলে না। আদালত রাজ্যের মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছে, আবেদনকারীর বক্তব্য শুনে তিন মাসের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে হবে। |
পড়ে গিয়ে কোমরে গুরুতর চোট ইউডিএফ নেতা সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর। হাড় জুড়তে মুম্বইয়ের হাসপাতালে অস্ত্রোপচার হয়েছে। দুর্ঘটনার সময় তিনি ছিলেন গুজরাতে। তাঁকে বেশ কিছু দিন হাসপাতালে থাকতে হবে। |