ডিভিসি-র মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা নিয়ে যাওয়ার পথে লাইনচ্যুত হল একটি মালগাড়ি। কয়লা ভর্তি আটটি বগি লাইনের পাশে উল্টে যায়। তবে মালগাড়িতে থাকা কর্মীরা কেউ চোট পাননি। এই ঘটনার পিছনে দুষ্কৃতীদের হাত রয়েছে বলে অনুমান ডিভিসি-র একাংশের। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটে মেজিয়ার শ্যামাপুর গ্রামে। পুলিশের কাছে ডিভিসি-র তরফে অভিযোগ করা হয়েছে।
দুর্ঘটনায় পর রেলের লাইন অনেক জায়গায় ভেঙে গিয়েছে। মালগাড়ির চাকাও খুলে গিয়েছে। কয়েকটি বগি একে অন্যের উপর উঠে গিয়েছে। ঘটনার পরেই বগিগুলি সরিয়ে লাইন মেরামতিরা কাজ শুরু হয়। ডিভিসির এক কর্তা বলেন, “মঙ্গলবার রাতের মধ্যেই লাইন মেরামত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।” তবে বুধবারও লাইন মেরামত না করা গেলে কয়লার অভাবে মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। |
উল্টে যাওয়া মালগাড়ির ছবি তুলেছেন ওমপ্রকাশ সিংহ। |
ডিভিসি সূত্রের খবর, ওড়িশার এমসিএলের একটি খোলামুখ খনি থেকে ৫৮টি বগির মালগাড়িটি মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা নিয়ে আসছিল। রানিগঞ্জের দিক থেকে দামোদর নদ পার হয়ে শ্যামাপুরে পৌঁছতেই ইঞ্জিনের পরের বগিটির পর পর আটটি বগি লাইনচ্যুত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে এলাকা ঘিরে রাখে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্তাব্যক্তিরা। ডিভিসি-র এক কর্তা বলেন, “রেললাইনের ফিসপ্লেট খুলে দিয়ে মালগাড়িটি লাইনচ্যুত করানো হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে আমাদের মনে হচ্ছে। পুলিশের কাছে অভিযোগও করা হয়েছে।” বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বলেন, “ডিভিসি-র কয়লাবাহী মালগাড়ির কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে বলে শুনেছি। মেজিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।” ডিভিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, নজরদারি বাড়ানোয় মালগাড়ি থেকে কয়লা লুঠের ঘটনা বেশ কয়েক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। কয়লা লুঠ বন্ধ হওয়ায় ক্ষীপ্ত দুষ্কৃতীরা এই অর্ন্তঘাত চালিয়ে থাকতে পারে।
ডিভিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি দিন গড়ে ছ’টি মালগাড়ি এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা নিয়ে আসে। প্রতিটি মাল গাড়িতে প্রায় সাড়ে তিন হাজার টন কয়লা থাকে। ওই মালগাড়ি উল্টে যাওয়ায় এ দিন একটিও মালগাড়ি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ঢুকতে পারেনি। |