|
|
|
|
গাড়ির ধাক্কায় শিশুপুত্র-সহ তরুণীর মৃত্যু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
মেলা দেখতে যাওয়ার পথে মোটর সাইকেলের পেট্রোল ফুরিয়ে যাওয়ায় রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ছিলেন এক শিশু-সহ চার জন। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি যাত্রী বোঝাই গাড়ি তাঁদের ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই নয় মাসের শিশুপুত্র-সহ এক তরুণীর মৃত্যু হয়। গুরুতর জখম হন মোটর সাইকেলের অন্য দুই আরোহী। মঙ্গলবার বিকেলে বেলপাহাড়ির নেগুড়িয়ার ঘটনা। মৃত অর্চনা শবরের (২০) শ্বশুরবাড়ি পুরুলিয়ার বরাবাজার থানার জাহানাবাদ গ্রামে। মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে কয়েকদিন আগে নয় মাসের শিশুপুত্র সৌমেনকে নিয়ে বেলপাহাড়ির পাটাঘর গ্রামে বাপের বাড়িতে এসেছিলেন অর্চনা। দুর্ঘটনায় সৌমেনও মারা গিয়েছে।
এ দিন কাকা সঞ্জয় শবরের মোটর সাইকেলে চেপে পাটাঘর থেকে অর্চনারা বাঁকুড়ার ঝিলিমিলির পড়াডিতে মেলা দেখতে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন অর্চনার ছোট বোন বছর আঠারোর অপর্ণা শবর। পুলিশ জানিয়েছে, নেগুড়িয়ার কাছে সঞ্জয়বাবুর মোটর সাইকেলের পেট্রোল ফুরিয়ে যায়। মোটর সাইকেলের বাস্কেটের মধ্যে একটি বোতলে কিছুটা পেট্রোল ছিল। মোটর সাইকেল থেমে যাওয়ায় পোট্রোল ভরার তোড়জোড় করছিলেন সঞ্জয়বাবু। রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ছিলেন অর্চনারা। অর্চনার কোলে ছিল সৌমেন। আচমকা পড়াডিগামী যাত্রীবোঝাই একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা অর্চনাদের ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই অর্চনা ও সৌমেনের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত হন সঞ্জয়বাবু ও অপর্ণা। সঞ্জয়বাবু ও অপর্ণাকে ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। গাড়িটিকে আটক করেছে পুলিশ। চালক ও খালাসি পলাতক। রাতে ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে কান্নায় ভেঙে পড়ে অর্চনার বাবা কার্তিক শবর বলেন, “মেয়েটা কয়েকদিনের জন্য আনন্দ করতে এসেছিল। সব শেষ হয়ে গেল। পুরুলিয়ায় জামাইকে কীভাবে দুঃসংবাদটা জানাব বুঝতে পারছি না।” |
|
|
|
|
|