|
|
|
|
১৮ জানুয়ারি তমলুকে রাষ্ট্রপতি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
তিন স্বাধীনতা সংগ্রামীর মূর্তির আবরণ উন্মোচন করতে আগামী ১৮ জানুয়ারি তমলুকের নিমতৌড়ি স্মৃতিসৌধে আসছেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। আগামী শুক্রবার দুপুর ১টায় ওই অনুষ্ঠান হবে। উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের জলসম্পদ অনুসন্ধান ও উন্নয়নমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, পূর্ত মন্ত্রী সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার, সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী, শিশির অধিকারী প্রমুখ। রাষ্ট্রপতির এই সফর ঘিরে প্রশাসনিক প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। আকাশপথে আসছেন রাষ্ট্রপতি। সেই জন্য নিমতৌড়িতে হেলিপ্যাড তৈরি করা হচ্ছে। চলছে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে মঞ্চ বাঁধার কাজ। জাতীয় সড়ক থেকে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ পর্যন্ত নতুন কংক্রিটের রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। তমলুক শহরের অদূরে হলদিয়া-মেচেদা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে নিমতৌড়ি স্মৃতিসৌধে যে তিন বিপ্লবীর মূর্তি বসছে, তাঁরা হলেন বিপ্লবী সতীশচন্দ্র সামন্ত, অজয় মুখোপাধ্যায় ও সুশীলকুমার ধাড়া। |
|
আবরণ উন্মোচনের অপেক্ষায় তিন মূর্তি। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস। |
১৯৪২ সালের ১৭ ডিসেম্বর তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের প্রথম সর্বাধিনায়ক ছিলেন সতীশচন্দ্র সামন্ত। পরবর্তী সময়ে তিনি দীর্ঘ দিন তমলুকের সাংসদ ছিলেন। বিপ্লবী অজয় মুখোপাধ্যায় পরবর্তী সময়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। জাতীয় সরকারের সমর বিভাগের প্রধান ছিলেন বিপ্লবী সুশীলকুমার ধাড়া। পরবর্তী কালে তিনি রাজ্য সরকারের মন্ত্রী ও সাংসদ হয়েছিলেন। বিপ্লবী সুশীল কুমার ধাড়ার উদ্যোগে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে মহাত্মা গাঁধী ও নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তি বসেছিল আগেই। এ বার তাম্রলিপ্ত জনকল্যাণ সমিতির উদ্যোগে জাতীয় সরকারের তিন প্রধান স্থপতি বিপ্লবী সতীশচন্দ্র সামন্ত, অজয় মুখোপাধ্যায় ও সুশীল কুমার ধাড়ার পূর্ণাবয়ব মূর্তি বসানো হচ্ছে। তাম্রলিপ্ত জনকল্যাণ সমিতির সদস্য তথা স্থানীয় উত্তর সোনামুই গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সোমনাথ বেরা জানান, “অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতের সংখ্যা প্রায় দু’হাজার। জেলার স্বাধীনতা সংগ্রামী ও তাঁদের পরিবারের সদস্য, রাজনৈতিক নেতা, বুদ্ধিজীবী-সহ সর্বস্তরের মানুষকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।” |
|
|
|
|
|