শাস্তি মকুবের আবহে গঙ্গাপারের ক্লাবে যখন স্বস্তির হাওয়া, তখন ভারতীয় ফুটবলে তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দী ক্লাব বিতর্কের কাঠগড়ায় তুলে দিল মোহনবাগানকে।
ইস্টবেঙ্গলের পক্ষ থেকে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হল, এমনি এমনি রেহাই পায়নি মোহনবাগান। বরং এর পিছনে বড়সড় অঙ্কের লেনদেনের গল্প রয়েছে!
ঘটনাটা কী?
মঙ্গলবার ফেডারেশনের সিদ্ধান্ত শোনার পরপরই ইস্টবেঙ্গলের সচিব কল্যাণ মজুমদার বলে দিলেন, “টাকার খেলা রয়েছে এর পিছনে। সবই হয়েছে টেবিলের তলা দিয়ে।” যা ছড়িয়ে যাওয়ার পর তীব্র জল্পনা চালু হয়ে যায় ময়দানে। কিন্তু তাতে পাত্তা না দিয়ে ইস্টবেঙ্গল সচিব এমন তিনটে প্রশ্ন রাখেন, যা বিতর্কের আগুনকে বাড়াবে বই কমাবে না।
এক) ফেডারেশনের ২২ সি ধারায় মোহনবাগানকে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। তা হলে ঠিক কোন ধারা অনুযায়ী মুক্তি পেল মোহনবাগান?
দুই) জাস্টিস অশোককুমার গঙ্গোপাধ্যায়ের রিপোর্টে দোষ প্রমাণ হয়। তা হলে সেই রিপোর্ট কী এখন টয়লেট পেপারের সমতুল্য?
তিন) আই লিগের কোর কমিটির তা হলে কাজটা কী? কোনও গুরুত্বই তো নেই দেখা যাচ্ছে। |
টুটু-দেবাশিস-সৃঞ্জয়-অঞ্জন। মঙ্গলবার ফুটবল হাউসে। ছবি: রমাকান্ত কুশওয়া |
ঘটনার পরিপ্রক্ষিতে বুধবার সন্ধেয় এক্সিকিউটিভ কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকেছে ইস্টবেঙ্গল। ক্লাবের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার বললেন, “ওই বৈঠকের পর ফেডারেশনের সিদ্ধান্ত নিয়ে যা বলার বলব।” তবে ইস্টবেঙ্গল বিতর্কের রাস্তায় গেলেও দেশের বাকি ক্লাব যাচ্ছে না। পুণে এফসি-র কর্তা চিরাগ তন্না, যাঁর নেতৃত্বে আই লিগের ক্লাবগুলো ফেডারেশনের কাছে মোহনবাগানের শাস্তি কমানোর আবেদন করেছিল, তিনি বললেন, “ফেডারেশন মোহনবাগানকে আগে যে শাস্তি দিয়েছিল সেটা যথেষ্ট কড়া হয়েছিল। কিন্তু আজকের সিদ্ধান্তগুলো যথাযথ হয়েছে।” ডেম্পো কর্তা শ্রীনিবাস ডেম্পো-ও খুশি। “শাস্তি কমায় আমি খুশি তো বটেই। কিন্তু যেহেতু আমি কর্মসমিতির একজন সদস্য তাই এর বেশি আমার আর কিছু বলা ঠিক হবে না।
কলকাতার আর এক প্রধান প্রয়াগ ইউনাইটেড কর্তা নবাব ভট্টাচার্য বলছিলেন, “মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল ছাড়া আই লিগের কোনও গুরুত্বই থাকে না। তাই শাস্তি মকুব হওয়ায় আমি খুশি। তবে মোহনবাগানের দশা থেকে আমাদের প্রত্যেকেরই শিক্ষা নেওয়া দরকার।” লাজং এফসি-র কর্তা লারসেন মিং সোয়ায়েন বলেন “ফুটবল খেলাটা আর মোহনবাগানের মত ঐতিহ্যশালী ক্লাবের কথা ভেবে ফেডারেশন ঠিকই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” |