বহু কাঠখড় পুড়িয়ে ফের আই লিগের দুনিয়ায়। কিন্তু স্বস্তির দিনেও গঙ্গাপারের ক্লাবে নতুন প্রশ্ন উঠছে, আই লিগে ফেরা গেলেও অবনমন বাঁচবে তো?
এবং বাঁচা মোটামুটি নিশ্চিত।
লিগ টেবিলের সবচেয়ে নীচে থাকা দুই দল ভাইচুং ভুটিয়ার ইউনাইটেড সিকিম ১৫ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট। সালগাওকর ১৪ ম্যাচে ১০। মোহনবাগানের হাতে সেখানে ১৬ ম্যাচ। অঙ্কের হিসেবে পাওয়া যেতে পারে ৪৮ পয়েন্টও। তবে বাস্তবে অতটা না হলেও, ২৫-৩০ আশা করাই যাই। আর সেটা হলেই অবনমনের কাঁটাতার টপকানো যাবে।
বাগানের কোচ থেকে ফুটবলার সবাই মোটামুটি এই থিওরিতে আত্মবিশ্বাসী। কোচ করিম বেঞ্চারিফা বলছিলেন, “কঠিন কাজ, অসম্ভব নয়। আমরা যখন শুরু করেছিলাম তখন দলে প্রচুর চোট আঘাত ছিল। দলের গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলাররা সবাই এখন ম্যাচ ফিট।” |
মুক্তির আনন্দে ফুটবল-তলে |
|
|
ক্লাব মুক্ত। নবি পেলেন নতুন জীবন। ওডাফা কিন্তু এখনও অন্ধকারে।
মঙ্গলবার বিকেলে কুখ্যাত ডার্বির দুই চরিত্র । ছবি: উৎপল সরকার |
|
করিমের মতোই অবনমন বাঁচানোর ব্যাপারে নিশ্চিত টোলগে ওজবেও। বলছিলেন, “অবনমন নিয়ে ভাবছিই না। ষোলোটা ম্যাচের মধ্যে বড়জোড় ছ’টা ম্যাচ লাগবে আমাদের সেট হতে। বাকি দশটা ম্যাচ থেকে হেসেখেলে ২৫-৩০ পয়েন্ট পেয়ে যাব।” দীপেন্দু বিশ্বাস আবার বললেন, “অবনমন তো দূরের কথা। আমার বিশ্বাস, প্রথম পাঁচের মধ্যে থাকব।” আই লিগে মোহনবাগান ফের নামছে ২০ জানুয়ারি সালগাওকরের বিরুদ্ধে মারগাওয়ে।
অবনমনের অন্ধকার কাটিয়ে মোহনবাগানকে আলোর দিশা দেখাচ্ছেন স্বয়ং করিমই। ওডাফা-টোলগেরা প্রায় দেড় মাস না খেললেও, ফোকাস নষ্ট হতে দেননি তিনি। নতুন ইনিংসে বাগানের প্লাস পয়েন্ট কী কী, তা একবার দেখে নেওয়া যাক,
১) সন্তোষ কাশ্যপের আমলে প্রাক-মরসুম প্রস্তুতি যেখানে হয়নি বললেই চলে, সেখানে মাত্র কয়েক মাসেই দলের মহাতারকাদের অনেকটাই ফিট করে তুলেছেন করিম।
২) ফুটবলার এবং কোচের মধ্যে বোঝাপড়ার মসৃণ সেতুবন্ধন তৈরি হয়েছে। বিপদের দিনে সবাই একজোট হয়ে একে ওপরের পাশে দাঁড়িয়েছেন। প্রচার মাধ্যমের সামনে কোনও আলটপকা মন্তব্য নেই। দলের অন্দরমহলেও কোনও ক্ষোভ-বিক্ষোভের ঘটনা নেই।
৩) ওডাফা, টোলগে, আইবর এবং নির্মলের মতো দলের প্রথম সারির ফুটবলাররা এখন অনেকটাই ফিট।
সব মিলিয়ে এ মরসুমে আই লিগে মোহনবাগান অবনমন বাঁচাতে পারে কি না, সেটা তো ভবিষ্যৎ বলবে। তবে করিম-বাহিনী কিন্তু দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যে তাঁরা কর্তাদের পরিশ্রম জলে চলে যেতে দেবেন না। |