|
|
|
|
খুচরোয় বিদেশি বিনিয়োগ ঠেকাতে এক মঞ্চে বিরোধীরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
এক মঞ্চে ভেঁপু বাজালেন মুরলীমনোহর জোশী, এ বি বর্ধন এবং শরদ যাদব।
ভেঁপু যদিও প্রতীক। রাজনৈতিক আদর্শের ভিন্ন মেরুর নেতারা আজ আসলে এক মঞ্চে এলেন খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নির বিরোধিতায়। এই আন্দোলনে আবার তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও সঙ্গে চাইছেন তাঁরা। সংসদের দুই কক্ষেই খুচরো ব্যবসার বিতর্কে জয়ী হয়েছে মনমোহন সিংহ সরকার। কিন্তু এই সংক্রান্ত বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনটি লোকসভায় পাশ হলেও রাজ্যসভায় এখনও পাশ হয়নি।
বাম-বিজেপি-জেডিইউ-র মতো দলগুলি সংসদের বাজেট অধিবেশনের আগে তাই আজ একজোট হল, যাতে রাজ্যসভায় বিষয়টি আটকানো যায়। পাশাপাশি, শ্রমিক সংগঠনগুলির ২০-২১ ফেব্রুয়ারি ডাকা ধর্মঘটেও সকলে হাতে হাত মিলিয়ে চলতে চায়। ৭ মার্চ দিল্লিতে একটি মহামিছিলেরও আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে বাম-বিজেপির মতো দলগুলি একসঙ্গে খুচরোয় বিদেশি লগ্নির বিরোধিতা করবে।
বিরোধী দলগুলির বক্তব্য, যদি বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনটি সংসদের দু’টি কক্ষে পাশ না হয়, তাহলে খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নির সিদ্ধান্তটিও কার্যকর করতে পারবে না সরকার।
কিন্তু সরকারের যুক্তি, যে কোনও একটি সভাতে পাশ হলেই সেটি কার্যকর করা সম্ভব। ফলে লোকসভায় ইতিমধ্যেই পাশ হয়ে যাওয়ায় খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নি টানতে সরকারের আর কোনও বাধা নেই। কিন্তু বিরোধীদের বক্তব্য, সরকার বিষয়টি নিয়ে গা-জোয়ারি করলে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হবেন।
তবে এত কিছুর পরেও বিরোধীদের আশঙ্কা, সরকার তাঁদের পরোয়া না করেই বিদেশি সংস্থাগুলিকে এ দেশে নিয়ে আসবে। ওই সব বিদেশি সংস্থাকে জমি দেওয়া হলেই যাতে যৌথ ভাবে প্রতিবাদ করা যায়, তার ডাক দেন এ বি বর্ধন। আর কোনও ভাবে দোকান যদি তৈরি হয়েও যায়, তাহলেও তার সামনেই বিক্ষোভ দেখানোর কর্মসূচি নেওয়া হবে।
শরদ যাদবের মতে, খুচরো ব্যবসার প্রতিবাদে যখন ভারত-বন্ধ হয়েছিল, তখন মুলায়ম-মায়াবতী থেকে শুরু করে সরকারের শরিক দল ডিএমকেও পথে নেমে প্রতিবাদ করেছিল। কিন্তু তারাও এখন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। রাজ্যসভায় যাতে আইন সংশোধনের সময় সেটিকে আটকানো যায়, তার জন্য সব দলকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। শরদের মতে, প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ দু’টি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। একটি পরমাণু চুক্তি সংক্রান্ত। অপরটি খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগ। প্রথমটির জন্য বামেরা সঙ্গ ছেড়েছিল। আর দ্বিতীয়টির জন্য তৃণমূল। খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগের বিরোধিতায় তাই এ বার সকলেরই একজোট হয়ে লড়া উচিত। |
|
|
|
|
|