কালীঘাট মন্দিরে পাণ্ডাদের দাপট ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিয়ে ফের মুখ খুলল কলকাতা হাইকোর্ট। মন্দির ঘুরে আসার অভিজ্ঞতা থেকে প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্রের মন্তব্য, “কমবেশি পাণ্ডা সব মন্দিরেই আছে। ভক্তদের জন্য পাণ্ডা, কিন্তু কালীঘাট মন্দিরে পাণ্ডার জন্য ভক্ত। এটা চলতে পারে না।”
মঙ্গলবার কালীঘাট মন্দির নিয়ে একটি জনস্বার্থের মামলার শুনানি হয়। শুনানির সময়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, তিনি পুরীর জগন্নাথ মন্দির, সাক্ষীগোপাল-সহ দেশের বিভিন্ন মন্দির দেখেছেন। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব গ্রহণ করার পরে তিনি তিন বার কালীঘাট মন্দিরে গিয়েছেন বলেও জানান। কিন্তু কালীঘাট মন্দিরের মতো নিয়ন্ত্রণহীন পরিবেশ তিনি কোথাও দেখেননি বলে মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি। |
কালীঘাট মন্দির কমিটির সম্পাদক গোপাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি জে এন পটেল কালীঘাট মন্দিরের গর্ভগৃহে ভিআইপি-সহ কোনও ভক্ত প্রবেশ করতে পারবেন না বলে রায় দিয়েছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট ওই রায়ের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, মামলাটির শুনানি হবে এবং হাইকোর্টই রায় দেবে। ওই অন্তর্বর্তী নির্দেশের সময়সীমা শেষ হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে সেই মামলাই শুরু হয়েছে। কালীঘাট মন্দির নিয়ে জনস্বার্থের মামলা চলতে চলতে পাঁচ জন প্রধান বিচারপতি বদল হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে হাইকোর্ট বিভিন্ন রায় দিয়েছে। কিন্তু কালীঘাট থেকে গিয়েছে সেই কালীঘাটেই।
এই মামলায় অংশগ্রহণ করতে চেয়ে আরও কয়েক জন সেবায়েত এ দিন প্রধান বিচারপতি ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানান। ডিভিশন বেঞ্চ তাঁদের আবেদন মঞ্জুর করে। তবে প্রধান বিচারপতি এই মামলার সকল অংশগ্রহণকারীদের বলেন, “কী ভাবে কালীঘাট মন্দিরের এই বদনাম মুছে প্রকৃত ভক্ত-সহায়ক ব্যবস্থা তৈরি করা যায়, আপনারা প্রত্যেকে তা লিখিত ভাবে হাইকোর্টকে জানান। সেই সব পরামর্শ অনুযায়ী হাইকোর্ট রায় দেবে। ১৩ ফেব্রুয়ারি ফের শুনানি হবে।” |