ফের ২০ হাজার ছুঁল সেনসেক্স। ঠিক ২ বছরের মাথায়। সূচকের দৌড় আপাতত চলবে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।
আগের দিন ২৪২.৭৭ পয়েন্ট বাড়ার পর মঙ্গলবার সেনসেক্স ২০ হাজার অঙ্ক স্পর্শ করল। যদিও দিনের শেষে তা সামান্য নেমে শেষ হয় ১৯,৯৮৬.৮২ অঙ্কে। যা আগের দিনের থেকে ৮০.৪১ পয়েন্ট বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ বার লম্বা দৌড় শুরু করবে সূচক। কিন্তু কেন?
গত কয়েক দিনে পর পর বেশ কিছু ভাল খবর বাজারকে উৎসাহিত করেছে। শুরু হয়েছিল ইনফোসিসের আশাতিরিক্ত ভাল আর্থিক ফলাফল দিয়ে। তার পরেই ঘোষিত হয় কর ফাঁকি প্রতিরোধ বিধি বা জেনারেল অ্যান্টি অ্যাভয়েডেন্স রুল ২০১৬ সাল পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত। একই সঙ্গে মূল্যবৃদ্ধি কমা টিসিএসের ভাল ফলের খবরও জানানো হয়। মূলত এই চারটি কারণের যৌথ প্রভাবেই সূচক লম্বা দৌড় শুরু করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এসএমসি কমট্রেডের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডি কে অগ্রবাল বলেন, “আমার ধারণা, আগামী মার্চ মাসের মধ্যেই সেনসেক্স ৩০০ থেকে ৪০০ পয়েন্ট বেড়ে যাবে।” ফেব্রুয়ারিতেই ২০১৩-’১৪ সালের বাজেট পেশ হওয়ার কথা। বাজেটেও শেয়ার বাজার চাঙ্গা করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার কিছু পদক্ষেপ করবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্ট মহল। তাদের এই আশার প্রধান কারণ, গত বছর শেয়ার বাজারের মন্দা কেন্দ্রীয় সরকারের বিলগ্নিকরণ পরিকল্পনা রূপায়ণে বাধা সৃষ্টি করেছিল। রাজকোষ ঘাটতি মোকাবিলায় বিলগ্নিকরণের এই অস্ত্রটি এ বার যথাযথ ভাবে কেন্দ্র প্রয়োগ করতে পারবে বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের। এর জন্য শেয়ার বাজারকে চাঙ্গা করতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বাজেটে কিছু ভাল পদক্ষেপ করবেন বলে আশা বিশেষজ্ঞদের।
আগামী ২৯ জানুয়ারি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ঋণনীতি পর্যালোচনা করতে বসবে। সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্তই এ বার শীর্ষ ব্যাঙ্ক নেবে বলে শেয়ার বাজার মহলের দৃঢ় বিশ্বাস। অগ্রবাল বলেন, “মূল্যবৃদ্ধির হার বেশ খানিকটা কমেছে। আমাদের আশা, এ বার সুদের হার কমানোর বাস্তায় হাঁটবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।”
এ দিন অবশ্য এশিয়ার শেয়ার বাজারগুলিতে সূচকের মিশ্র আচরণ লক্ষ করা গিয়েছে। সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং, তাইওয়ানের বাজারে সূচকের পতন হয়েছে। তবে বেড়েছে চিন এবং জাপানের সূচক। |