এই বইতে ১০ শতাংশ ছাড় দিতে হবে, ওটাতে ২০ শতাংশ চাই। ‘ছোটদের গল্প’, ‘গোপাল ভাঁড়’, গোয়েন্দা বিষয়ক গল্পের বই নিয়ে বিক্রেতাদের সঙ্গে খুদেদের এই দরাদরি কার্যত ঝগড়াঝাটিতে পরিণত হয়েছিল। অন্যান্য স্টলে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজন ওই স্টলে কী হচ্ছে, জানতে কয়েক মুহূর্তের জন্য নিজেদের কাজ ভুলে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এমনই দৃশ্য দেখা গেল সাঁইথিয়া বই মেলায়।
বইয়ের জন্য হাঁটুন, বই পড়ুন। সুস্থ সংস্কৃতি ও সুস্থ পরিবেশ গড়তে বই পড়ার বিকল্প নেই। এই শ্লোগান তুলে গত শুক্রবার দুপুরে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া থেকে সমাজের সমস্ত স্তরের মানুষজন সাঁইথিয়া পুরসভা থেকে পদযাত্র করেছিলেন। সেই পদযাত্রা শেষ হয়েছিল। সাঁইথিয়া পুর-বইমেলা প্রাঙ্গণ শশীভূষণ দত্ত বালিকা বিদ্যালয়ে। এ বারের বইমেলায় মোট ৩৫টি স্টল রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে ২২টি বইয়ের স্টল। এ ছাড়াও রয়েছে দু’টি পত্রিকা, হস্তশিল্প পিঠেপুলি থেকে অন্যান্য খাবারের স্টলও। নানা স্টলে কমবেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেলেও বইয়ের স্টলে ভিড় ছিল খুদেদের ভিড় ছিল বেশি। |
নবম শ্রেণির অরুণাভ দাস, তৃতীয় শ্রেণির অগ্নি রুজ, ষষ্ঠ শ্রেণির ঈষা ঘোষ, শিক্ষিকা পুতুল ঘোষাল, শিক্ষক তাপস রঞ্জন দাস বলেন, “এই শহরে বইমেলা হওয়ায় লাভবান হচ্ছি। অনেক স্টল থাকায় পছন্দ মতো বই পড়ে কিনতে পারছি।” খুদে ক্রেতাদের দাবি, এমন মেলা আরও হেক।
একটি প্রকাশনার মালিক উত্তম সরকার বলেন, “গত বছর এই মেলায় ১৫ হাজার টাকার মতো বেচাকেনা হয়েছে। এ বার এখনও পর্যন্ত হাজার সাতেক মতো বেচাকেনা হয়েছে।” জেলার বিশিষ্ট লেখক অজয় আচার্য ও আদিত্য মুখোপাধ্যায়-সহ জেলার বিভিন্ন লেখক সাহিত্যিকের লেখা বই-সহ কলকাতার বিভিন্ন প্রকাশনার বই রয়েছে একটি স্টলে। এই স্টল করেছেন অজয়বাবুর ছেলে ইন্দ্রনীল আচার্য। তিনি বলেন, “স্থানীয় লেখদের বইও ভাল বিক্রি হচ্ছে।” অন্য প্রকাশনের মালিক অরুণ দে, সুকান্ত মজুমদাররা বলেন, “এ বার শিশু সাহিত্য, ছোট গল্প বেশি বিক্রি হচ্ছে।” সাঁথিয়ার অ্যাসিস্ট্যান্ট লাইব্রেরিয়ান সুপ্রকাশ পাল বলেন, “এখনও পর্যন্ত ৯ হাজার টাকার বই কিনেছি।” বইয়ের স্টলে ছোটদের ভিড় তো লক্ষ্য করা গিয়েছে। ঠান্টার আমেজ থাকায় পিঠেপুলির স্টলেও ভিড় রয়েছে।
তবে বই দেখা বা কেনার পাশাপাশি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ভিড় জমাচ্ছেন খুদে থেকে বড়রাও। |