হলদিয়ায় ‘বেঙ্গল লিড্স’-এ মুখ্যমন্ত্রী যে দিন হিমঘর তৈরির উপরে জোর দেওয়ার কথা বললেন, সে দিনই আসানসোলে এ ব্যাপারে খতিয়ান পেশ করলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী মলয় ঘটক। মঙ্গলবার আসানসোল কৃষিমেলার উদ্বোধন করে মলয়বাবু বলেন, “চাষিদের অন্যতম প্রধান সমস্যা ফসলের বিপণন। তাই প্রতি ব্লকে কৃষি বিপণন কেন্দ্র তৈরি হচ্ছে। কাঁচা সব্জি সংরক্ষণের জন্য হিমঘরও গড়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে ১৯টি ব্লকে তৈরি হয়েছে। আরও ৮৫টি ব্লকে তা তৈরির জন্য দরপত্র ডাকা হয়েছে।”
মঙ্গলবার থেকে আসানসোলে রবীন্দ্র ভবনের মাঠে এই মেলা শুরু হল। কৃষিমন্ত্রী ছাড়াও ছিলেন মহকুমাশাসক শিল্পা গৌরী-সহ রাজ্য কৃষি দফতরের আধিকারিকেরা। আসানসোল মহকুমার আটটি ব্লকের চাষিদের চাষবাসের ব্যাপারে নানা তথ্য মেলার মাঠ থেকে দেওয়া হবে বলে কৃষি দফতর জানায়। এ জন্য ১৯টি স্টল রয়েছে। সমবায়, মৎস্য, কৃষি দফতর ছাড়াও নানা সংস্থা এই মেলায় যোগ দিয়েছে। |
চলছে কৃষিমেলা।—নিজস্ব চিত্র। |
মলয়বাবু জানান, চাষিদের সমস্যা দূর করতে নানা ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। তার মধ্যে দশ লক্ষ কিষাণ ক্রেডিট কার্ড বিলি, ভর্তুকিতে কৃষি যন্ত্রাংশ দেওয়া, বন্ধ থাকা ১৯৫টি কৃষি খামার ফের চালু করে উন্নত বীজ তৈরি ইত্যাদির পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি আরও জানান, আরও বেশি সেচের সুবিধা দিতে চাষিদের ডিজেল-চালিত পাম্পের বদলে বিদ্যুৎচালিত পাম্প সরকারি সাহায্যে সরবরাহের পরিকল্পনা হয়েছে।
জেলার উপ-কৃষি অধিকর্তা শ্যামল দত্ত জানান, আসানসোল মহকুমায় প্রায় কুড়ি হাজার হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়। লাভজনক ফসল উৎপাদনের জন্য তাঁরা কৃষকদের নিয়মিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন। শিল্পাঞ্চলে বিকল্প আয়ের উৎস বাড়াতে মৎস্য দফতর স্থানীয় কৃষকদের মাছচাষের ব্যাপারেও উৎসাহ দিচ্ছেন। জেলা মৎস্য আধিকারিক সজল সাহা জানান, সালানপুর ও বারাবনি ব্লকের একাধিক স্বয়ম্বর গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ করে মাছচাষের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। |