এক তরুণীকে অপহরণ করে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক যুবককে আটক করল পুলিশ। সোমবার সকালে উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘি থানার ডালখোলা সদর এলাকা থেকে তাকে ধরা হয়। পুলিশ জানায়, সন্দেহভাজন আটক ওই যুবকের নাম রাজা পাশোয়ান। ওই যুবকের বাড়ি এলাকাতেই। তিনি স্থানীয় স্থানীয় একটি মুদির দোকানে কাজ করেন। গত শুক্রবার ভোরে ডালখোলা সংলগ্ন চাকুলিয়া থানা এলাকার ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের ধার থেকে ২৭ বছর বয়সী এক তরুণীকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করেন বাসিন্দারা। তরুণীর বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক থানা এলাকায়। পুলিশ ওই তরুণীকে উদ্ধার করে প্রথমে চাকুলিয়া ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করালে পরে তাঁকে চিকিৎসকেরা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করেন।
রবিবার রাতে মেডিক্যাল কলেজের প্রসূতি বিভাগে শুয়েই ওই তরুণী ম্যাজিষ্ট্রেটকে গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ওই তরুণীর পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগ অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার তাঁকে পাঁচ যুবক হাওড়া থেকে অপহরণ করে গাড়িতে তুলে নিয়ে রাতভর গণধর্ষণ করে চাকুলিয়া এলাকায় ফেলে পালায়। এমনকী, ওই তরুণীর পরিবারের তরফেও একই অভিযোগ জানানো হয়েছে। তবে তদন্তে নেমে ওই তরুণী ও তাঁর পরিবারের লোকের বক্তব্যে অসঙ্গতি মিলেছে বলে পুলিশের দাবি।
ওই তরুণীর মোবাইলের কল রেকর্ড পরীক্ষা করে দেখা যায় রাজা পাশোয়ানের সঙ্গে নিয়মিত কথাবার্তা হত। পুলিশ জানতে পেরেছে, মোবাইল ফোনের সূত্রে রাজার সঙ্গে ওই তরুণীর দীর্ঘদিন ধরে ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। পুলিশের অনুমান, বৃহস্পতিবার তরুণী হাওড়া থেকে ট্রেনে চেপে কিসানগঞ্জে নামেন। এর পরে তিনি ডালখোলায় যান বলে পুলিশের সন্দেহ। সেখান থেকেই দুষ্কৃতীরা ওই তরুণীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে পুলিশের অনুমান। এফ পাশাপাশি, ওই তরুণী কেন হাওড়ায় এসেছিলেন তা জানতে পুলিশ তদন্তে নেমেছে। পুলিশ অবশ্য ওই তরুণীকে যে গণধর্ষণ করা হয়েছে সেই বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে। গণধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে ডালখোলা এলাকার বেশ কিছু যুবকের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের কয়েক জন যুবকের জড়িত থাকার বিষয়টিও উড়িয়ে দিচ্ছেন না এ ঘটনার তদন্তকারী পুলিশ অফিসারেরা। ইসালামপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সুবিমল পাল এ দিন বলেন, “এক যুবককে আটক করে জেরা চলছে। আপাতত এর চাইতে বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়।” |