৩ দিনের অনুষ্ঠানে কারা কারা অংশ নিলেন, ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাত’-এর সঙ্গে সেই উপস্থিতি কতটা তুলনীয় সে সব জল্পনার অবসান হতে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। বেলা ৩টেয় উদ্বোধন হবে দ্বিতীয় বেঙ্গল লিডস-এর। তবে বেঙ্গল লিডস-এর ওয়েবসাইট যা বলছে, তাতে শিল্পদ্যোগী সংস্থার থেকে স্টলের নিরিখে এগিয়ে সরকারি সংস্থাগুলিই। তবে রবিবার রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ‘‘যারা বড় নাম খুঁজছেন খুঁজুন। আমাদের কাছে শুধু মালিক নন, যাঁরা ব্যবসা চালান সকলেই গুরুত্বপূর্ণ।’’ তাই শিল্পের বড় ‘সমঝদার’ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, সবাই উত্সুক— শিল্প আসবে তো? এর মধ্যেই আবার উদ্যোক্তারা বিতর্কেও জড়িয়েছেন। শিল্পোন্নয়ন নিগমের সঙ্গে এই অনুষ্ঠানের যৌথ উদ্যোক্তা হলদিয়া ডেভেলপমেন্ট অথরিটি। তাদের লাগানো কোলাঘাট থেকে হলদিয়া পর্যন্ত দীর্ঘ ৬০ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে হোর্ডিং নিয়ে সমলোচনা শুরু হয়েছে। ওই হোর্ডিংগুলিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘জননেত্রী’ সম্বোধন করে স্বাগত জানিয়েছেন খোদ এইচডিএ-র চেয়ারম্যান। হোর্ডিংয়ের নীচে সৌজন্যে সে কথাই লেখা রয়েছে। কোনও সরকারি সংস্থার চেয়ারম্যান সরকারি অনুষ্ঠানে এ রকম হোর্ডিং লাগাতে পারেন কি না সেই প্রশ্নই উঠছে। কিছু দিন আগে ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাত’ অনুষ্ঠানে গোটা আমদাবাদ শহরকে মুড়ে ফেলা হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বড় বড় কাটআউটে। কিন্তু সেখানে মুখ্যমন্ত্রী আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা দেশ বিদেশের সমস্ত শিল্পপতিদের। কিন্তু এখানে চিত্রটা একটু ভিন্ন— উদ্যোক্তারা নিজেরাই নিজেদেরকেই আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন।
|
বারাসত হত্যা-কাণ্ডে নতুন মোড় |
গত ২৯ ডিসেম্বর বারাসতে মহিলাকে ইটভাটায় খুন করার ঘটনা নতুন মোড় নিল। গোয়েন্দাদের দাবি, মহিলার স্বামী জেরার মুখে স্বীকার করে নিয়েছেন যে তিনি নিজেই এই ঘটনার মূলে ছিলেন। সন্দেহের বশেই তিনি নিজের স্ত্রীকে খুন করেছেন। এ কাজে তাঁকে সাহায্য করেছিল আরও কয়েকজন। যাদের মধ্যে ইছা মোড়ল নামে একজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মহিলার স্বামীকে গতকালই গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ তাঁকে বারাসত মহকুমা আদালতে তোলা হবে। |