নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
যে মাওবাদীরা পুলিশের উপরে হামলা করে তাদের অস্ত্র কেড়ে নিয়েছিল, পুলিশ ও সাধারণ মানুষকে খুন করেছিল, আত্মসমর্পণের পরে রাজ্য কেন তাদের মাফ করছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায়ই দাবি করেন, তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে জঙ্গলমহল হাসছে। বস্তুত, মমতা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে জঙ্গলমহল অনেক শান্ত হয়ে গিয়েছে। খুনোখুনি প্রায় নেই বললেই চলে। সেই সঙ্গে মাওবাদী স্কোয়াডের সদস্যরা প্রায়ই অস্ত্র-সহ সরকারের কাছে আত্মসমর্পণ করছেন। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের পুনর্বাসন দেওয়া হচ্ছে। তাদের নামে পুরনো মামলাও প্রত্যাহারের প্রক্রিয়ায় শুরু করেছে সরকার। এতেই আপত্তি বুদ্ধবাবুর। সোমবার রাজারহাটে এক দলীয় সমাবেশে বুদ্ধবাবু বলেন, “উনি (মমতা) মাওবাদীদের নিয়ে জঙ্গলে বৈঠক করেছিলেন। এখন নাকি তারা আত্মসমর্পণ করে অস্ত্র জমা দিচ্ছে। এত অস্ত্র কোথা থেকে পেল? এ সব পুলিশের অস্ত্র। মাওবাদীরা থানা আক্রমণ করে, পুলিশকে খুন করে তাদের অস্ত্র কেড়ে নিয়েছিল। সেই সব অস্ত্র ওরা এখন সমর্পণ করছে।”
যে মাওবাদীরা পুলিশ ও নিরপরাধ মানুষকে মেরেছে তারা সব ছাড় পেয়ে যাবে? এ প্রশ্ন তুলে বুদ্ধবাবু বলেন, “যারা মানুষ খুন করল, তারা কি সব মহৎ যে, তাদের সব অপরাধ, মানুষ খুন করার অপরাধ, পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নেওয়ার অপরাধ মাফ করে দিতে হবে?” তাঁর আমলে জঙ্গলমহল থেকে নন্দীগ্রামসর্বত্র অশান্তির পিছনে তৃণমূলের সঙ্গে মাওবাদীরাও ছিল, এই অভিযোগ করে বুদ্ধবাবু বলেন, “নন্দীগ্রামে আমরা গুলি চালাতে চাইনি। কিন্তু মাওবাদীরা এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল যে, পুলিশ গুলি চালাতে বাধ্য হয়।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর প্রাক্তনীর সতর্কবাণী মাওবাদীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নিলে জঙ্গলমহল কেমন হাসছে, তা কিছু দিনের মধ্যেই তিনি বুঝতে পারবেন। |