বড়জোড়ায় বসে আঁকো প্রতিযোগিতা। |
স্বামী বিবেকানন্দের ১৫১তম জন্মদিন উপলক্ষে বাঁকুড়ার বড়জোড়ার ভূশতোড়া গ্রামের আমরা দুর্বার ক্লাব ওই গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেছে। অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিল্পীরা যোগ দিয়েছিলেন। বড়জোড়ারই বিদ্যুৎ সঙ্ঘের পরিচালনায় শনিবার বসে আঁকো প্রতিযোগিতা বড়জোড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে। মোট চারটি বিভাগে প্রায় ৫০০ জন প্রতিযোগী যোগ দিয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন, বড়জোড়া পঞ্চায়েত প্রধান অলোক মুখোপাধ্যায়, থানার আইসি শিশির মৈত্র-সহ আরও অনেকে। ওই সঙ্ঘের সভাপতি মনোজ মুখোপাধ্যায় জানান, বিবেকানন্দের জন্মদিন উপলক্ষে এই মাসের প্রতি রবিবারই আবৃতি, সঙ্গীত ও নৃত্য প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া, বিবেকানন্দের জন্মদিন উপলক্ষে জেলার বিভিন্ন স্কুলে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, প্রভাতফেরি, আবৃত্তি, নাচ, গান-সহ নানা অনুষ্ঠান হয়েছে। ইন্দাসের ছোটগোবিন্দপুর এস এন পাঁজা হাইস্কুলের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কোয়ালপাড়া শ্রীরামকৃষ্ণ বিরাজানন্দ আশ্রমের অধ্যক্ষ স্বামী আত্মানন্দ, ইন্দাসের বিডিও পুষ্পেন চট্টোপাধ্যায়-সহ বহু বিশিষ্টজন এবং সারেঙ্গা বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠে হওয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এলাকার ৩০ জন দুঃস্থ পড়ুয়াকে বই দেওয়া হয়।
পুরুলিয়া নব কিশলয় সঙ্ঘের উদ্যোগে স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে সঙ্ঘের বিজন মঞ্চে অনুষ্ঠিত হল ‘বিবেক-প্রণাম’। ১২ জানুয়ারি সকালে প্রভাতফেরির পরে সঙ্ঘের একটি সেবাকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠের অধ্যক্ষ স্বামী আত্মপ্রভানন্দ। উপস্থিত ছিলেন রামকৃষ্ণ তারক মঠের যুগ্ম-সম্পাদক স্বামী নির্বাণানন্দ, জগন্নাথ কিশোর কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ শ্রীনিবাস মিশ্র প্রমুখ।
|
ইচ্ছে ডানা নাটকের একটি দৃশ্য। |
১১-১৩ জানুয়ারি পুরুলিয়া শহরের হরিপদ সাহিত্য মন্দিরে হয়ে গেল নাট্য উৎসব। ছিল আলোচনাসভাও। উদ্যোক্তা অন্যচোখে নামে একটি নাট্য সংস্থা। প্রথম দিনে প্রদর্শিত হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার ইছাপুরের আলেয়া নাট্য সংস্থার নাটক ‘ইচ্ছেডানা’, গোবরডাঙ্গার নকশা নাট্য সংস্থার নাটক রবীন্দ্রনাথের ‘শুভা’, হালিশহরের ইউনিটি মালঞ্চের প্রয়োজিত নাটক ‘তবে কেমন হত।’ দ্বিতীয় দিনে কলকাতার বরানগরের থিয়াটার প্রসেনিয়ামের শুক সারির ‘বিবেক কথন’, বেলঘরিয়ার অঙ্গনের প্রযোজিত নাটক ‘কালাপানির পারে’ পরিবেশিত হয়েছে। শেষ দিনের সকালে হয়েছে ‘বর্তমান বাংলা থিয়েটারের অভিমুখ’ শীর্ষক আলোচনাসভা। আলোচনা করেছেন নাট্য সমালোচক ও গবেষক নৃপেন্দ্র সাহা। এ ছাড়া, শেষ দিনে পরিবেশিত হয়েছে বর্ধমানের রায়নার তরুণ সঙ্ঘের নাটক ‘নৈশভোজ’ এবং খড়দহের থিয়েটার প্ল্যাটফর্মের নাটক ‘অংশুমান’। সমাজের বিভিন্ন সমস্যামূলক দিকগুলি নাটকের মাধ্যেমে তুলে ধরা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
সংক্ষেপে: পুরুলিয়ার জয়পুর ব্লকের নাট্য সংস্থা সপ্তর্ষি ফের রাজ্য স্তরের ছাত্র যুব উৎসবে সেরা নাটকের শিরোপা পেল। সংস্থার তরফে সনৎ দাস জানিয়েছেন, তাঁদের নাটক ‘বিবেকের বিবেকানন্দ’ জেলা স্তরের বিবেক ছাত্র যুব উৎসবে প্রথম স্থান পেয়েছিল। ফলে রাজ্য স্তরের প্রতিযোগিতায় তারা মনোনীত হয়েছিলেন। সেখানেও প্রথম স্থান অধিকার করেছে তাদের পরিবেশিত নাটক। গত বছরও এই নাট্য সংস্থা রাজ্য স্তরের ছাত্র যুব উৎসবে প্রথম স্থান পেয়েছিল।
• দ্বিতীয় জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে ক্যুইজ প্রতিযোগিতা হয়েছে পুরুলিয়াতে। সম্প্রতি পুরুলিয়া শহরে জেলাশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে হওয়া এই প্রতিযোগিতায় ৪৫ জন নতুন ভোটার যোগ দিয়েছিলেন। উদ্বোধন করেছিলেন জেলাশাসক মহমদ্দ গুলাম আলি আনসারি।
• বাংলার প্রায় হারিয়ে যাওয়া লোক-সংস্কৃতির অঙ্গ টুসু গানের চল ফিরিয়ে আনতে শনিবার বিষ্ণুপুর যদুভট্ট মঞ্চে হয়েছে টুসু প্রতিযোগিতা। উদ্বোধন করেছিলেন রাজ্যের শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। ২৬টি দল যোগদিয়েছিল।
|
ক্ষীরের পুতুল নাটকের একটি দৃশ্য।
|
তখন বিদ্যুতের আলো ছিল না। ছিল না পানীয় জলের সুষ্ঠু ব্যবস্থাও। সদর শহর সিউড়ি থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে সেই সময় প্রত্যন্ত নগরী গ্রামেই রায় পরিবারের জায়গায় গড়ে উঠেছিল ‘নগরী সুধাংশু বদনী শিক্ষা নিকেতন’। পরে ছাত্র আবাসনও হয় প্রয়াত কৃষ্ণ দাস রায়ের অর্থ সাহায্যে। দেখতে দেখতে ওই হাইস্কুলটি হীরক জয়ন্তী বর্ষে পৌঁছল। প্রথম প্রধান শিক্ষক ছিলেন প্রবীন সিপিএম নেতা অরুণ চৌধুরী। বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে স্কুলটিকে সঠিক পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তিনি। এই স্কুলেই পড়েছেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক অমল রায়, চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরী, বিজ্ঞানি কৃষাণু রায়, প্রাক্তন মন্ত্রী তপন রায়, আই আই এম-এ কর্মরত স্বর্ণপদক জয়ী অলোক রায় প্রমুখ। হীরক জয়ন্তী বর্ষ উপলক্ষে গত সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত হয়েছে নানা অনুষ্ঠান।
|
সম্প্রতি সিউড়ি ও বোলপুর থেকে লিটল ম্যাগাজিনের দু’টি সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে। দু’টিই বিষয় ভিত্তিক। সিউড়ির ‘সৃজন কথা’ প্রকাশিত হয়েছে সাম্প্রতিক নারী নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে। ১৩টি কবিতার মুখপাতে রয়েছে ‘পার্কস্ট্রিট থেকে বানতলা আর কাশ্মীর থেকে বোম্বাই / বেঁচে থাকবার শাখা মেলবার নীল আকাশটুকু ফিরে চাই। / চোখে চোখ রেখে সোজা কথা বলি, পেনে পেন রেখে লেখা/জীবন তোমাকে শুরু হোক আজ দামিনীর চোখে দেখা।” অন্য দিকে নদী বিষয়ক ২৮টি কবিতা নিয়ে বোলপুর থেকে প্রকাশিত হয়েছে ‘বঙ্গীয় কৃষিধ্বনি’।
|
|
সঙ্গীতা চক্রবর্তী। |
আদতে মুশির্দাবাদের বহরমপুরের বাসিন্দা। এখন বিবাহ সূত্রে বসবাস করেন রামপুরহাটে। নৃত্যশিল্পী হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন চার বছর বয়স থেকেই। সঙ্গে ছিল বাবা-মায়ের অনুপ্রেরণা। সঙ্গীতা চক্রবর্তীর অবশ্য প্রথম কত্থকনৃত্যের হাতেখড়ি বহরমপুরের সৌমী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। পরে ভারতনাট্যম ও অন্যান্য নৃত্যও রপ্ত করেছেন অনুশীলনের মাধ্যমে। সঙ্গীতাদেবী এখন নৃত্যের পরিচিত শিল্পী। কলকাতায় সুদর্শন চক্রবর্তীর গ্রুপে নৃত্য প্রশিক্ষণের মাধ্যমে টিভিতে তো অনুষ্ঠান করেন-ই, এমন কী ঘুরে এসেছেন দিল্লি, বেঙ্গালুরু ও আমেরিকার বঙ্গ সম্মেলনে। রামপুরহাটে রয়েছে তাঁর নিজস্ব নৃত্য প্রশিক্ষণের প্রতিষ্ঠান। বছরে ৩ বার করে অনুষ্ঠান হয়। ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে বহু জায়গায় অনুষ্ঠান করেছেন সঙ্গীতা দেবী।
|
|
ফুলমণি দেবী। |
ছয়-সাতের দশক থেকে বাউলের দেশ বলে পরিচিত বীরভূমে বাউল গান গাইতেন খুব কম মহিলাই। সেই সময় আমোদপুরের বাসিন্দা ফুলমণি দেবী বাউল গানকে আঁকড়ে ধরেন জীবিকার প্রয়োজনে। ক্রমে বিভিন্ন প্রবীণ ও সাধক বাউলদের কাছে বাউলগানের তত্ত্ব বোঝেন বছরের পর বছর ধরে।
ক্রমে গায়কির জোরে পরিচিতি পান তিনি। বাউল গান গেয়ে খ্যাতি মিলেছে আমেরিকা, ফ্রান্স এবং লণ্ডনে। সম্প্রতি ৭৯ বছর বয়েসে প্রয়াত হন তিনি।
|
তথ্য: অরুণ মুখোপাধ্যায়।
—নিজস্ব চিত্র। |