|
|
|
|
নদীতে ঝাঁপিয়ে ডাকাত ধরলেন দুই যুবক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ফ্রেজারগঞ্জ |
ঠিক যেন কোনও সিনেমার দৃশ্য! ধরা পড়ার পর পালানোর জন্য কনকনে ঠান্ডায় নদীতে ঝাঁপ দিল দুষ্কৃতী। সঙ্গে সঙ্গে তাকে ধরার জন্য ঝাঁপ দিলেন দু’জন গ্রামবাসীও। অবশেষে জলে ধস্তাধস্তির পর বাগে এল দুষ্কৃতী। রবিবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফ্রেজারগঞ্জের কোষ্টাল থানার পশ্চিম বিজয়বাটি গ্রামের ঘটনায় মহিউদ্দিন নামে ওই দুষ্কৃতীকে পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম বিজয়বাটি গ্রামের মুদিদোকানের মালিক শক্তিপদ মাইতির বাড়িতে রবিবার রাত দেড়টা নাগাদ ৫-৬ জনের দুষ্কৃতী দল হামলা চালায়। অভিযোগ, অবাধে লুঠপাঠ চালিয়ে শক্তিপদবাবুদের একটি ঘরে আটকে রেখে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। পরে শক্তিপদবাবুর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে উদ্ধার করে তাঁদের। স্থানীয় সম্মিলনী ক্লাবের সদস্যেদের জানানো হয় বিষয়টি। খবর দেওয়া হয় ফ্রেজারগঞ্জ ও নামখানা থানায়। কিন্তু পুলিশের উপর নির্ভর না করে ক্লাবের সদস্যেরা শক্তিপদবাবুর ছেলে অর্নিবাণকে নিয়ে দুষ্কৃতীদের খোঁজে নামখানা ঘাটে গিয়ে নৌকাগুলিতে তল্লাশি চালান। সেই সময়ই মইউদ্দিন নামে এক দুষ্কৃতীকে শনাক্ত করেন অর্নিবাণবাবু। এরপরই ওই দুষ্কৃতী টাকার ব্যাগ নিয়ে নদীর জলে ঝাঁপ দেয়। আগুপিছু না ভেবে কনকনে ঠান্ডাকে উপেক্ষা করেই মহিউদ্দিনকে ধরতে সঙ্গে সঙ্গে নদীতে ঝাঁপ দেন শুভেন্দু শীট ও গোবিন্দ জানা নামে ক্লাবের দুই সদস্য। কিছুক্ষণ পরে মহিউদ্দিন বাগে পেয়ে তাকে ডাঙায় তোলেন তাঁরা।
পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে শক্তিপদবাবু জানিয়েছেন নগদ প্রায় দু’লক্ষ টাকা এবং সোনা ও রুপোর অলঙ্কার লুঠ করা হয়েছে। এত নগদ টাকা এক সঙ্গে কেন বাড়িতে রাখা হয়েছিল সেই প্রশ্নের উত্তরে পুলিশকে তিনি বলেন, “আমার স্ত্রী স্থানীয় একটি স্কুলের মিড ডে মিলের দায়িত্বে রয়েছেন। সেই সংক্রান্ত টাকাই রাখা ছিল।’’ পুলিশ জানিয়েছে, ডাকাতির ঘটনায় একজন দুষ্কৃতীকে আটক গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে ১৮ হাজার টাকা। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।” |
|
|
|
|
|