|
|
|
|
দুবাইয়ে গিয়ে যুবক অপহৃত, অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাগদা |
দুবাইতে ঠিকা শ্রমিকের কাজ করতে যাওয়া বাগদার এক যুবককে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুললেন তাঁর পরিবারের লোকজন। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন এবং দিল্লিতে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দূতাবাসে দায়ের করা অভিযোগে ইব্রাহিম মণ্ডল নামে ওই যুবকের পরিবারের লোকজন জানান, মুক্তিপণ হিসেবে ইতিমধ্যে স্থানীয় এক মহিলাকে তাঁরা ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা দিলেও অপহরণকারীরা তা পায়নি জানিয়ে ফোন করে ২ লক্ষ টাকা দাবি করছে। ইব্রাহিমের উপরে অত্যাচারও চালানো হচ্ছে।
বনগাঁর মহকুমাশাসক অভিজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, “বিষয়টি পুলিশের। এসডিপিওকে দেখতে বলা হয়েছে।” মহকুমা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “ঘটনাটি বিদেশের। পুলিশের এক্তিয়ারে যতটা করা সম্ভব করা হবে। এলাকার এক মহিলার খোঁজ চলছে।” যে সংস্থার হয়ে ঠিকা শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিলেন ইব্রাহিম, সেই সংস্থার দুবাই অফিসের এক কর্তা বলেন, “সেপ্টেম্বরে ওই যুবক আমাদের কিছু না জানিয়ে চলে যান। আমরা স্থানীয় থানায় জানিয়েছি।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ঠিকা শ্রমিক হিসেবে একটি ভারতীয় পরিকাঠামো নির্মাণ সংস্থার হয়ে ২০০৭-এর নভেম্বরে দুবাই যান উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার পাটকেলপোতা গ্রামের বাসিন্দা, বছর ত্রিশের ইব্রাহিম। ২০১০-এ মাস দেড়েকের জন্য বাড়ি ফেরেন। পুলিশ প্রশাসনের কাছে দিন কয়েক আগে দায়ের করা অভিযোগে ইব্রাহিমের মা মমতাজ বিবি জানান, গত বছর ঈদের আশপাশে ইব্রাহিমকে অপহরণ করা হয়। তার পর থেকে কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন নম্বর থেকে ফোন করে বাংলাদেশের একটি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বরে দু’লক্ষ টাকা জমা করে দিতে বলছে অপহরণকারীরা। ফোনে ছেলের সঙ্গে কথাও বলানো হচ্ছে। ছেলে তাঁর উপরে অত্যাচারের কথা জানিয়েছে। মমতাজ বলেন, “ফোনে ওরা ছেলের কান্নার আওয়াজ শোনাচ্ছে। ছেলে বলেছে, ওর গায়ে গরম জল ঢেলে বা বরফের উপরে শুইয়ে নির্যাতন চালানো হচ্ছে। আমরা গরিব। পুলিশ ব্যবস্থা নিক।” প্রশাসন সূত্রে খবর, এ ভাবে ভিন্ দেশে ঠিকা শ্রমিকের কাজ করতে গিয়ে অপহৃত হওয়া বা কাউকে আটকে রাখার অভিযোগ আগেও উঠেছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, স্থানীয় কারও মাধ্যমে শ্রমিকেরা বিদেশে যান। এক পুলিশকর্তা বলেন, “বিদেশে অপহরণ বা আটকে রাখা সংক্রান্ত অভিযোগ মিললে স্থানীয় যোগসূত্রই প্রথমে খোঁজা হয়। সেই সূত্র ধরেই তদন্ত করা হয়।” উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক সঞ্জয় বনশল জানিয়েছেন, এই ধরনের অভিযোগ পেলে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরকে জানানো হয়। তারাই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ঘটনাটির খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। |
|
|
|
|
|