|
|
|
|
শ্বশুরবাড়িতে দগ্ধ |
সাক্ষ্য বদল, ‘বিরূপ’ ঘোষণা বাবা-মাকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথগঞ্জ |
মেয়েকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ এনেও আদালতে এসে শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে গেলেন মৃতার বাবা-মা এবং অন্য পরিজনেরা। তবে হাসপাতালের এক চিকিৎসক এবং ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে জবানবন্দিতে ওই মহিলা জানান, স্বামী, শ্বশুর ও দেওর তাঁর শরীরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। তার ভিত্তিতে স্বামী মনোজ দাস, শ্বশুর মণীন্দ্র দাস ও দেওর সরোজকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিলেন জঙ্গিপুরের প্রথম ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক।
২০১১-এর ৬ অক্টোবর সুতি থানার কয়াডাঙা গ্রামের ঘটনা। ওই দিন ট্রমি দাস নামে ওই মহিলাকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তাঁর শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার করে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সপ্তাহ দুয়েক পর হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এরপরে ওই মহিলার বাবা দ্বিজেন্দ্রনাথ দাস মেয়ের মৃত্যুর জন্য তাঁর স্বামী, শ্বশুর ও দেওরের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তরা আদালতে আত্মসমর্পন করলে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়। যদিও শ্বাশুড়ি-সহ অন্য দুই অভিযুক্ত পলাতক। সেই থেকে তাদের জেল হাজতে রেখে বিচার চলছিল।
সরকারি আইনজীবী অশোক সাহা বলেন, “মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলেও আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় মৃতার বাবা-মা ও ৮ আত্মীয় তাঁদের আগের অভিযোগ থেকে সরে আসেন। ফলে আদালত তাঁদের বিরূপ ঘোষণা করে।” এ দিন সাজা ঘোষণার সময় বিচারক শৈলেন্দ্রকুমার সিংহ বলেন, হাসপাতালে এক বার চিকিৎসকের কাছে এবং তার কয়েক দিন পর আরও এক বার এক ম্যজিষ্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দিয়েছিলেন ওই মহিলা। ওই জবানবন্দিতে তিনি বলেছিলেন, ‘স্বামী, শ্বশুর, দেওর ও অন্যরা মিলে গায়ে কেরোসিন ঢেলে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।’ তার ভিত্তিতে দোষীদের সাজা দেওয়া হল।” |
|
|
|
|
|