টুকরো খবর
নয়াগ্রামে গ্রাম্য বিবাদে খুন প্রৌঢ়
গ্রাম্য বিবাদে খুন হলেন এক প্রৌঢ়। সোমবার সন্ধ্যায় পশ্চিম মেদিনীপুরের নয়াগ্রাম থানার বড়খাঁকড়ি অঞ্চলের দরখুলি গ্রামে খুন হয়েছেন ওই প্রৌঢ়। নিহতের নাম সূর্য পাত্র (৫৫)। তাঁকে টাঙি দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। সূর্যবাবুর বাড়ি দরখুলি গ্রামেই। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন স্থানীয় তপোবনে মকর সংক্রান্তির মেলা দেখতে গিয়েছিলেন সূর্যবাবুর ছেলে মিঠুন পাত্র। সন্ধ্যায় তপোবনের মেলা দেখে ফেরার সময় দরখুলি গ্রামের কাছে শবর পাড়ায় স্থানীয় কিছু বাসিন্দার সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন মিঠুন। পুরনো পাওনা-গণ্ডা সংক্রান্ত বিবাদের জেরে মিঠুনকে সেখানে মারধর করে আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ। কোন রকমে নিজের মোবাইল ফোন থেকে বাবাকে ফোন করে ঘটনাটি জানান মিঠুন। ছেলের ফোন পেয়ে উদ্বিগ্ন সূর্যবাবু ছুটে যান শবরপাড়ায়। তার আগেই অবশ্য মিঠুন কোনও মতে পালিয়ে বাঁচেন। কিন্তু সূর্যবাবু পৌঁছতেই ফের উত্তেজনার পারদ চড়ে। শবরপাড়ায় উত্তেজিত কিছু বাসিন্দা সূর্যবাবুর উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। টাঙির কোপে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে রাতে পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। খুনের অভিযোগে শবরপাড়ার বাসিন্দা মিঠুন ভক্তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি নির্মল ঘোষের অবশ্য দাবি, “সূর্যবাবু আমাদের দলীয় কর্মী। এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর জন্য এটা সিপিএম-মাওবাদী জোটের চক্রান্ত।”

মকর সংক্রান্তিতে সমুদ্র স্নানে ভিড়

মকর স্নানের ভিড় দিঘার সৈকতে। ছবি: সুব্রত গুহ।

কংসাবতীতে মকর স্নান।—নিজস্ব চিত্র।
মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে কাঁথি মহকুমার সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে সোমবার ভোররাত থেকেই ভিড় জমালেন হাজার-হাজার পুণ্যার্থী। দিঘা, শঙ্করপুর, মন্দারমনি, তাজপুর থেকে কাঁথির শৌলা, জুনপুটপ্রায় ৫০ হাজার মানুষ সমুদ্র স্নান করেন এ দিন। কাঁথি থেকে দিঘা মোহনায় যাওয়ার জন্য ৬৭টি বাসের ববস্থা করা হয়েছে। উত্তর কাঁথির কানাইদিঘিতে রসুলপুর নদীর তীরে মকরমেলা বসেছে। দিঘা ফিশারমেন অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে শনিবার থেকে গঙ্গোৎসব শুরু হয়েছে। অ্যাসোসিয়েশনের সচিব শ্যামসুন্দর দাস জানান, মৎস্যজীবী সম্মেলন, দুঃস্থ ছাত্রছাত্রীদের আর্থিক সাহায্য ছাড়াও যাত্রানুষ্ঠান ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।

বাস উল্টে জখম ৬
দিঘা থেকে ব্যারাকপুরে ফেরার পথে একটি পযর্টক বোঝাই বাস উল্টে গেল কালিনগর সেতুর কাছে। রবিবার রাত ১১টা নাগাদ দিঘা-কলকাতা সড়কে হাম্পে পড়ে নিয়ন্ত্রণ হারায় বাসটি। উল্টে পড়ে রাস্তার পাশে। ৬ জন পযর্টক আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দা, রাজনৈতিক নেতারা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধারকাজে হাত লাগান। আসে পুলিশ। আহতদের কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয় সঙ্গে সঙ্গে।

শিক্ষককে নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ
কেশপুর-সহ পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে বহু শিক্ষক স্কুলে যেতে পারছেন না। এমনই তিন শিক্ষকের আবেদনের ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিল, তাঁরা যাতে নিরাপদে স্কুলে কাজ করতে পারেন, কেশপুর থানার ওসি-কে তা নিশ্চিত করতে হবে। স্কুলে ও বাড়িতে তাঁদের নিরাপত্তা দিতে হবে পুলিশকেই। আবেদনকারী স্বদেশ সিংহ, বীরেন্দ্রনাথ দণ্ডপাট ও সোমনাথ পালধি বলেন, বিধানসভা ভোটের পর থেকে তাঁরা স্কুলে যেতে পারছেন না। অজ্ঞাতবাসে রয়েছেন। সরকারি কৌঁসুলি অহিভূষণ চক্রবর্তী কেশপুরের ওসি-র একটি রিপোর্ট বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের এজলাসে জমা দেন। তাতে বলা হয়েছে, আবেদনকারীরা সিপিএম-সমর্থক বলে তাঁদের গ্রামছাড়া করা হয়েছে। জরিমানা হিসেবে টাকাও দাবি করা হয়েছে তাঁদের কাছে। বিচারপতির প্রশ্ন, সব জেনেও পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি কেন? পুলিশের বক্তব্য, আবেদনকারীর কোথায় আছেন, জানা ছিল না বলে ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.