রাজকোটের পর এ বার ‘মিশন কোচি। জানি, ভারত সমর্থকরা মঙ্গলবারের ম্যাচে ধোনির দলের জয়ের জন্য প্রবল প্রতীক্ষায় রয়েছেন। কিন্তু তাঁদের খারাপ লাগলেও বলছি, কোচিতে কিছুটা হলেও ফেভারিট ইংল্যান্ড। কারণ দুটো।
এক) স্লগ ওভারে ধোনির দলের দাঁত-নখহীন বোলিং,
দুই) ব্যাটিং টপঅর্ডারে ধারাবাহিকতার নাম-গন্ধ না থাকা। অনেকে চেতেশ্বর পূজারাকে টিমে নেওয়ার কথা বলছেন। কিন্তু এই মুহূর্তে ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে বেশি নড়াচড়া না করাই ভাল।
আশা করছি, কোচির নেহরু স্টেডিয়ামে ব্যাটসম্যানদের সহায়ক পিচই থাকবে। রানও উঠবে ঝুড়ি-ঝুড়ি। রাজকোটে শেষ দু’ওভারে ভারতীয় বোলাররা দিয়েছে ৩৮ রান। কোচিতে জিততে গেলে ধোনির দলকে এই খুঁতগুলো সারিয়ে ফেলতে হবে।
এ পর্যন্ত পড়ে যদি ভেবে বসেন, কুকের দলে কোনও সমস্যা নেই তাহলে ভুল করবেন। রাজকোটে ম্যাচের কাটাছেঁড়া করতে গিয়ে ওদের অনেক ভুলই নজরে এল।
যেমন, সমিত পটেল। গত ম্যাচে শেষ পাঁচ ওভারে ঝড়ের গতিতে রান তুলল। কিন্তু ওর বোলিং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মোটেও পাতে দেওয়ার মতো নয়। সমিতের সঙ্গেই সে দিন ক্রিজে ছিল ক্রেগ কিয়েসওয়েটার। দু’জনে মিলে ৩৭ বলে স্কোরবোর্ডে জুড়েছে ৭০ রান। কিয়েসওয়েটার ২০ বলে ২৪ রান করলেও ওঁর ডটবল ১১। যে ন’টা বল ও খেলেছে তার মধ্যে তিন বলে ওর রান ১৬। তার মানে বাকি ১৭ বলে ও তুলেছে মোটে ৮ রান। ভারত বলে এর মাশুল গুণতে হয়নি। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা কিংবা অস্ট্রেলিয়া বিপক্ষে থাকলে এই ছোট তথ্যটাই ম্যাচ বিশ্লেষণে বড় হয়ে দাঁড়াবে। অন্য জন জেড ডার্নবাখ। দুর্দান্ত স্লোয়ারে ধোনিকে প্যাভিলিয়নে পাঠাল সে দিন। কিন্তু বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ অনেক সময়ই থাকে না। একই কথা বলা যায় টিম ব্রেসনানের ক্ষেত্রেও। বিরাট কোহলিকে ফেরালেও প্রচুর ‘লুজ বল’ ফেলে বেশি রান দিয়ে ফেলল। প্রশ্ন জাগছে, ইংল্যান্ড সিমাররা কি ইয়র্কার দিতে ভুলে গেল? |